ব্যাংকার

ক্যাশ অফিসার হিসাবে ভালো করার উপায়

ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশঃ ক্যাশ যে কোন ব্যাংকের একমাত্র বিভাগ যে বিভাগ সব ধরনের কাস্টমার লেনদেন জেনারেট করে। সে কারণে ব্যাংকের ক্যাশ ডিপার্টমেন্টের গুরুত্ব সর্বাধিক। ব্যাংকে বেতন, প্রমোশন, ইনক্রিমেন্ট, সুযোগ-সুবিধা সবটাতেই ক্যাশ ডিপার্টমেন্ট অফিসারদের সুযোগ বেশি থাকে যদি কাজে লাগায়, কারণ তাদের গ্রাহক কাছে পেতে খুব সহজলভ্য।

ক্যাশের কাজে আহামরি কোন যোগ্যতা লাগে না। ভালো করলে দ্রুত পদোন্নতি সম্ভব। যেটা অফিসের অন্যান্য বিভাগে সম্ভব নয়। নতুন ছেলে-মেয়েরা ক্যাশে চাকুরী পছন্দ করছেন না। তারা খুব চ্যালেঞ্জিং পেশা ভাবে ক্যাশকে। ক্যাশ মানে টাকা-পয়সার ঝুঁকি গ্রহণ করা। দেশে যেমন ব্যাংকের সংখ্যা বেশি, তেমনি ক্যাশ অফিসারের সংখ্যাও বেশি। তাই কিছু কৌশল, টেকনিক ব্যবহার করতে হবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য। যা আপনার ক্যারিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

কঠোর পরিশ্রম, কৌশল অবলম্বন, লিডারশিপ, সততা থাকতে হবে। কারণ পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। সব গ্রাহকের সাথে নিবিড় সম্পর্ক থাকতে হবে বেশিরভাগ সময়। প্রতিটা গ্রাহকের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। তাদের মন মানসিকতা বুঝতে হবে। কিভাবে, কোন কৌশল অবলম্বন করলে গ্রাহক খুশী থাকবেন সেটা জানতে হবে।

আর ক্যাশ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। কি ভাবে, কোন প্রকারে, এর মধ্যে কয়টি কি নোট, ছেঁড়া-ফাঁটা নোট, জাল নোট, মিউটিলিটেড নোট, রিসিভ-পেমেন্টের ধরণ, চেকের প্রকারভেদ, ভোল্ট লিমিট, ক্যাশ কাউন্টার লিমিট, ট্রানজিট লিমিট, ভোল্ট সিকিউরিটি এ বিষয়গুলো নখদর্পণে থাকতে হবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বড় বড় হোলসেলার, রিটেলারদের সাথে ট্রেড রিলেশন থাকতে হবে। তাদের একটা প্রোফাইল রাখা ভাল। ডিপোজিট বৃদ্ধিতে ট্রেড রিলেশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি দোকানদার, তার ছেলে-মেয়েদের নাম, জন্মদিন, বিবাহ-বার্ষিকীর তথ্য রাখা যেতে পারে। আপনি ব্যাংক পরিবর্তন করতে পারেন। তখনও পুরনো ট্রেড রিলেশন সাহায্য করবে।

এখন ব্যাংক হল টার্গেট অরিয়েনটেড জব। টার্গেট বেশী হয়ে গেছে এটা কখনো বলা যাবে না। এটা টপ ম্যানেজমেন্টের চরম অপছন্দ। টার্গেট ইচ্ছামত দেয়া হয় না। বছরকার টার্গেট একবারে ভাগ করে দেয়া হয়। টার্গেট নিয়ে আপত্তি তুলবেন। ম্যানেজমেন্ট ভাববে আপনি কাজ করতে চান না।

ব্যাংকে ভালো করতে হলে মার্কেট ইনটেলিজেন্স থাকা দরকার। আপনি যে সেবা পণ্য বিক্রি করছেন। তার সম্পর্কে তো বটেই। প্রতিযোগী ব্যাংক, তাদের সেবা প্রডাক্ট সম্পর্কে আপনার ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে তাদের কর্মকর্তাদের সাথে পারসোনাল রিলেশন গড়ে তুলুন। এতে প্রতিযোগী সব ব্যাংকের বিভিন্ন সব অফার, কনজুমার অফার সম্পর্কে জানতে পারবেন আর বসকে জানাতে পারবেন। যখন তখন বস অন্য সব ব্যাংকের অফার, তাদের বিভিন্ন রকম সেবা সমুহ আপনার কাছে জানতে চাইতে পারেন।

বসের সাথে সুসম্পর্ক রাখুন। সমস্যা সম্ভাবনার কথা বলুন। আর পজেটিভ কথা বেশী বলুন। কমিনিকিউশনে যেন ঘাটতি না হয়। যথাযথ সময়ে আপনার কাজের রিপোর্ট প্রদান করুন। রিপোর্ট হল আয়না। আয়নায় যেমন চেহারা দেখা যায়। ব্যাংকে রিপোর্টেই আপনার পারফরমেন্স ফুটে উঠবে। আপনাকে কাজ দিয়ে যেন আপনার বসকে ঘুরতে না হয়। বারবার চাইতে না হয়। বসের পারফরমেন্স তৈরি হবে আপনার পারফরমেন্স এর থেকেই, এটা মনে রাখতে হবে।

মিথ্যা পরিহার করুন। মাথা ঠান্ডা রাখুন। সকল তথ্য আপডেট রাখুন। নিজে না বুঝলে সে কাজে অতিরিক্ত সময় দিন। যেখানে আপনার অবস্থান দুর্বল, তবে ভালো করার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে, সেখানে বেশি সময় দিন। সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটান সব জায়গায়। মনে রাখবেন, সব সময় সব কাজে ভাল ফল দেখা যায় না, কিন্তু ধৈয্যে সফলতা বয়ে আনে।

কার্টেসিঃ মাসুদ ইকবাল রানা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button