ইসলামী অর্থনীতিইসলামী ব্যাংকিং

সুকুক (Sukuk) বা ইসলামিক বন্ড একটি সম্ভাবনাময় ইসলামিক আর্থিক পণ্য

বিশ্বব্যাপী ইসলামিক বন্ড ‘সুকুক’ (Sukuk) খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু আটটি পূর্ণ ইসলামিক ব্যাংক ও ১৭টি ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে এখনো সুকুক (Sukuk) বা ইসলামিক বন্ড চালু হয়নি। তবে ভিন্ন নামে ইসলামিক বন্ড চালু থাকলেও তাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না গ্রাহকরা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের অধিকাংশ পরিমাপকে বাংলাদেশ এখনো পেছনের সারিতে রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।

দেশে স্বতন্ত্র ০৮টি ইসলামী ব্যাংক ও ১৭টি উইন্ডোজ ভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংক থাকতে এখনও সুকুক (Sukuk) বা ইসলামিক বন্ড কেন বাজারে নেই তা প্রশ্নই থেকে যাবে বৈকি! যেকোন আর্থিক প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ‘পূঁজি’। এর প্রচলিত পদ্ধতিগুলোর একটি হল- বন্ড। যা সুদবাহী। ঠিক এর বিপরীত ইসলামিক বিকল্প হল -‘সুকুক’ (Sukuk) বা ইসলামিক বন্ড।

আরও দেখুন:
ইসলামী বন্ড সুকুক কী ও কেন

সর্বপ্রথম ১৯৭৭ ইং সনে ‘সুকূকুল মুকারাযা’ দিয়ে এর উত্থান। পরবর্তীতে তুরুস্কে ১৯৮৩ সনে Sultan Mohammed Al-Fateh Bridge (The Second Bosphorus Bridge) নির্মিত হয় ‘মুশারাকা সুকূক’ দিয়ে। আর তখনি তা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

২০০৩ ইং সনে AAOIFI প্রকাশ করে Investment Sukuk নামে ১৭ নং শরীয়াহ্ স্ট্যান্ডার্ড। পরবর্তীতে International Fiqh Academy পর্যায়ক্রমে ২০০৯ ও সর্বশেষ ২০১২ সনে Islamic Sukuk বিষয়ে শরীয়াহ্ রেজুলেশন পেশ করে। শুধু এ বিষয়ে বহু স্বতন্ত্র গবেষণা রয়েছে। সুকূক নিয়ে অনেক কাজ করার সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশে এখনও তা আলোচনার পর্যায়ে।

বিশ্বে ইসলামিক বন্ড সুকুক সবচেয়ে জনপ্রিয় সৌদি আরবে। সুকুকের মোট শেয়ারের প্রায় ৩৯ শতাংশ তাদের দখলে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া। সুকুক দেশটির উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে। ২০১৮ সালের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে সুকুকের প্রায় ৩৩ শতাংশ শেয়ার মালয়েশিয়ার দখলে রয়েছে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, কাতার, ওমান, তুরস্ক, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, হংকং, নাইজেরিয়া, ব্রুনাই ও জর্ডান।

বাংলাদেশে সুকুক যে নেই তা কিন্তু নয়। সুকুক আছে তবে তা সুকুক নামে নেই। আইবিবিএল এর মুদারাবা পারপিচুয়াল বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জ এ লিসটেড যা সুকুক এর সকল বৈশিষ্ট্য মেনে করা হয়েছে। এর বাইরে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার ইসলামিক বিনিয়ােগ বন্ড (Bangladesh Government Islamic Investment Bond-BGIIB)। এটি চালু হয়েছে ২০০৪ সালে। আরো কিছু আছে দেশের বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকগুলোতে। ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকি কমাতে তারল্য ব্যবস্থাপনার জন্য সুকুকের প্রবর্তন জরুরি।

সুকুক (Sukuk) সম্পর্কে আমরা একটি ভিডিও সংগ্রহ করেছি। যা দেখলে সুকুক (Sukuk) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button