স্কুল ব্যাংকিং

স্কুল ব্যাংকিং হিসাব কার্যক্রম

ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশঃ ০৬ থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাব খুলতে পারবে, যা তাদের বাবা-মা অথবা আইনগত অভিভাবকের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সঞ্চয়ী হিসাব আকারে শিক্ষার্থীদের এসব হিসাব খোলা যাবে, যা প্রয়োজনে স্থানান্তরের মাধ্যমে ১০০ টাকা জমা দিয়ে সঞ্চয়ী স্কীম খোলা যাবে।

এসব হিসাবের বিপরীতে এটিএম কার্ড (শুধুমাত্র ডেবিট কার্ড) ইস্যু করা যাবে। এটিএম কার্ডের মাধ্যমে এবং পয়েন্ট অব সেলসে (Point of Sale) মাসিক উত্তোলন সীমা হবে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা। তবে, অভিভাবকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই সীমা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করা যাবে। এসব হিসাব থেকে সরকারি ফি ছাড়া অন্য কোনো প্রকার সার্ভিস চার্জ বা ফি নিতে পারবে না কোনো ব্যাংক। এটিএম কার্ড ইস্যু ও নবায়ন করার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

এসব হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতন, ফি ও অন্যান্য ফি সংগ্রহ (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে) করতে পারবে।

হিসাব খোলার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র, অভিভাবকের সর্বশেষ মাসের বেতন রশিদের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে হবে। এসব দলিলাদি বাধ্যতামূলকভাবে ব্যাংক সংরক্ষণ করবে। হিসাবে জমাকৃত অর্থের উৎসের আইনগত বৈধতার বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে এবং সম্পাদিত লেনদেন সে প্রেক্ষিতে যৌক্তিক হতে হবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংকিং কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ব্যাংকগুলোর শাখা স্বতন্ত্র কাউন্টার বা ডেস্ক স্থাপন করতে পারে। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এই কাউন্টারে ছাত্র-ছাত্রীদের হিসাবে জমা ও উত্তোলনসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করবে।

শিক্ষার্থীদের সব ধরনের বৃত্তি ও উপবৃত্তির অর্থ এই হিসাবগুলোতে জমা করা যাবে। এক্ষেত্রে, বৃত্তি, উপবৃত্তি দাতা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করতে হবে। হিসাবগুলোতে শিক্ষা বীমা সুবিধা দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা আর্থিক সঙ্কটে বীমার আওতায় সহায়তা পায়।

হিসাবধারীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিসাবধারীর সম্মতির প্রেক্ষিতে এরূপ হিসাব সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাবে রূপান্তরিত হবে এবং তা চালু থাকবে।

তবে হিসাব খোলার সময় মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ক আইন পরিপালন করতে হবে। এজন্য প্রত্যেক গ্রাহকের কেওয়াইসি (Know Your Customer) রাখতে হবে। গ্রাহক ও গ্রাহকের অভিভাবক উভয়কেই কেওয়াইসি ফরমে স্বাক্ষর করতে হবে। গ্রাহককে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

সঞ্চয়ের মাধ্যমে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থনৈতিক তথা ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিং প্রচলন করার জন্য সকল তফসিলী ব্যাংককে পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারই ধারাবাহিকতায় অধিকাংশ তফসিলী ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছে। বর্তমানে ৪৬টি ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button