ভোগ্যপণ্য আমদানি সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ নিশ্চিতে আমদানিতে সর্বোচ্চ সহায়তা করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ, ২০২২) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) ঋণ বিরতণ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহীরা।
বৈঠকে গভর্নর রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবারহ নিশ্চিত ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে আমদানিতে সব ধরনের সহায়তা করতে এমডিদের নির্দেশনা দেন।
| ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজকের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবারহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) সহজীকরণে এমডিদের বলা হয়েছে।
এসময় রোজায় প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর, ফলমূল এবং চিনিসহ নিত্যপণ্যের আমদানি অর্থায়নের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ, ২০২২) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদুল ফিতর আসন্ন। অপরদিকে কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিসহ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত বিভিন্ন কারণে বাজারে আমদানিনির্ভর নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এমতাবস্থায়, আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, খেজুর, ফলমূল এবং চিনিসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি ঋণপত্রের ক্ষেত্রে দুইটি নির্দেশনা অনুসরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো—
(ক) আমদানি ঋণপত্রের মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে এবং ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনে ঋণপত্র খোলা যাবে এবং
আরও দেখুন:
◾ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার
(খ) আমদানি ঋণপত্রের কমিশন ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে যথাসম্ভব ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে।
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আগামী ১০ মে, ২০২২ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে সার্কুলারে বলা হয়।


