বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

সেবা খাতের আয় দেশে আনার পদ্ধতি সহজ হলো

সেবা খাতের আয় দেশে আনার পদ্ধতি সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত যে কোনো পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে ফ্রিল্যান্সার ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে পারবে। সেবা সরবরাহকারী আন্তর্জাতিক মার্কেট প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে মার্চেন্ট হিসাব পরিচালনাসহ বিদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীরা নোশনাল হিসাব করতে পারবে।

আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (এফই সার্কুলার নং-৩৩) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সকল অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরও দেখুন:
◾ আগামী বুধবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে

এর আগে সেবা খাতের আয় প্রত্যাবাসনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১১ সালে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে বিদেশে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারদের (ওপিজিএসপি) সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দেয়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, সেবা সরবরাহকারী আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস বা প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে মার্চেন্ট হিসাব পরিচালনাসহ বিদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীরা যোগ্য হিসেবে কাজ করতে পারবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস বা প্ল্যাটফর্মে কিংবা বিদেশি পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকের নস্ট্রো হিসাবে (বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব) জমা করা অর্থ ওই ব্যাংক পরবর্তীতে সেবা প্রদানকারী গ্রাহকের হিসাবে জমা করবে।

এক্ষেত্রে এডি ব্যাংক সেবা প্রদানকারীর কাছ থেকে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস বা প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে পরিচালিত মার্চেন্ট হিসাব পরিচালনা এবং বিদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে তার হিসাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেবে। এরপর সেবা প্রদানকারীর কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যাদিসহ ঘোষণা নিতে হবে এবং সেবা খাতের বিপরীতে প্রাপ্ত আয় গ্রাহকের হিসাবে জমা হবে।

নতুন নির্দেশনায় গ্রাহকের স্থানীয় ডিজিটাল ওয়ালেটে উক্ত অর্থ টাকায় জমা করা যাবে। প্রাপ্ত আয়ের প্রযোজ্য অংশ গ্রাহকের সম্মতি সাপেক্ষে এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবে জমা করতে পারবে। প্রযোজ্য কর কর্তন, পরিশোধের বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়েও বলা হয়েছে নির্দেশনায়। সেবা আয় দেশে আনার জন্য মার্চেন্ট বা নোশনাল হিসাব ছাড়া অন্যকোনো উপায়ে দেশের বাইরে অর্থ সংরক্ষণ করা যাবে না। সেবা খাতের এ আয় নির্ধারিত চার মাসের মধ্যে দেশে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button