বিশেষ কলাম

শরিয়াহ্‌ভিত্তিক ব্যাংকিং: বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

তাইফুর রহমানঃ শরিয়াহ্‌ভিত্তিক ব্যাংকিং: বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও করণীয় – বাংলাদেশে ইসলামিক বা শরিয়াহ্‌ভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার উত্থান আশাব্যঞ্জক। প্রথাগত সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে এটি মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। তবে এই খাতের বিকাশে এখনো কিছু উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলো নিরসন না হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন হবে।

বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে মানব সম্পদের ঘাটতি (Skilled Human Resource Crisis) উল্লেখযোগ্য। শরিয়াহ্‌ভিত্তিক ব্যাংকিং সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ, শরিয়াহ্‌ পরামর্শক, এবং ইসলামিক ফিন্যান্সে দক্ষ কর্মীসংখ্যা এখনও অপ্রতুল। শরিয়াহ্‌ভিত্তিক ব্যাংকিং চালাতে হলে শুধুমাত্র ব্যাংকিং বিষয়ে জ্ঞান থাকলেই হয় না, এর পাশাপাশি ইসলামিক শরিয়াহ্‌, বিশেষ করে মুআমালাত (আর্থিক লেনদেন) বিষয়েও গভীর জ্ঞান থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ইসলামিক ফিন্যান্স নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত। বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম খুব কম এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইসলামিক ব্যাংকিং-এর উপর গবেষণাও সীমিত। ফলে ব্যাংকগুলো প্রায়ই দক্ষ জনবল পেতে হিমশিম খায়। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যাংকের “শরিয়াহ্‌ পরামর্শক” হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তিরা শুধুমাত্র ধর্মীয় দিকটা জানেন, অথচ আধুনিক ব্যাংকিং কাঠামো সম্পর্কে ধারণা নেই—ফলে বাস্তবায়নে দ্বিধা তৈরি হয়।

সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসা পর্যায়ে সমন্বিত কোর্স চালু করা যেতে পারে। ইসলামী আর্থিক ব্যবস্থার উপর বিশেষ ডিপ্লোমা, স্নাতক ও মাস্টার্স প্রোগ্রাম শুরু করলে বাস্তবায়ন সহজ হবে। ব্যাংকগুলোর নিজস্ব প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলো শরিয়াহ্‌ পরিপালন, প্রোডাক্ট ডিজাইন ও রিস্ক ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা তৈরির লক্ষ্যে ঢেলে সাজানো যেতে পারে। আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব- AAOIFI, IIFM, IRTI ইত্যাদির সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করা যেতে পারে। শরিয়াহ্‌ বোর্ডের সদস্যদের জন্য নিয়মিত আপডেট কোর্স করানো যেন তারা ব্যাংকিং-এর চলমান পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন।

ইসলামিক ব্যাংকিং-এর মূল ভিত্তি হলো শরিয়াহ্ অনুযায়ী সম্পূর্ণ সুদমুক্ত আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, বাস্তব চিত্রটা এর বিপরীত। কাগজে-কলমে শরিয়াহ্ অনুসরণ, বাস্তবে নয়। অনেকে শুধু কনভেনশনাল পণ্যকে ইসলামিক নাম দিয়ে চালানোর চেষ্টা করে। এর ফলে বাস্তব শরিয়াহ্ পরিপালন না হয়ে “নামমাত্র” ইসলামিক ব্যাংকিং হয়ে যায়। মুরাবাহা/ইজারা ইত্যাদি চুক্তির ভুল প্রয়োগ হয়ে থাকে। অনেক ব্যাংক শুধু “মার্জিন প্রফিট” স্থির করে গ্রাহককে অর্থায়ন করে—যেটা কার্যত সুদের কাছাকাছি হয়ে যায়, যদিও চুক্তি শরিয়াহ্ ভিত্তিক হওয়ার কথা। শরিয়াহ্ বোর্ডের ভূমিকা সীমিত:বহু সময় বোর্ড কেবল অনুমোদন দেয়, কিন্তু প্রতিটি কার্যক্রমের উপর পর্যাপ্ত নজরদারি বা নিরীক্ষা হয় না। কিছু ব্যাংকে শরিয়াহ্ বোর্ড নামমাত্রই থাকে। প্রকৃত শরিয়াহ্ নিরীক্ষা ব্যবস্থার অভাব। ব্যাংকের অভ্যন্তরে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহ্ অডিট ও মানদণ্ড নির্ধারণের কাজ এখনো অনেকাংশে অনুপস্থিত। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও নিরীক্ষার দুর্বলতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এখনও পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহ্‌ নিরীক্ষা কাঠামো গড়ে তুলতে পারেনি। বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং খাত মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। তবে এই নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এখনো প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের ছাঁচে তৈরি, যেখানে শরিয়াহ্ অনুযায়ী কার্যক্রম মনিটর করার জন্য আলাদা দক্ষতা ও কাঠামো প্রয়োজন। স্বতন্ত্র শরিয়াহ্ পর্যবেক্ষণ বিভাগ নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। যারা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন, অনেক সময় তাদের কাছে ইসলামিক ফিন্যান্স ও শরিয়াহ্ কমপ্লায়েন্স বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকে না। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা থেকে অনেক সময় শরিয়াহ্ সম্পর্কিত ত্রুটি বা অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস পায়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

এক্ষেত্রে করণীয় হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি স্বতন্ত্র শরিয়াহ্‌ পরিপালন পর্যবেক্ষণ ইউনিট (Shariah Compliance Supervision Unit) গঠন করা যেতে পারে যেখানে শরিয়াহ্ বিশেষজ্ঞ, আর্থিক বিশ্লেষক ও অডিটর থাকবে। AAOIFI ও IFSB এর নীতি অনুযায়ী শরিয়াহ্ নিরীক্ষা গাইডলাইন তৈরি করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শরিয়াহ্ কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তা ও অডিটরদের জন্য শরিয়াহ্ প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে যেন তারা শরিয়াহ্ ব্যাংকিং কার্যক্রম গভীরভাবে বুঝতে ও নিরীক্ষা করতে পারেন। বার্ষিক শরিয়াহ্ নিরীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা যাতে প্রতিটি ইসলামিক ব্যাংকের শরিয়াহ্ বোর্ড প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে।

বাজার গবেষণার ভিত্তিতে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ইসলামিক নীতি ভিত্তিক ফ্লেক্সিবল ও টার্গেটেড পণ্য তৈরি করতে হবে। ডিজিটাল ইসলামিক ফিনটেক সলিউশন, শরিয়াহ্-সম্মত মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ও পেমেন্ট গেটওয়ে তৈরি করে তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করা। সুকুক (Islamic Bond) ও ইসলামী Mutual Fund চালু করলে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও কর্পোরেটদের জন্য শরিয়াহ্-কমপ্লায়েন্ট দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফিন্যান্স মডেলের আদলে মালয়েশিয়া, বাহরাইন, দুবাই বা যুক্তরাজ্যের ইসলামিক ব্যাংকগুলোর উদ্ভাবনী পণ্যগুলো অনুসরণ করে বাংলাদেশে উপযোগী করে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন ও কাস্টমাইজড সার্ভিস এর ক্ষেত্রে শরিয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকিং-এ শুধু ধর্মীয় দিক নয় গ্রাহক অভিজ্ঞতাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। বহু মানুষ এখনো ইসলামিক ব্যাংকিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখে না। ফলে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে বা ভুল ধারণা পোষণ করে। অনেক মানুষ এখনো মনে করেন ইসলামিক ব্যাংক মানে শুধু নাম পাল্টানো—মূলত সুদই নেওয়া হয়, শুধু অন্য নামে। এই ধরনের ভুল ধারণা ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেমকে অবমূল্যায়িত করে।

গ্রাহকের বড় অংশ জানেই না মুরাবাহা, ইজারা, মুদারাবা বা মুশারাকা কীভাবে কাজ করে এবং এগুলো কনভেনশনাল ব্যাংকিং থেকে কিভাবে আলাদা। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইসলামিক অর্থনীতি ও ব্যাংকিং সম্পর্কিত শিক্ষা সীমিত, ফলে নতুন প্রজন্ম এই খাত সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে না। প্রথাগত ব্যাংকিং যেখানে ব্যাপক মিডিয়া প্রচার, বিজ্ঞাপন ও ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে সক্রিয়, সেখানে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনেকটাই কম। টিভি, রেডিও, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শরিয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকিং সম্পর্কে তথ্য ছড়িয়ে দিতে হবে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা ভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি করে বাস্তব উদাহরণ দেখানো যেতে পারে। ব্যাংকের উদ্যোগে মসজিদ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পেশাজীবী মহলে ইসলামিক ফিন্যান্স বিষয়ক ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও কর্পোরেট সেশন পরিচালনা করতে হবে। মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত স্তরে ইসলামিক অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিষয়ক অধ্যায় সংযোজন করতে হবে। সহজ ও আকর্ষণীয় ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স ও কোর্সের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করা যেতে পারে। শরিয়াহ্‌ ভিত্তিক তহবিল বিনিয়োগের ক্ষেত্র সীমিত হওয়ায় অতিরিক্ত তারল্য ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়ে।

ইসলামিক ব্যাংক সুদের ভিত্তিতে ধার নিতে পারে না, অথচ হঠাৎ তারল্য সংকটে পড়লে শরিয়াহ্ সম্মত বিকল্প পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য শরিয়াহ্ সম্মত আন্তঃব্যাংক তহবিল ব্যবস্থার পর্যাপ্ত প্ল্যাটফর্ম এখনো তৈরি হয়নি। শরিয়াহ্ ভিত্তিক আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজার তৈরি করে দ্রুত তারল্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সরকার ও বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো শরিয়াহ্-কমপ্লায়েন্ট সুকুক ইস্যু করলে ইসলামিক ব্যাংকগুলোর জন্য তহবিল ব্যবস্থাপনা সহজ হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় শরিয়াহ্ ভিত্তিক তহবিল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে শরিয়াহ্ পরিপালন নিশ্চিত করে একটি কার্যকর কাঠামো গড়ে তোলা উচিত।

ইসলামিক ফিন্যান্সে উচ্চতর ডিগ্রি ও ট্রেনিং প্রোগ্রামের সম্প্রসারণ করা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এ কাজটি হতে পারে। প্রতিটি ইসলামিক ব্যাংকের শরিয়াহ্‌ বোর্ডকে আরও কার্যকর, স্বতন্ত্র ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। বাংলাদেশে শরিয়াহ্‌ভিত্তিক ব্যাংকিং একটি সম্ভাবনাময় খাত। বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ যথাযথভাবে মোকাবিলা করে এবং কার্যকর করণীয় বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই খাত দেশের আর্থিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। ইসলামিক মূল্যবোধ ও আধুনিক ব্যবস্থাপনার সমন্বয় ঘটিয়ে এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা আরও টেকসই ও জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব।

বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকিং খাতে যে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট সংঘটিত হয়েছে, তা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য এক গভীর সংকেত। বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে যে, হাজার হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে ঋণ হিসাবে তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকের তারল্য সংকট ও সাধারণ গ্রাহকের আস্থার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা: ১. দায়ীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ২. ব্যাংক পুনর্গঠনে জরুরি আর্থিক সহায়তা (bailout) ৩. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ইসলামী ব্যাংক শুধু একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি ইসলামি মূল্যবোধে পরিচালিত একটি জনগণের আস্থাভিত্তিক সেবা। তাই এই খাতে আঘাত মানে হলো জনগণের বিশ্বাসে আঘাত। সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ এবং প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এই ক্ষতি থেকে ব্যাংকগুলোকে উদ্ধার করাই হবে সময়োচিত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

লেখকঃ তাইফুর রহমান, ব্যাংকার ও কলামিস্ট

২ মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button