ব্যাংকসমূহের অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম নীতিমালায় পরিবর্তন
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বর্তমানে অফশোর ব্যাংকিং করছে এমন ব্যাংকগুলোকেও নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়া এ অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট বন্ধ, সম্প্রসারণ বা বন্ধসহ যেকোনো ধরনের পরিবর্তন আনতে হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে এ-সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকসমূহের অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম নীতিমালায় পরিবর্তন এনে আজ বৃহস্পতিবার ১৮ জুন, ২০২০ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উক্ত সার্কুলারে বিআরপিডি সার্কুলার নং-০২, তারিখ-২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ও বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-০৯, তারিখ-২৭ মে ২০১৯ এর প্রতি তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সূত্রোল্লিখিত সার্কুলার নং-০২ এর অনুচ্ছেদ ৬.২ এ বর্ণিত Juristic persons not resident in Bangladesh-কে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে লেটার অফ ক্রেডিট/ গ্যারান্টি/ বৈদেশিক মুদ্রা আমানত দ্বারা আচ্ছাদিত হওয়ার শর্তারোপ করা হয়। এছাড়া, উপরোক্ত সার্কুলার লেটার নং-০৯ এর অনুচ্ছেদ ২.৩ এর অধীন নীতিমালায় সংযোজিত নতুন অনুচ্ছেদ ৬.৪.৩ এ বর্ণিত Industrial enterprises resident in Bangladesh-কে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি অফশোর ব্যাংকিং ঋণপ্রদানের পূর্বানুমোদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে আবেদন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। সার্কুলার নং-০২ এর অনুচ্ছেদ ৮.৮ এ অফশোর ব্যাংকিং অপারেশনের তহবিল আহরণের ক্ষেত্রে নিজস্ব অনশোর অপারেশন হতে ব্যাংকের মোট রেগুলেটরি মূলধনের সর্বোচ্চ ২০% তহবিল অফশোর অপারেশনে স্থানান্তরের নির্দেশনা রয়েছে। একই সার্কুলার এর অনুচ্ছেদ ৮.১১ এ Cash Reserve Ratio (CRR) I Statutory Liquidity Reserve (SLR) সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের মোট তলবি ও মেয়াদি দায় হিসাবায়নে অফশোর ব্যাংকিং এর মোট তলবি ও মেয়াদি দায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
| ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এমতাবস্থায়, ব্যাংকের অফশোর অপারেশনের তহবিল আহরণের সুযোগ বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা তহবিলের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা, তহবিল ব্যবস্থাপনা যথাযথ রাখার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যবসার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের আরো সুষ্ঠু ও সুসংহত বিকাশের লক্ষ্যে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের নীতিমালার সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদসমূহ নিম্নবর্ণিতভাবে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে:
নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬.২ নিম্নরূপভাবে প্রতিস্থাপিত হবে:
“6.2 With juristic persons not resident in Bangladesh
Offshore banking transactions with the juristic persons not resident in Bangladesh shall include nothing other than accepting deposits and borrowings. But with prior permission from the Foreign Exchange Investment Department of Bangladesh Bank, banks, as part of their offshore banking, may also make loans/advances to the juristic persons not resident in Bangladesh provided that the full amount of loan/advance is covered by (a) guarantee/letter of credit from a licensed bank abroad with acceptable credit rating, and/or (b) foreign exchange brought in from abroad and deposited in a bank in Bangladesh. However, the coverage stated in (a) and (b) above will not be a requirement to make permissible loans/advances to bank’s own subsidiary(ies) not resident in Bangladesh.”
নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬.৪.৩ নিম্নরূপভাবে প্রতিস্থাপিত হবে:
“6.4.3 With prior permission from the Bangladesh Bank, banks, as part of their offshore banking, may make medium/long term loans/advances to the industrial enterprises resident in Bangladesh. Applications as per proforma (Annexure-A) for approval of loan proposal to resident industrial enterprises from offshore banking shall be submitted to the Foreign Exchange Investment Department along with appropriate analysis and supporting documents.”
নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৮.৮ নিম্নরূপভাবে প্রতিস্থাপিত হবে:
“8.8 Source of funds for offshore banking operation shall be the deposits and borrowings received as stated in paragraph 6. However, banks may also use funds mobilized from their own domestic banking operation with a limit not exceeding 30% of total regulatory capital.”
নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৮.১১ নিম্নরূপভাবে প্রতিস্থাপিত হবে:
“8.11 For offshore banking operation (OBO), banks are required to maintain minimum 2.0 (two) percent Cash Reserve Ratio (CRR) with Bangladesh Bank on bi-weekly average basis with a provision of minimum 1.5 (one and half) percent on daily basis of the average total demand and time liabilities (ATDTL) of OBO. For the maintenance of Statutory Liquidity Reserve (SLR) for OBO, total demand and time liabilities of the bank shall include the liability of OBO. For the maintenance of CRR and SLR that entails to offshore banking, banks may use funds from offshore banking operation and convert to BDT, if required.”
এছাড়া এই সার্কুলারে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের CRR সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৮ জুন ২০২০ তারিখের বিআরপিডি(পি-৩)/৭৪৪(২৭)/২০২০-৪০৮৬ নম্বর প্রজ্ঞাপনটি আপনাদের অবগতির জন্য এতদসঙ্গে সংযোজিত হলো। উপরোল্লিখিত নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৮.১১ এ বর্ণিত CRR সংক্রান্ত নির্দেশনা ০১ জুলাই ২০২০ হতে কার্যকর করতে হবে। এ নির্দেশনা সকল তফসিলি ব্যাংকসমূহকে অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের CRR সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৮ জুন ২০২০ তারিখের বিআরপিডি(পি-৩)/৭৪৪(২৭)/২০২০-৪০৮৬ নম্বর প্রজ্ঞাপনটি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রজ্ঞাপন
তারিখ: ১৮ জুন ২০২০ মোতাবেক ৪ আষাঢ় ১৪২৭
নং বিআরপিডি(পি-৩)/৭৪৪(২৭)/২০২০-৪০৮৬ – Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর ৩৬(১) ধারা অনুসারে বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক (শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকসহ) কর্তৃক তাহাদের মোট তলবি ও মেয়াদি দায় হইতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ জমা রাখিবার যে বিধান রহিয়াছে ব্যাংকসমূহের অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য উহার পরিমান উক্ত আদেশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দ্বি-সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের ন্যূনতম ২.০ (দুই) শতাংশ এবং দৈনিক ভিত্তিতে ন্যূনতম ১.৫ (এক দশমিক পাঁচ) শতাংশে নির্ধারণ করা হইল।
এই আদেশ ০১ জুলাই ২০২০ তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।


