ব্যাংকার

ব্যাংকাররা কেনো লাঞ্চিত হবে?

কে এম মাসুম বিল্লাহঃ করোনা মহামারীর এই কঠিন সময়ে যখন সবকিছু স্থবির, লকডাউনে যেখানে বন্ধ থাকছে সকল সরকারি বেসরকারি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, সেখানে দেশের অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে খোলা রাখা হয় সরকারি বেসরকারি ব্যাংকগুলো। বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মহামারীর এই ক্রান্তিকালে দেশের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকছে।

লকডাউনে যানবাহন বন্ধ থাকায় অনেক ব্যাংকারদেরই পরতে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে নারী ব্যাংক কর্মীদের পরতে হয়েছে আরো সমস্যায়। ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে অসংখ্য ব্যাংকার কর্মক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, প্রান হারিয়েছেন অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা। তবে এত কিছুর পরেও ব্যাংকারদের সেবা দেয়া বন্ধ হয়নি। আর এমন পরিস্থিতি ডাক্তার কিংবা পুলিশের সদস্যদের মতই করোনা মহামারীর মধ্যে সর্বদা সেবা চালু রাখায় ব্যাংকারাও সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধা এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

দেশের স্বার্থে ব্যাংকারদের এমন সেবা সত্যিই প্রসংশনীয়। তবে ব্যাংকারদের যেকোনো ধরনের হয়রানির শিকার খুব দুংখজনক। কিছুদিন আগে পুলিশের এক সার্জেন্টের কাছে লাঞ্চিত হোন বেসরকারি ব্যাংক ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা। এটা ব্যাংকারদের জন্য হতাশাজনক।

করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখেই অফিসে যেতে হয় প্রতিটি ব্যাংকারকে, এছাড়াও অতিরিক্ত ভীড়ের কারনে কর্মক্ষেত্রেও তারা থাকে ঝুঁকির মধ্যে, এতকিছুর পরও একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে যদি রাস্তায় লাঞ্চিত হতে হয় তবে সেটা সত্যিই দুংখজনক। এছাড়াও সম্প্রতি এক ব্যবসায়ীর কাছে লাঞ্চিত হয়েছেন অগ্রনী ব্যাংকের গলাচিপা শাখার ব্যাবস্থাপক। যিনি অগ্রনী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

অর্থ্যাৎ ২০১৫ সালের নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী তিনি একজন ৫ম গ্রেডের কর্মকর্তা! কিন্তু অত্যন্ত দুংখজনক হলেও সত্য যে একজন ব্যবসায়ীর হাতে এমন একজন কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত হতে হয়। ব্যাংকের নবাগত কর্মকর্তারা জয়েন করলেও অনেকেই ব্যাংক আইডি কার্ড পাননি, সেক্ষেত্রে লকডাউনের এমন বিধি নিষেধের মধ্য অনেককেই পরতে হচ্ছে সমস্যার মধ্যে।

এছাড়াও লকডাউনে যানবাহন না চলায় ভোগান্তি ও কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিয়ে আসা যাওয়ার ব্যাপার তো আছেই। এত সব বিষয় নিয়েই ব্যাংক কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছেন। কঠোর লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকারদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে যাতায়াত ভাতা প্রদানের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। অত্যন্ত দুংখজনক হলেও সত্য যে হাতে গোনা ২/১ টি ব্যাংক উদ্যোগ নিলেও যাতায়াত ভাতার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি অন্য কোনো ব্যাংক। তাই ব্যাংকারদের সকল ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও সরকারের দায়িত্ব।

কে এম মাসুম বিল্লাহ, ব্যাংক কর্মকর্তা ও কলাম লেখক।

আরও দেখুন:
◾ করোনায় এবি ব্যাংক কর্মকর্তার ইন্তেকাল
◾ করোনায় রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা সোমার মৃত্যু
◾ ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের ইন্তেকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button