ব্যাংকারদের কয়েকটি অদৃশ্য শিকল
ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশঃ ব্যাংকারদের বেশ কিছু অদৃশ্য শিকল বা প্যারা রয়েছে যা সকলেই জানেন। তারপরও আপনাদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য তুলে ধরলাম।
১। চাবির ঝোপাঃ
চাবির ঝোপা হারালে বুঝবেন চাকুরি অর্ধেক শেষ। সারাজীবন বিপদ ব্যাগে/পকেটে।
২। চাকুরির বন্ডঃ
নির্দিষ্ট সময় চাকুরি করতে বাধ্য। নচেৎ বেতন সব ফেরত।
৩। নিরাপত্তা জামানতঃ
ব্যাংক সচ্ছল প্রতিষ্ঠান তবু টাকার জামানত রেখে জেলের সশ্রম কয়েদির মতো আটকিয়ে রেখে চাকুরি করানো। উদাহরনঃ ক্যাশ বিভাগে যারা কর্মরত।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
৪। যৌথ প্রথাঃ
কোন কাজ একা করা যাবে না। সব ক্ষেত্রে যৌথ স্বাক্ষর। ভুল অন্য করলেও আপনি ধরা খাবেন। আবার আপনি যতই ভালো স্টাফ হোন ঐ মূলা মার্কা আঁতেল এর কাজ শেষ হলে তবে আপনি মুক্ত। আপনার Skill ভূয়া। বেশি কাজ করবেন তো আবার আঁতেলকেও সহযোগিতা করতে হবে।
৫। সময় মূল্যায়নঃ
অফিসে প্রবেশের নির্দিষ্ট সময় আছে কিন্তু বের হবার শেষ সময় নেই। পুরো সিষ্টেমটাই জগা খিচুরি।
৬। সেবা প্রদানঃ
সকাল ১০ টাতেই সেবা প্রদান শুরু করতে হবে কিন্তু ৪ টার পরও প্রায় দিনই সেবা দিতেই হবে। গাছের আগা গোড়া সিদ্ধান্ত সব সেবা গ্রহিতাদের।
৭। ছুটিঃ
রোগে আধা মরা হলেও চাবি, ক্যাশ, সিকিউরিটি বুঝে দিয়ে তবে জানাযার পর আপনাকে কবরে যেতে হবে। নচেৎ নিজ আপনজনকে জবাবদিহি ও দায়বাহক হতে হবে।
৮। অডিট বা বসের আগমনঃ
বস বা অডিট নামে যদি কেউ আসার কথা থাকে তবে আপনার “মা বাবা” মরে গেলেও রেহাই পাবেন না। তাদের জানাযার নামাজ রাতে পড়তে হবে তবু সারাদিন ব্যাংক সেবা দিতেই হবে।
৯। শখঃ
জীবনে নিজ বাড়িতে শখের বসে কোন ফল, ফুল, সবজি, ফসল করে খেতে পারবেন না। সারাদিন বাহিরে ছাগল ও গরু সব শেষ করে দিবে।
১০। ট্রাভেল ও ইবাদতঃ
ছাত্র জীবনে পিতামাতার টাকায় যা পর্যটন ও ইবাদত করেছেন তার বেশি কোনদিন করতে পারবেন না।
১১। ফ্যামিলি লাইফঃ
বিয়েটাও দূর্বল ও কঠিন হয়ে যায়। সুদ, মহা রিক্স ও কাজের সময়সূচীর অনির্ধারিত কারনে ভাল মানুষরা ব্যাংকারদের থেকে সর্বদা দূরে। যারা সম মনের, অসচেতন ও দূর্লভ ভাবে চাকুরি শুধু তারাই আগ্রহী হয়। সবাই আশা করি বুঝে নিবেন।
১২। ঋণ খেলাপির শাস্তিঃ
প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ও চাপে ঋন দিয়ে ঋনদাতা স্টাফ সব হারায়।
১৩। ভুল পেমেন্টঃ
একদিন ভুলে টাকা বেশি প্রদান করলে ও কম গ্রহন করলে বা অন্য হিসাবে গিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গেলে বাড়ি হতে বা বেতন হতে দিতে হয় যদি না খেয়েও থাকে ব্যাংকার।
এসব কি মিথ্যা? ব্যাংকারগন মন্তব্য করুন! পুরানো এসব সিষ্টেম কিছুই কি নতুন রূপ পাবে না?
কার্টেসিঃ সংগৃহীত
জারজ চাকরী