মানি লন্ডারিং

AML এবং CFT কেন জানবো ও মানবো?

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ভয়াবহ পরিণামের ব্যাপকতা উদ্বিগ্ন বিশ্ববাসী এর প্রতিরোধে সোচ্চার ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৮৮ ও পালেরমো কনভেনশন ২০০০ সহ অনেকগুলো রেজুলেশন পাশ করে তা বিশ্বব্যাপী বাস্তবায়িত হচ্ছে। ১৯৮৯ সালে Financial Action Task Force (FATF) নামক সংগঠনের আবির্ভাব বিশ্বব্যাপী মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম “মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২” প্রণীত হয়। যা ২০১৫ সালে সংশোধিত হয়। আর সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে ২০০৯ সালে “সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ প্রণীত হয় যা ২০১২ ও ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয়। Bangladesh Financial Intelligence Unit (BFIU) নামক একটি স্বতন্ত্র ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যা দেশে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

AML এবং CFT কেন জানবো ও মানবো?
Anti Money Laundering & Combating Financing of Terrorism (AML & CFT) খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটা একটা আন্তর্জাতিক আইন যা সকল দেশ ও রাষ্ট্র পরিপালন করতে বাধ্য। সে হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০২ ও ২০০৮ সালে (সংশোধিত ২০১৩ ও ২০১৫ সালে) আইন পাস করে এবং গাইডলাইনের আলোকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহকে তার পরিবারের উপর তাগিদ দেয়া হয়। তাই বলা যায়-
• রাষ্ট্রীয় আইন পরিপালনে গ্রাহকদেরকে পরিপালনে উদ্বুদ্ধকরণ;
• প্রতিটি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পরিপালনে বাধ্য;
• ব্যক্তি/শাখা ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে পরিপালন করা, কেননা পরিপালন না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ (আর্থিক জরিমানা, কারাদণ্ড ও প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল ইত্যাদি);
• দেশের সুনাম রক্ষা ও উন্নয়নে সহযোগিতা;
• অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থ যোগান রোধ;
• ব্যক্তির পেশাগত মান উন্নয়ন (বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-ভাইভার প্রস্তুতি);
• শাখার রিস্ক-গ্রেডিং এ খুব ভালো মানে উন্নীতকরণ;
• প্রত্যেক জনশক্তিকে এ আইনের পরিবর্তিত ও সংযোজিত সর্বশেষ বিষয়াদি অবহিত করণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button