ঋণ/বিনিয়োগ শ্রেণীকরণ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার
আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।
গতকাল সোমবার ১৫ জুন, ২০২০ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর ফলে বর্তমানে কোনো ঋণগ্রহীতা যদি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে খেলাপি করা যাবে না। তবে যদি কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা এ সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করেন, তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। তাই ঋণ/ বিনিয়োগ গ্রহীতার ব্যবসায়ের ওপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধ ও শ্রেণিকরণের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
| ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
উক্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করােনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় উল্লিখিত সার্কুলারের মাধ্যমে ঋণ শ্রেণীকরণের বিষয়ে এ মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল যে, ০১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্ৰেণীমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত সময়ে উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। তবে, কোন ঋণের শ্ৰেণীমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণীকরণ করা যাবে।
কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশংকা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। বর্ণিত বিষয়াবলী বিবেচনায় এবং ঋণ/ বিনিয়ােগ গ্রহীতার ব্যবসায়ের উপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ঋণ/ বিনিয়ােগ এর মেয়াদ পরিশােধসূচী নির্ধারণ ও শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণীয় হবেঃ
ক) ০১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণ/ বিনিয়ােগের শ্ৰেণীমান যা ছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত সময়ে উক্ত ঋণ/ বিনিয়ােগ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। তবে, কোন ঋণের/ বিনিয়ােগের শ্রেণীমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণীকরণ করা যাবে।
খ) অনুচ্ছেদ-৩ (ক)-এ বর্ণিত নির্দেশনা পরিপালনের লক্ষ্যে ০১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিদ্যমান মেয়াদী (স্বল্পমেয়াদী কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্রঋণসহ) ঋণ/ বিনিয়ােগসমূহের বিপরীতে ০১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সময়কালীন প্রদেয় কিস্তিসমূহ deferred হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে অক্টোবর/ ২০২০ হতে সংশ্লিষ্ট ঋণ/ বিনিয়ােগের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনঃনির্ধারিত হবে। পুনঃনির্ধারণকালে জানুয়ারি/ ২০২০ হতে সেপ্টেম্বর/ ২০২০ পর্যন্ত যতসংখ্যক কিস্তি প্রদেয় ছিল তার সমসংখ্যক কিস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ০১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখ পর্যন্ত সময়ের কোন কিস্তি পরিশােধিত না হলেও উক্ত কিস্তিসমূহের জন্য মেয়াদী ঋণ বিনিয়ােগ গ্রহীতা কিস্তি খেলাপী হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
গ) ০১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিদ্যমান চলমান ও তলবী ঋণবিনিয়ােগসমূহ এবং উক্ত তারিখ হতে ৩১ মে ২০২০ তারিখ পর্যন্ত সময়ে সৃষ্ট তলবী প্রকৃতির ঋণবিনিয়ােগ এর মেয়াদ সমন্বয়ের তারিখ বিদ্যমান মেয়াদ হতে ৯ (নয়) মাস বা ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ (যেটি আগে ঘটে) পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
ঘ) অনুচ্ছেদ-৩ (খ) ও ৩ (গ)-এ বর্ণিত সুবিধা চলাকালীন ঋণ/ বিনিয়ােগের উপর সুদমুনাফার হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এতদসংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা বলবৎ থাকবে। তবে, উক্ত সময়ে ঋণ বিনিয়ােগের উপর কোনরূপ দন্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হােক না কেন) আরােপ করা যাবে না।
ঙ) কোন গ্রাহকের উল্লিখিত সুবিধা গ্রহণের প্রয়ােজনীয়তা অনুভূত না হলে পূর্বনির্ধারিত পরিশােধসূচী অনুযায়ী অথবা ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কে ভিত্তিতে ঋণ/ বিনিয়ােগের অর্থ সমন্বয় করা যাবে।
ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে ব্যাংকগুলোকে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।


