ব্যাংকার

স্মার্ট শাখা ব্যবস্থাপনা

অন্যকে দিয়ে কাজ করানো সহজ, খুশি মনে কাজ করানোটা গুরুত্বপূর্ণ। সহকর্মীর শ্রদ্ধা পাওয়াটা সহজ হতে পারে, কিন্তু তাদের মনে শ্রদ্ধার জায়গাটা দখল করা কঠিন। অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করা যায়, কিন্তু তাতে অধীনস্থরা তাদের মাথার উপর বটবৃক্ষ আছে বলে মনে করে না, তেঁতুল গাছ মনে করে।

আবার একটি পুরনো গাড়ির স্টেয়ারিং এ বসে চালাতে থাকলেন, তাতে যাত্রীরা আপনাকে ব্যতিক্রম কিছু ভাববে না। নতুন কিছু যুগোপযোগী ভাবনা এবং এর যথার্থ প্রয়োগ করে আপনি সবার কাছে আকর্ষণীয় চালক হয়ে উঠতে পারেন। একজন চালক কেবল গাড়ি চালাবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সে যদি ইঞ্জিনের কাজটি জানে, পাশাপাশি ধোয়ামুছার কাজটিও করে, তবে তার কি তুলনা হয়? সে কি মাঝ পথে আটকাবে? মোটেও না।

স্মার্ট শাখা ব্যবস্থাপনা
স্মার্ট শাখা ব্যবস্থাপনা বলতে- শাখার সামগ্রীক কাজের যুগোপযোগী দক্ষতা এবং প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন করে মানবীয় গুনাবলীর দ্বারা সহকর্মী এবং গ্রাহক কে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন করা কে বুঝায়। যেখানে সহকর্মীবৃন্দ এবং গ্রাহক উভয়ই ব্যবস্থাপকের প্রতি সর্বদা পজেটিভ মনোভাব পোষন করে।

শাখার ব্যবস্থাপক যদি সবার নিকট গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠেন, তবে সে শাখার সামগ্রীক সেবার মান সবার নিকট গ্রহনযোগ্য হতে বাধ্য। আর সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠতে হলে একজন ব্যবস্থাপক কে নিন্মোক্ত গুনাবলী অর্জন করা বাঞ্চণীয়-

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।
  • শাখার সামগ্রীক কর্মকান্ডে দক্ষতা অর্জন।
  • যুগোপযোগী প্রযুক্তি জ্ঞান।
  • মানবীয় গুণাবলী অর্জন।
  • নির্লোভ এবং সততা।
  • গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার প্রায়োগীক গুণ।
  • পেশাদারী মনোভাব।
  • যোগাযোগের দক্ষতা।
  • সহকর্মীদের অনুপ্রেরণা।
  • নতুন নতুন ভাবনা।
  • সহকর্মী এবং সেবা গ্রহীতার জায়গায় দাড়িয়ে তাদের মনোভাবকে উপলব্দি করা ইত্যাদি।

উপরোক্ত গুণাবলী থাকলে একজন ব্যবস্থাপক তার শাখায় স্মার্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন। মান্ধাতার আমলের ব্যবস্থাপনা কেীশল বর্তমানে অচল প্রায়। বিশেষ করে এগ্রেসিভ ব্যবস্থাপনা। এগ্রেসিভ ব্যবস্থাপনার দিন শেষ। অদক্ষ এবং অজ্ঞরাই নিজেদের দুর্বলতা কে ঢাকতে সহকর্মীদের উপর আগ্রাসী ভূমিকা রাখে। এগ্রেসিভ ব্যবস্থাপনায় সহকর্মীরা হয়তো ব্যবস্থাপকের নির্দেশ মানতে বাধ্য হন, কাজও আদায় করে নেয়া যায়, তবে তারা তা মন থেকে করে না বরং কর্মীরা তাদের কাজে তৃপ্তির চেয়ে বিরক্তই হয়ে থাকে বেশি।

স্মার্ট শাখা ব্যবস্থাপনায় সহকর্মীদের মনে প্রশান্তি থাকে, যার ফলে কর্মীদের কাছ থেকে সর্বোত্তম উপযোগীতা আদায় করে নেয়া যায়। যা কিনা প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

লেখকঃ মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ব্যাংকার

একটি মন্তব্য

Leave a Reply to Nazrul Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button