ফরেন এক্সচেঞ্জ

এলসি বা লেটার অব ক্রেডিট করার নিয়ম

বিদেশ থেকে পণ্য বা যন্ত্রাংশ আমদানী করার জন্য অবশ্যই ব্যাংকের মারফত LC করতে হয়। এই এলসির মাধ্যমেই সরবরাহকারীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে পন্য আমদানি রপ্তানি করে থাকে। LC করতে হলে সবার আগে আপনার কোম্পানীর TIN, VAT রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। এরপর ব্যাংকে গিয়ে কোম্পানীর নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।

তারপর ব্যাংক থেকে LCA ফর্ম কালেক্ট করে পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হয়। এই ফর্মে কিছু তথ্য প্রদান করতে হয়। যেমন কি পন্য, দাম কত, কোন দেশ থেকে আসবে প্রভৃতি। LC (Letter of Credit) সাধারণত ৫টি ধাপ বা পর্যায়ে করতে হয়। নিচে ধাপ বা পর্যায়গুলো ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

পর্যায় ১ঃ
কোম্পানীর Trade লাইসেন্স, TIN, VAT নিবন্ধন করে নিন। IRC (Import Registration Certificate) নিবন্ধন করে নিন।

পর্যায় ২ঃ
কোন ব্যাংকে কোম্পানীর নামে একটি Account খুলে নিন।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

পর্যায় ৩ঃ
যে পন্য আনবেন তার Indent কালেক্ট করে নিন। ধরা যাক আপনি ১৫ টন নিউজ প্রিন্ট কাগজ আনবেন কোরিয়া থেকে। এখন যে কোম্পানী থেকে আনবেন সে কোম্পানীর বাংলাদেশ প্রতিনিধির কাছে গিয়ে দাম দর ঠিক করে একটা ডকুমেন্ট নেবেন। এটাকেই Indent বলে।

আর সে কোম্পানীর যদি বাংলাদেশ প্রতিনিধি না থাকে তাহলে সে কোম্পানীতে সরাসরি মেইল করে দাম ঠিক করে ডকুমেন্ট আনাতে হবে। তখন এটাকে বলা হয় PI (Proforma Invoice)। এতে পণ্যের বিস্তারিত, দাম, পোর্ট অব শিপমেন্ট এসব তথ্যাদি থাকে।

পর্যায় ৪ঃ
ব্যাংক থেকে LCA (Letter of Credit Application) ফর্ম কালেক্ট করে Indent/ PI (Proforma Invoice) অনুযায়ী তা পূরন করে ব্যাংকে জমা দিন।

পর্যায় ৫ঃ
LC মার্জিন জমা দেয়া। প্রথম দিকে ব্যাংকে পুরো টাকাটাই জমা দিতে হবে। ধরা যাক LC ভ্যালু ২০,০০০ ডলার। ব্যাংক এ আপনাকে ১৬ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। তবে আস্তে আস্তে ব্যাংকের সাথে ব্যবসা বাড়লে তখন ১০-২০% মার্জিন দিয়ে LC খুলতে হবে। টাকার সাথে অন্যান্য কিছু ডকুমেন্টও দিতে হবে।

যেমনঃ
১. আপনার কোম্পানীর সব কাগজ যেমন- ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্যাট, আইআরসি, ইনডেন্ট/ পিআই এর ৩/৪ টি কপি।
২. সাপ্লায়ার কোম্পানীর ব্যাংক ক্রেডিট রিপোর্ট।
৩. ইন্সুরেন্স কভার নোট (যে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইনডেন্ট দেখিয়ে ফি দিয়ে এটা নিতে হবে)।

এরপর ব্যাংক আপনাকে এলসির একটা কপি দেবে। অরিজিনালটা পাঠিয়ে দেবে বিদেশে সাপ্লাইয়ারের কাছে।

আরও দেখুন:
ফরেক্স বা ফরেন এক্সচেঞ্জ কি?
ফরেক্স ও শেয়ার মার্কেটের মধ্যে পার্থক্য কী?
ফরেক্স মার্কেট বনাম স্টক মার্কেট
ফরেন এক্সচেঞ্জ এর জরুরী কিছ‌ু নোট

২ মন্তব্য

    1. এলসির সর্বনিম্ন কোন পরিমান নেই।
      Import of any permissible item for an amount not exceeding US Dollar 100,000/- (hundred thousand) is allowed only during each financial year against remittance made from Bangladesh, but in case of Myanmar—

      (1) Import of rice , pulse, maize, beans, ginger, garlic, soyabin oil, palm oil, onion and fish items valued not exceeding 50,000/- (fifty thousand) US dollar in a single consignment and other items valued 30,000/-(thirty thousand) US dollar and
      (2) Import of rice under Public Sector valued upto US dollar two million in a single consignment shall be importable without L/C and in this case above mentioned annual ceiling of hundred thousand US dollar shall not be applicable.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button