বিশেষ কলাম

সামাজিক ব্যাংকিংয়ের প্রয়োজনীয়তা

সামাজিক ব্যাংকিংয়ের প্রয়োজনীয়তা- দেশে ৫৯টি ব্যাংক ১৬ কোটি মানুষকে নানাভাবে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তবে একেক ব্যাংকের সেবার ধরন একেক রকম। অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যাংকই সেবার মান ও ধরন এমনভাবে নির্ধারণ করে যেন অন্য ব্যাংক থেকে কিছুটা হলেও আলাদা হয়। এ উদ্দেশ্যটা দুই কারণে হয়ে থাকে: প্রথমত, আলাদা সেবা প্রদান করে গ্রাহকদের নিজের দিকে আকৃষ্ট করে অন্যদের তুলনায় মুনাফা বেশি করা। দ্বিতীয়ত, অন্য ব্যাংক যে টার্গেট গ্রুপের জন্য কাজ করছে, তাদের বাদ দিয়ে নতুন টার্গেট গ্রুপের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিয়ে দেশের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা।

সব ব্যাংকই মনে করে, তারা দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করছে। এ বক্তব্যে উদ্দেশ্যের মধ্যে যথেষ্ট ফারাক আছে। ২০০ শতাংশ সুদে যে মহাজন ঋণের কারবার করেন, তিনিও মনে করেন গরিব কৃষকদের ঋণ দিয়ে তিনি সমাজসেবা করছেন। আবার সুদবিহীন ঋণ দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য কাজ করে মনে করছে ওই প্রতিষ্ঠান দারিদ্র্য বিমোচন করে প্রকৃত সমাজসেবা করছে। সব ব্যাংকই যদি সমাজের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে, তাহলে সব ব্যাংক কি সামাজিক ব্যাংকিং পরিচালনা করছে?

জনৈক উদ্যোক্তা একটি বেসরকারি ব্যাংকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের জন্য আবেদন করলে তাকে বলা হলো, ‘আমরা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিই না।’ একজন ব্যবসায়ী সরকারি ব্যাংকে জামানতবিহীন ঋণের জন্য আবেদন করলে তাকে বলা হলো, ‘আমরা জামানতবিহীন ঋণ দিই না।’ জনৈক ক্ষুদ্র শিল্পের মালিক একটি বিদেশী ব্যাংকে ১০ লাখ টাকার চলতি মূলধন ঋণের জন্য আবেদন করলে তাকে বলা হলো, ‘আমরা এত ছোট আকারের ঋণ দিই না।’ একজন আমানতকারী একটি বিদেশী ব্যাংকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে গেলে তাকে বলা হলো, ‘আমরা ৫০ হাজার টাকার কম আমানত নিয়ে সঞ্চয়ী হিসাব খুলি না।’ অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে প্রতিটা ব্যাংকের টার্গেট গ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন।

ব্যাংকের সেবা সবার জন্য অভিন্ন ও উন্মুক্ত হলে কোনো গ্রাহকই কোনো ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হতেন না। আর এ প্রত্যাখ্যানের পেছনে একটি মাত্র কারণ—ওই গ্রাহককে দিয়ে ওই ব্যাংকের মুনাফা অর্জনের পথটা সুগম হবে না। প্রকৃতপক্ষে দেশের সেবা তথা মানুষের সেবার কথা যতই বলা হোক না কেন, সব ব্যাংকেরই প্রকৃত উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা। আর মুনাফাই যদি আসল উদ্দেশ্য হয়, সেখানে মানবসেবা তথা সমাজসেবা হয়ে যায় গৌণ তথা বাই-প্রডাক্ট।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

প্রকৃত অর্থেই দেশের মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে পরিচালিত ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য সামাজিক ব্যাংকিংয়ের উন্মেষ। দেশে কোনো ব্যাংকই সামাজিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত নয়। মুনাফাই সব ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য। আর মুনাফা হলো জনস্বার্থের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক অনুষঙ্গ। একটির উদ্দেশ্য অন্যটির বিপরীত। তাই প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকিংয়ের সমান্তরাল একটি বিকল্প ব্যাংকিং ধারা দেশে গড়ে উঠেছে।

সমাজের সুবিধাবঞ্চিত লোকদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্দেশ্যে বিকল্প ব্যাংকিং ধারা প্রতিষ্ঠা হলেও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে এখানেও মুখ্য উদ্দেশ্য সমাজসেবা ও মানবসেবা নয়। প্রাতিষ্ঠনিক ব্যাংকগুলোর সুদের হারের দ্বিগুণ হারে বিকল্প ধারা যদি ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজসেবার কথা বলে, সেটি অবশ্যই ধোঁকা।

আমাদের দেশে কমবেশি সব ব্যাংকই সামাজিক দায়িত্ব পালন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংকগুলো তাদের আগের বছরের নিট মুনাফার ১০ শতাংশ পর্যন্ত করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) খাতে ব্যয় করতে পারবে। এ নির্দেশনার আলোকে প্রায় প্রতিটা ব্যাংক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবিক সাহায্য, দুর্যোগ মোকাবেলা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি খাতে সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা করে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে ব্যাংকগুলোরও সামাজিক দায়িত্ব পালন করা উচিত।

এ সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো সমন্বিত ব্যবস্থা না থাকায় প্রকৃত টার্গেট গ্রুপ নির্বাচন হয় না এবং সব অঞ্চলে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের কাছে সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া কোন সেবাটা ওই মুহূর্তে বেশি প্রাধান্য পাওয়া দরকার, তা নির্বাচনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় ব্যক্তির পছন্দ ও রুচির ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয় সিএসআর কার্যক্রম, যা থেকে সর্বোত্তম সুফল প্রাপ্তি সম্ভব নয়। এছাড়া এ পদ্ধতিতে স্বচ্ছতার যথেষ্ট ঘাটতি থেকে যায়।

কোনো কোনো ব্যাংক সিএসআর কার্যক্রমের বাইরেও সামাজিক দায়িত্ব পালন করে। যেমন কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান, এসএমইতে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, নারী উদ্যোক্তাদের প্রণোদনামূলক ঋণ প্রদান, শিক্ষাঋণ, কর্মজীবী মহিলা ও সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বেশি সুদহারের আমানত প্রকল্প চালু করা, স্কুল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রণোদনা প্রদান ইত্যাদি।

উল্লিখিত কার্যক্রমগুলো সামাজিক ব্যাংকিং ধারার খণ্ড খণ্ড চিত্র। এসব সামাজিক দায়িত্বের সম্মিলনে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং ধারা রূপায়ণের নামই হলো সামাজিক ব্যাংকিং তথা সোস্যাল ব্যাংকিং।

সামাজিক ব্যাংকিং ধারাকে দুটি ধারায় প্রবাহিত করা যায়—এক. ব্যবসা থেকে যে মুনাফা হবে তা সমাজকল্যাণে ব্যয় করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক ব্যাংকিং; দুই. ব্যবসার আয় ও খরচের খাতকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা, যাতে কোনো অতিমুনাফা না হয়। অর্থাৎ নয় লাভ, নয় ক্ষতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয় সামাজিক ব্যাংকিং। প্রথম ধাপটির যে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি বা অস্বচ্ছতা থাকে, তা সুবিদিত। সুতরাং নিখাদ সামাজিক ব্যাংকিং ধারাটি প্রতিষ্ঠার জন্য দ্বিতীয় ধারাটিই পছন্দ করা আমাদের জন্য যুক্তিযুক্ত।

আধুনিক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রতিষ্ঠার মুখ্য উদ্দেশ্য যেহেতু অতিমুনাফা অর্জন করা, তাই গতানুগতিক উদ্যোক্তাদের দ্বারা সামাজিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা দুরাশা। শুধু সমাজহিতৈষী উদ্যোক্তা কিংবা কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের পক্ষেই এ ধরনের ব্যাংক প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতে পারে। এ ধরনের ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় লাভ কী? লাভ অনেক প্রকারের। সবচেয়ে বড় লাভ হলো দারিদ্র্য বিমোচন। আমাদের ব্যাংকগুলো প্রত্যক্ষভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে খুব বেশি অংশগ্রহণ করে না।

তবে তাদের গ্রাহকদের ব্যবসা যখন সফলতার মুখ দেখে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে দারিদ্র্য বিমোচন কিংবা কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়ে যায়। যেমন ব্যাংকের আর্থিক আনুকূল্যে কারখানা প্রতিষ্ঠিত কারখানায় এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হলে ওই কর্মসংস্থান কিংবা দারিদ্র্য বিমোচনের প্রচেষ্টা অপ্রত্যক্ষ। কারণ সব উদ্যোক্তাকে ব্যাংক সহায়তা দিতে চায় না। তার লাভের হিস্যা নিশ্চিত হওয়ার পরই ওই শিল্পের উদ্যোক্তাকে সহায়তা দেয়া হয়। এ ধরনের ব্যাংককে তাই সামাজিক ব্যাংকিং ধারার ব্যাংক বলা যাবে না।

সামাজিক ব্যাংকিংয়ে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের স্বার্থের চেয়ে দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই এ ধরনের ব্যাংকের নীতিমালা এমনভাবে প্রণয়ন করা হয়, যাতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীই বেশি উপকৃত হয়। আর এ কাজটি করতে গিয়ে ব্যাংক একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মতো ভূমিকা পালন করে। উদ্যোক্তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য ব্যাংক উদ্যোক্তাদের আর্থিক শিক্ষা প্রদান, ব্যবসায় শিক্ষা প্রদান, বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান এবং মেন্টরিং করে।

উদাহরণস্বরূপ, কোনো এক উদ্যোক্তা পর্যাপ্ত জামানত (সিকিউরিটি) রেখে একটি স্টিল মিল স্থাপনের জন্য আবেদন করলে গতানুগতিক ব্যাংক ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবে বলে ঋণ সুবিধা দিতে পিছপা হবে না। কিন্তু সামাজিক ব্যাংকে ওই প্রস্তাব এলে ব্যাংক বাজার পরিস্থিতি অনুসন্ধান করে হয়তো বলবে—দেশে স্টিল মিল অনেক হয়ে গেছে, তাই নতুন উদ্যোক্তারা এ খাতে সুবিধা করতে পারবে না। তাকে ওই ব্যাংক জুতসই কোনো শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য পরামর্শ দেবে এবং মেন্টরিংয়ের মাধ্যমে তার ব্যবসার গতিপথ বাতলিয়ে দেবে। দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ ধরনের সামাজিক ব্যাংকিং করে না বলে এর বিকল্প হিসেবে কিছু বেসরকারি সংস্থা এ কাজে এগিয়ে এসেছে।

তাদের মাধ্যমে প্রচুর সেবাকর্ম দেশে চালু হলেও তাদের মাধ্যমে নিখাদ সামাজিক ব্যাংকিং সেবা যে পরিচালিত হচ্ছে, তা বলা যাবে না। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থে তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সামাজিক ব্যাংকিংয়ে এগিয়ে আসা উচিত। সমাজে অনেক উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো নিঃস্বার্থভাবে সমাজের জন্য কাজ করতে চায়। তাদেরকে ব্যাংকিং ব্যবসার সুযোগ দেয়া গেলে জনগণ একদিকে কম খরচে ব্যাংকিং সেবা পাবে, অন্যদিকে দারিদ্র্য বিমোচন হবে। এ ধরনের ব্যাংক সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের মতো ভূমিকা রাখে বলে এ ব্যাংকগুলোর আয়কে করমুক্ত রাখা বাঞ্ছনীয়।

গতানুগতিক ব্যাংকগুলো কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগের আগে দেখে ওই প্রকল্পে বিনিয়োগের ফলে কত বেশি মুনাফা করতে পারবে। আর সামাজিক ব্যাংক ওই প্রকল্পে বিনিয়োগের সময় দেখবে দেশের কতটুকু কর্মসংস্থান হবে কিংবা দারিদ্র্য বিমোচন হবে। কর্মসংস্থানের কারণে দেশ বেশি উপকৃত হলে মুনাফা যদি না-ইবা আসে, সামাজিক ব্যাংক এক্ষেত্রে আগ্রহ হারাবে না, অথচ সেক্ষেত্রে গতানুগতিক ব্যাংকের কোনো আগ্রহ থাকবে না।

এ ধরনের সামাজিক ব্যাংক যারা প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়, তাদেরকে জাতি সাধুবাদ জানাবে আর সরকারেরও এ ধরনের ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেয়া জরুরি। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পল্লী শাখাগুলোকে সামাজিক ব্যাংকিংয়ের আওতায় এনে ব্যাংকগুলো এ ধারার সূচনা করতে পারে। এতে ব্যাংকবহির্ভূত এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণের জাল থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠী মুক্তি পাবে।

সামাজিক ব্যাংকিং মানবসেবার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে। সমাজকল্যাণের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তার সংখ্যা এ দেশে কম নয়। এদের ইচ্ছাটাকে কাজে লাগাতে পারলে ব্যাংকিং তথা অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। কারণ তারা এ বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন জনহিতকর ও জনকল্যাণে, নিজের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে নয়।

যে সামাজিক ব্যাংক পরিবেশ রক্ষা করে প্রকল্প চালনায় উদ্বুদ্ধ করে, যে সামাজিক ব্যাংক কম সুবিধাভোগী মানুষের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে, যে সামাজিক ব্যাংক অনৈতিক ব্যবসায় বিনিয়োগ পরিহার করে এবং যে সামাজিক ব্যাংক মুনাফাকে মুখ্য মনে না করে সেবাকে মুখ্য মনে করে, সে সামাজিক ব্যাংকে নৈতিক ও মানবিক গুণাবলির লোকেরা ব্যাংকিং করতে এগিয়ে আসবে এবং বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেই। আমরা সামাজিক ব্যাংকিংয়ের ধারায় কখন পথ চলা শুরু করব, তার প্রতীক্ষায় আছি।

লেখকঃ ড. এস এম আবু জাকের, ব্যাংকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button