শেয়ার বাজার

ইক্যুইটি শেয়ার কী?

কোম্পানি আইন অনুযায়ী যে শেয়ার মালিকদের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য কোম্পানিতে অধিক থাকে অথচ সাধারণ ভিত্তিতে লভ্যাংশ ভোগ করে এবং মূলধন ফেরত পায় তাকে সাধারণ শেয়ার বলে। কোম্পানি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বোত্তম শেয়ার হচ্ছে- ইক্যুইটি শেয়ার বা সাধারণ শেয়ার।

ইক্যুইটি বা সাধারণ শেয়ার (Equity Share)
যে শেয়ার এর মালিকগণ সাধারণ অধিকারের ভিত্তিতে লভ্যাংশ ভোগ করেন এবং মূলধন ফেরত পান অথচ কোম্পানিতে দায়িত্ব, কর্তব্য ও অধিকার সর্বাধিক থাকে, সে সকল শেয়ারকে সাধারণ বা ইক্যুইটি শেয়ার (Equity Share) বলে। একে Ordinary Share ও বলা হয়। কোন বছর মুনাফা না হলে সাধারণ শেয়ার হোল্ডারগণ কোন লভ্যাংশ পান না। সাধারণ শেয়ার হোল্ডারগণ কোম্পানির প্রকৃত মালিক এবং কারবার বিলুপ্তির পর অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকরা মূলধন ফেরৎ পাওয়ার পর সাধারন শেয়ার মালিকরা মূলধন ফেরৎ পায়। এ ধরনের শেয়ার মালিকরা পূর্ণ ভোটাধিকারপ্রাপ্ত হন এবং কারবার পরিচালনায় অংশগ্রহন করতে পারেন।

সাধারনত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার ইস্যু করে তহবিল সংগ্রহ করে থাকে। শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হলে তাকে ইক্যুইটি মূলধন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রেগুলেটরি বডির বা সরকারের অনুমতি নিয়ে ন্যূনতম মূলধন সংগ্রহের পর সংবাদপত্রের মাধ্যমে বিবরণপত্র ছাপিয়ে কোম্পানিটি সম্পর্কে একটি ধারণা দিয়ে জনগণের নিকট শেয়ার ক্রয়ের আবেদন চাওয়া হয়। আবেদন জমা হলে সেখান হতে লটারির মাধ্যমে শেয়ার বণ্টন করা হয়। ফলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার ক্রয় করে উক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার সুযোগ পেয়ে থাকে। এরাই প্রকৃত পক্ষে কোম্পানির মালিক। ইহার মালিকদের কোম্পানি নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা দেয়া হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার মাধ্যমে কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সাধারণ শেয়ার সহজে হস্তান্তরযোগ্য এবং বিনিয়োগকারী ইচ্ছে করলে যেকোনো সময় শেয়ার হস্তান্তর করতে পারে।

প্রতিষ্ঠানের লাভ হলে এদের মধ্যেই মুনাফা লভ্যাংশ হিসাবে বন্টন করা হয়। শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরতযোগ্য নয়। তবে নগদ অর্থের প্রয়োজন হলে শেয়ারহোল্ডাররা সেকেন্ডারি মার্কেটে (যেমন: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) অধিক মূল্যে শেয়ার বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করতে পারে। সাধারণত লাভজনক কোম্পানির ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডাররা নিয়মিতভাবে লভ্যাংশ পেয়ে থাকে। তবে লভ্যাংশ প্রদানের কোনো নির্দিষ্ট হার পূর্ব নির্ধারিত থাকে না। কোম্পানির জন্য লভ্যাংশ প্রদান করা বাধ্যতামূলকও নয়। মুনাফা না হলে সাধারণত লভ্যাংশ প্রদান করা হয় না। মুনাফা হলেও সম্পূর্ন অংকের মুনাফা লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন করা হয় না। কোম্পানি ইচ্ছে করলে যেকোনো হারে লভ্যাংশ প্রদান করতে পারে, আবার লভ্যাংশ নাও প্রদান করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদের কাংখিত পরিমাণ লভ্যাংশ প্রদান করতে না পারলে সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, যা কোম্পানির জন্য ক্ষতিকর। তাই সাধারণ শেয়ারে বিনিয়োগ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ হওয়ায় এ রকম শেয়ার থেকে আয়ের সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button