স্কুল ব্যাংকিং

স্কুল ব্যাংকিংয়ের সঞ্চয় ভবিষ্যৎ পাথেয়

ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশঃ ব্যাংকে অর্থ সঞ্চয় নিরাপদ ও লাভজনক। স্কুলের ছেলেমেয়েরা সঞ্চয়ের ব্যাপারে অনেকেই উদাসীন। অনেক অভিভাবকও মনে করেন যে, স্কুল বয়সে অর্থ সঞ্চয় করার দরকার কি? আশার কথা এই যে, আমাদের দেশে ২০১০ সাল থেকে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের এ উদাসীনতা দূর করার চেষ্টা চলছে। একথা সত্য যে, ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ের অভ্যেস গড়ে উঠলে ভবিষ্যতে অর্থকষ্ট নাও হতে পারে।

ছোটবেলার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বাড়তি খরচ যোগান দেয়া যেতে পারে। অর্থ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদেরই ভুল বেশি হয়ে থাকে। শিক্ষার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের মনোভাব স্কুল বয়সে তৈরি করা যেতে পারে। খুব সীমিত টাকার মধ্যে কিভাবে চলতে হবে, অর্থাৎ মিতব্যয়িতার অভ্যাস ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। অর্থের অপব্যয় প্রতিরোধের কৌশল সকলের জানা থাকা দরকার। অর্থ সঞ্চয় করা ও মিতব্যয়ী হওয়া তথা অর্থ ব্যবস্থাপনার জ্ঞান ও দক্ষতা মানুষকে অপরিণামদর্শিতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। কিভাবে সঞ্চয় শুরু করতে হবে এবং সঞ্চয় করার সর্বোত্তম উপায় কি-তা অনেকেরই জানা থাকে না। ফলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।

একটি ভালো সঞ্চয় অভ্যেস গড়ে তোলার মাধ্যমে জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতির ফলে সৃষ্ট অনিশ্চিত ভবিষ্যত মোকাবেলা করা সহজ। দুনিয়াব্যাপী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা খরচ, টিউশন ফি ইত্যাদি ক্রমবর্ধমান। তাছাড়া অর্থ-সম্পর্কিত জ্ঞান ও শিক্ষার অভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক সময় বিপদে পড়ে। শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবন শুরু করার আগে বেকার যে সময়টা পার হয়ে যায়; সে দুঃসময়ের জন্য ছাত্রজীবনের সঞ্চয় বেশি উপকারী। আবার বৃদ্ধ অবস্থায় জীবনযাপনের জন্য যৌবনকালের সঞ্চয়ও উপকারী। অথচ অনেকেই বাল্যকাল ও যৌবনকালকে অর্থ সঞ্চয়ের কালের চাইতে ভোগের কাল হিসেবে পছন্দ করে থাকেন। যদিও তা দূষণীয় নয়, তথাপি উভয়ের মধ্যে সমতা থাকা ভালো৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button