স্কুল ব্যাংকিং

স্কুল ব্যাংকিং-ব্যাংকিং শুরু হোক শৈশব থেকেই

সাধারণের মনে একটি ধারণা দীর্ঘদিন ধরেই বদ্ধমূল রয়েছে যে, ব্যাংক মানেই টাকাওয়ালাদের প্রতিষ্ঠান। টাকাওয়ালারা এখানে টাকা জমা রাখবেন, আর টাকা খাটানোর মতো সামর্থ্যবানরা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করবেন, বাড়ি-গাড়ি করবেন এটাই যেন ব্যাংকিংয়ের সাধারণ বৈশিষ্ট্য।

কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান ব্যাংক ব্যবস্থা এ সংকীর্ণ ধারণা থেকে বহু আগেই বেরিয়ে এসেছে, এগিয়ে গেছে বহুদূর। ব্যাংকিং এখন আর শুধু টাকা জমা রাখা তথা আমানত গ্রহণ, আর ঋণদানের ব্যবসা নয়। ব্যাংকিং কার্যক্রমের পরিধি এখন সুবিশাল। ব্যাংক এখন বিশেষ কিছু মানুষের বা বিশেষ কিছু পেশার নয় ব্যাংক এখন ধনী-গরিব, শিশু-যুবক-বৃদ্ধ, বেকার, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, অবসরপ্রাপ্ত, পথশিশু-শ্রমিক, গৃহিণী, ছাত্র, নিরক্ষর-স্বাক্ষর, প্রতিবন্ধী, সক্ষম, অক্ষম সবার জন্য। ব্যাংকিং এখন শুধু ব্যবসা নয়, ব্যাংকিং এখন সেবামূলক ব্যবসা এবং দায়বদ্ধতাও বটে। এ সেবা ও দায়বদ্ধতার দৃষ্টিকোণ থেকেই দেশের সব ক্ষেত্রের প্রতিটি মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসতে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তি’ ধারণা সৃষ্টি করেছে। এর মাধ্যমে শারীরিক অক্ষমতা, বয়স, নিরক্ষরতার মতো প্রতিবন্ধকগুলো দূর করে দিয়ে ব্যাংকিংকে উন্মুক্ত করা হয়েছে সব বয়সের, সব পেশার, সব মানুষের জন্য।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং ধারণা থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১০ সালের ২ নভেম্বরের পরিপত্রের নির্দেশনা মতে তফসিলি ব্যাংকসমূহ স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। ২০১১ সালে সারা দেশে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয় ২৯ হাজার ৮০টি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৬টি হিসাবের বিপরীতে জমাকৃত সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলোর কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এ সেবাপ্রক্রিয়া আরও বেগবান করে অধিক সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা গেলে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পাবে। ছাত্রছাত্রীরা আর্থিক সেবা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের যুক্ত করার প্রাথমিক সুযোগ পাবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা শিশু ও কিশোর বয়স থেকেই সঞ্চয়ী হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংকিং ও অর্থনীতির মৌলিক বিষয়ে ধারণা পাবে। সর্বোপরি, এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক শিক্ষা (ফিন্যান্সিয়াল লিটার‌্যাসি) ও আর্থিক নিয়মাচারের (ফিন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিন) প্রসার ঘটবে। তবে এর জন্য ব্যাংকারদের একার প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয়, যারা শিক্ষক আছেন তাদেরও এক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে হবে। শিক্ষকরা হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, ‘আমরা শিক্ষক মানুষ, নিজেরাই ব্যাংকিং অতটা বুঝি না, আমরা আমাদের ছাত্রদের ব্যাংকিং শিখাব কীভাবে, আর শিখাতে যাবই-বা কেন?’

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

উত্তরটা হচ্ছে, ব্যাংকিং কোনো রকেট সায়েন্স নয়। আপনার ছাত্রছাত্রীদের ব্যাংকিংয়ের আদ্যোপান্ত শিক্ষা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে না, তাদের মধ্যে আর্থিক জ্ঞানের কুঁড়ি গজানোই স্কুল ব্যাংকিংয়ের উদ্দেশ্য। আর পরিপূর্ণ মানুষ হতে গেলে আর্থিক শিক্ষা এবং আর্থিক সততা বাঞ্ছনীয়। তাছাড়া আজকের ছাত্রছাত্রীরাই তো আগামীর ভবিষ্যৎ। তাহলে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের স্থপতি আজকের এ ছাত্রছাত্রীদের ব্যাংকিং চর্চা ১৮ বছরের পরে কেন? তাদের ব্যাংকিংয়ের ভিত্তি আজই তৈরি হোক। অর্থনীতির বীজ আজই রোপণ করা হোক প্রতিটি ছাত্রের মাঝে। তাদের মধ্যে থেকেই কেউ দেশের নেতৃত্ব দেবেন, কেউ প্রশাসন চালাবেন, কেউ ব্যাংকার হবেন, কেউ শিল্পপতি হবেন, কেউবা হবেন উদ্যোক্তা। আর যদি এসব না-ও হন, তবুও দৈনন্দিন জীবনে অর্থ তথা ব্যাংকিংয়ের প্রয়োজন উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে আমরা দেখেছি, নাবালক ছাত্রসমাজ আমাদের সাবালক দেশ ও জাতিকে কীভাবে সামাজিক সংস্কারের শিক্ষা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলার প্রতি আনুগত্য শিক্ষায় তাদের সক্রিয় ভূমিকা দেখে মনে হয়েছে, সাবালকত্ব অর্জনের জন্য বয়স নয়, প্রয়োজন শিক্ষা, বুদ্ধি আর বিবেক। তাহলে এ সমাজসচেতন ছাত্রসমাজের ব্যাংকিংয়ে বয়স তথা সাবালকত্বের বাধ্যবাধকতা কেন?

বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় এ প্রতিবন্ধক পুরোপুরি দূর করা হয়ত সম্ভব নয়, কারণ ১৮ বছরের কম বয়সী যে কারও অ্যাকাউন্ট নাবালকের অ্যাকাউন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলার সময় নাবালকের অ্যাকাউন্টের আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করতে হয়। এ আলোকে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকেই কীভাবে এ নাবালকদের ব্যাংকিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা যায় এতদ্বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোকে বিশদ নির্দেশনা দিয়েছে। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে মূল বিষয়গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো:

স্কুল ব্যাংকিং হিসাব কে খুলতে পারবে
শুরুতে ছয় থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী ছাত্রছাত্রীরা স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে পারত। কিন্তু বর্তমানে ১৮ বছরের কম বয়সী যে কোনো ছাত্রছাত্রীই স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে পারে।

হিসাব পরিচালনাকারী
ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে বাবা, মা বা আইনগত অভিভাবকের মাধ্যমে হিসাবটি পরিচালনা করতে হবে। অর্থাৎ হিসাবটি খোলা হবে ছাত্রছাত্রীর নামে, কিন্তু পরিচালনা করবে বাবা/মা/আইনগত অভিভাবক। যেমন, চেক বই ইস্যু করা হলে চেকে সই করবে হিসাব পরিচালনাকারী বাবা/মা/আইনগত অভিভাবক।

হিসাবের প্রকৃতি
এরূপ হিসাব সঞ্চয়ী হিসাব আকারে খোলা যাবে। তবে, প্রয়োজনে এ হিসাব হতে স্থানান্তরের মাধ্যমে যে কোনো সঞ্চয়ী স্কিম হিসেব খোলা যাবে।

ন্যূনতম প্রারম্ভিক জমা
প্রাথমিক ১০০ (একশত) টাকা জমা দিয়েই হিসাব খোলা যাবে।

সার্ভিস চার্জ/ফি
এরূপ হিসাবসমূহ হতে সরকারি ফি ব্যতীত অন্য কোনো ধরনের ব্যাংকিং চার্জ/ফি (সার্ভিস চার্জ/অ্যাকাউন্ট মেইন্ট্যানেন্স ফি ইত্যাদি) কর্তন করা হবে না। চেক বই, ডেবিট কার্ডের চার্জের ক্ষেত্রেও ব্যাংকগুলোকে উদার দৃষ্টি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রছাত্রীদের বেতন/ফি সংগ্রহ
এসব হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতন/ফি ও অন্যান্য ফি সংগ্রহ (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে) করতে পারবে।

বৃত্তি/উপবৃত্তির অর্থ জমা
ছাত্রছাত্রীদের সব ধরনের বৃত্তি/উপবৃত্তির অর্থ তাদের স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে জমা করা যাবে। এক্ষেত্রে, বৃত্তি/উপবৃত্তি প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করতে হবে।

হিসাবের ভবিষ্যৎ
হিসাবধারীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিসাবধারীর সম্মতি সাপেক্ষে এবং নতুন টিপি, কেওয়াইসি ও এতদসংক্রান্ত ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে স্কুল ব্যাংকিং হিসাবটি সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাবে রূপান্তরিত হবে।

হিসাব খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এক. ছাত্রছাত্রীর জন্ম নিবন্ধন সনদ;
দুই. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র/প্রত্যয়ন পত্র/সর্বশেষ মাসের বেতন রশিদের সত্যায়িত (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক) অনুলিপি;
তিন. ছাত্রছাত্রীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত);
চার. হিসাব পরিচালনাকারী বাবা/মা/আইনগত অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র;
পাঁচ. হিসাব পরিচালনাকারী বাবা/মা/আইনগত অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (পরিচয়দানকারী কর্তৃক সত্যায়িত);
ছয়. নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র; ও
সাত. নমিনির পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (হিসাব পরিচালনাকারী কর্তৃক সত্যায়িত)।

স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের প্রচার-প্রচারণা ও কার্যকারিতার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের মাঝেও ব্যাংকিং জ্ঞান-সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এখনও অনেক ব্যাংক গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে চেক লিখতে পারেন না, জমাস্লিপ যথাযথভাবে পূরণ করতে জানেন না। এ কার্যদ্বয় সম্পাদনে তাদের ভরসা তাদের ব্যাংকার, অথবা তার বাড়ির স্কুল বা কলেজগামী নাবালক সন্তানটি। মোবাইলে ১১ ডিজিট চেপে কল করা-ই যে অভিভাবকের পক্ষে দুঃসাধ্য, তার পক্ষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন অপশন, যেমন- ‘বায় এয়ারটাইম’, ‘সেন্ড মানি’, ‘ক্যাশ আউট’ ইত্যাদি ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা নিশ্চয়ই সহজ হওয়ার কথা নয়! কিন্তু বর্তমানে তো তা-ও সম্ভব হচ্ছে। কৃষক বাবার স্কুলগামী ছেলে বা মেয়েটিই তার বাবার মোবাইল ফোনের এসএমএস পাঠ করে শোনাচ্ছে; ‘সেন্ড মানি’, ‘বায় এয়ারটাইম’, ‘বিলপে’ সেবাগুলো এক্সিকিউট করছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে যত বেশি ব্যাংকিং সম্পৃক্ত করা যাবে, ততই দেশের আপামর জনগণ তথা আনব্যাংকড জনসংখ্যার বৃহৎ অংশকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসা যাবে।

এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের নিয়মিত সচেতনতামূলক সেমিনার, কনফারেন্সের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন প্রচারণামূলক ক্যাম্পেইন, শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাংকিং কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়াতে তাদের জন্য পুরস্কার ও বৃত্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের উপযোগী আর্থিক শিক্ষা উপকরণ (পুস্তিকা, লিফলেট, ব্রশিউর, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, ভিডিও প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি) প্রস্তুত করা যেতে পারে। প্রতিটি ব্যাংক শাখা তাদের নিজ নিজ এলাকায় নিয়মিত স্কুল ব্যাংকিং তথা আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলে এবং শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের সঞ্চয় সংগ্রহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ কালেকশন বুথ বসালে শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞানভিত্তিক সচেতনতা আরও বাড়বে। আরও যা দরকার তা হচ্ছে, দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের আর্থিক লেনদেন, যেমন: ভর্তি ফি, টিউশন ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, বৃত্তি, উপবৃত্তির টাকাসহ একাডেমিক সব লেনদেন ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের মাধ্যমে তথা ব্যাংকভিত্তিক করা হলেই স্কুল ব্যাংকিং তার পূর্ণ বিকাশ লাভ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারকেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য স্কুল ব্যাংকিং সহায়ক আর্থিক লেনদেন বিধি প্রণয়ন করে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। আর তা করা সম্ভব হলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নতুন মাত্রা পাবে এবং ব্যাংকিংয়ের ডিজিটাইজেশনও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

লেখকঃ মোশারফ হোসেন, ব্যাংক কর্মকর্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button