স্কুল ব্যাংকিং

স্কুল ব্যাংকিং হিসাবঃ বিভিন্ন ব্যাংকের মুনাফার হার

ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশঃ স্কুলের শিক্ষার্থীদের আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা ও প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করতে ২০১০ সালের ২ নভেম্বর স্কুল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয়। স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় ৬ থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা তাদের মা-বাবা অথবা বৈধ অভিভাবকের সঙ্গে যৌথ নামে হিসাব খুলতে পারে। মাত্র ১০০ টাকা প্রাথমিক জমা দিয়ে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ব্যাংক শাখায় এই হিসাব খোলা যায়।

এ হিসাবে কোনো চার্জ আরোপ করা হয় না। এ কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে বেতন-ফি জমা দিতে পারবে। বৃত্তি বা উপবৃত্তির অর্থ স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় শিক্ষার্থীদের হিসাবে জমা করা যায়। সে ক্ষেত্রে বৃত্তি প্রদানকারী সরকার, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত কিংবা বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা ও প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করতে ২০১০ সালের ২ নভেম্বর স্কুল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয়। এ পর্যন্ত শিশুরা সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা সঞ্চয় করেছে। যেখানে শিশুদের সর্বনিম্ন মুনাফা দেওয়া হয়েছে ৪ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ দেওয়া হয় ৮ শতাংশ। স্কুলগামী ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মুনাফা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না অধিকাংশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের প্রধান ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সেবা দিতেই এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে শিশুদের সর্বোচ্চ মুনাফা দিতে। কেন কম দেওয়া হয়েছে সে জন্য আমরা তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করব।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

✔ স্কুল ব্যাংকিং পরিচালনা করে এমন ৪৬টি ব্যাংকের তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেখা যায় ব্র্যাক, ডাচ বাংলা, ন্যাশনাল, সিটি ব্যাংক, পূবালী ও অগ্রণী ব্যাংক সর্বনিম্ন ৪ শতাংশ মুনাফা দেয়।
✔ আল আরাফাহ ইসলামী, সাউথ ইস্ট, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, যমুনা, এক্সিম, ঢাকা ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংক ৫ শতাংশ করে মুনাফা দেয়।
✔ ইউসিবিএল, আইএফআইসি ব্যাংক, এনসিসি, সোনালী, জনতা ব্যাংক ৬ শতাংশ করে মুনাফা দেয়।
✔ প্রিমিয়ার ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, বিডিবিএল ও শাহজালাল ব্যাংক সাড়ে ৬ শতাংশ মুনাফা দেয়।
✔ ব্যাংক এশিয়া, স্ট্যান্ডার্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক দেয় ৭ শতাংশ করে মুনাফা।
✔ ইস্টার্ন ব্যাংক, এনআরবি এবং এসআইবিএল ব্যাংক সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ করে মুনাফা দেয়।

এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (ABB) সভাপতি ও ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিংয়ে উৎসাহিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করি সর্বোচ্চটা দিতে। তবে অনেক সময় ব্যবসায়িক পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button