ব্যাংক হিসাব

ব্যাংক হিসাব স্থানান্তরের পদ্ধতি কী?

বর্তমানে ব্যাংক হিসাব (Bank Account) অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন কারনে ব্যাংকে হিসাব খুলতে হয়। ব্যবসায়িক কারনে, চাকরির কারনে কিংবা ডিপিএস, ফিক্স ডিপোজিট বা যে কোন ধরনের সঞ্চয় করতে ব্যাংক হিসাব খোলা হয়ে থাকে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বা শেয়ার বাজারের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ব্যাংক হিসাব খোলা হয়ে থাকে।

অনেক সময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চাকরির বদলিজনিত কারনে বা অন্য কোন কারনে ট্রান্সফার/ স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য ব্যাংক হিসাব ব্যাংকের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় স্থানান্তর করতে হয়। এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজেই ব্যাংক হিসাব এক শাখা থেকে অন্য শাখায় স্থানান্তর করতে পারবেন।

আরও দেখুন:
সঞ্চয়ী হিসাব খোলার নিয়ম
মেয়াদী আমানত হিসাব খোলার নিয়ম
মাসিক সঞ্চয় ডিপিএস হিসাব খোলার নিয়ম

চলতি, সঞ্চয়ী (SB) এবং সল্প নোটিশ (STD) আমানত হিসাব ব্যাংকের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় স্থানান্তরের জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়:
১) হিসাব স্থানান্তরের জন্য অনুরোধপত্র/ আবেদনপত্র লাগবে এবং অনুরোধপত্রের সাইন/ স্বাক্ষর অবশ্যই মিলিয়ে দেখতে হবে।
২) অব্যবহৃত চেকের সব পাতা গ্রহণ করে তা নষ্ট করে ফেলতে হবে এবং এ মর্মে দরখাস্তের ফরমে নোট রাখতে হবে।
৩) সংশ্লিষ্ট হিসাব ফোলিয়োতে যোগফল টেনে চূড়ান্ত ব্যালেন্স বের করতে হবে।
৪) ব্যালেন্স IBCS-এর মাধ্যমে স্থানান্তরিত হবে এবং হিসাবের বিবরণ হিসাব বন্ধ করার রেজিস্টারে রেকর্ড করতে হবে।
৫) লেজার ফোলিয়ো/ কম্পিউটার শীটে এভাবে নোট রাখতে হবে:
“…………….তারিখের দরখাস্ত অনুযায়ী হিসাব……….শাখায় স্থানান্তরিত। অব্যবহৃত চেক নম্বর……থেকে……..পর্যন্ত গ্রহণ করে নষ্ট করা হয়েছে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

৬) স্থানান্তরের জন্য দরখাস্ত ডেবিট ভাউচারের সঙ্গে সংযুক্ত করে রাখতে হবে।
৭) যে সব হিসাবে ডেবিট ব্যালেন্স আছে অথবা অন্য কোন দায় আছে তা হেড অফিসের অনুমতি ছাড়া স্থনান্তর করা যাবে না।
৮) প্রাপক অফিস হিসাব খোলার রেজিস্টারে যথারীতি এন্ট্রিসহ নতুন নম্বর দিয়ে হিসাব খুলবে এবং লেজার ফোলিয়োতে নোট রাখবে যে, “হিসাবটি ………….. শাখা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে এসেছে”। হিসাবধারীকে তাঁর নতুন ঠিকানায়, যদি থাকে এ কথা অবহিত করতে হবে।
৯) দরখাস্ত নিয়ে নতুন চেকবই ইস্যু করতে হবে এবং এ জাতীয় হিসাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১০) যে শাখায় স্থানান্তর চাওয়া হচ্ছে সে শাখায় যদি অব্যবহৃত চেক বই ও রিকুইজিশন/ দরখাস্ত পেশ করা হয় তাহলে অব্যবহৃত চেক বাতিল করার পর সংশ্লিষ্ট শাখায় উক্ত দরখাস্ত ও বাতিল চেকবই প্রেরণ করতে হবে।

সঞ্চয়ী হিসাব স্থানান্তরে নিম্নোক্ত বিধান মানতে হবেঃ
১. স্থানান্তরকারী অফিস অন্তর্বতীকালের জন্য কোন মুনাফা প্রদান করবে না।
২. যে শাখায় হিসাব স্থানান্তরিত হচ্ছে সে শাখায় রেকর্ডের জন্য অন্তর্বতীকালের মোট প্রোডাক্ট জানিয়ে দিবেন যেন মুনাফা ঘোষিত হলে তা প্রদান করা যেতে পারে।

বিঃ দ্রঃ
বর্তমানে ডিজিটাল ব্যাংকিং এর যুগে উপরোক্ত বিষয়গুলোতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে বর্তমানে হিসাব স্থানান্তরের জন্য অনুরোধপত্র/ আবেদনপত্র নেয়া হয় এবং অনুরোধপত্রে/ আবেদনপ্ত্রের সাইন/ স্বাক্ষর অবশ্যই মিলিয়ে দেখতে হয়। অব্যবহৃত চেকের সব পাতা গ্রহণ করে তা নষ্ট করে ফেলতে হয় এবং কোর ব্যাংকিং সিস্টেমে এন্ট্রি দিয়ে রাখতে হয়। কোর ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে হিসাব স্থানান্তরিত হওয়া মাত্র কাঙ্ক্ষিত শাখায় বাদ বাকি কাজগুলো অটোমেটিক্যালি হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button