প্রবাসী ব্যাংকিংবিশেষ কলাম

করোনাকালেও রেমিট্যান্স প্রবাহ অর্থনীতির প্রাণশক্তি

মো. জিল্লুর রহমান: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী কভিড-১৯-এর সংকটের মধ্যেও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রতিনিয়ত রেকর্ড করে অর্থনীতিতে প্রাণশক্তি সঞ্চার করে চলেছে। ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে সারা বিশ্বে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, তখন দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গিয়েছিল এবং অনেকেই আশঙ্কা করেছিল এ ধারা পরবর্তী সময়ে অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এর পর থেকে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েই চলেছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা যেখানে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে, সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই এপ্রিল পর্যন্ত ২০৬৬ দশমিক ৫৮ কোটি বা ২০ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে চলমান স্থবিরতার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি রেকর্ড করেছে।

সম্প্রতি ৩ মে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড ৪৫ দশমিক এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে এবং এপ্রিল শেষে ছিল ৪৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে শক্তিশালী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক সোয়াপের মাধ্যমে দুই শতাংশ সুদে শ্রীলঙ্কান সরকারকে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নিশ্চয়ই এটা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। আমদানি হ্রাসের বিপরীতে রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন, করোনাকালে হুন্ডির প্রবাহ হ্রাস এবং রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়ানোকেই রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।

মূলত বিদেশে কর্মরত মানুষেরা তাদের উপার্জিত টাকা নিজ দেশে পাঠালে সেই টাকাকে রেমিট্যান্স বলে। রেমিট্যান্স হলো দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি এবং উন্নয়নের ভিত্তি, স্বপ্নের সোনালি সোপান ও অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য বৈদেশিক সম্পদ অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস হলো রেমিট্যান্স। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে পাওয়া উন্নয়ন সহায়তার চেয়ে এর ভূমিকা ও গুরুত্ব অনেক বেশি এবং বেসরকারি ঋণ সংস্থান ও পোর্টফোলিও ইকুইটি প্রবাহের চেয়েও অনেক বেশি স্থিতিশীল। অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিট্যান্সের অবদান মোট জিডিপির ১২ শতাংশ এবং বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রবাসী এসব শ্রমিক যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছেন, তা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের অর্ধেক।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

৪০ বছরে প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ প্রবাসী বিদেশে গমন করেছে এবং তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজেদের কষ্টার্জিত উপার্জনের অর্থ নিয়মিত পাঠিয়ে তারা এ দেশকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গড়ে তুলছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা যেখানে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে, সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই এপ্রিল পর্যন্ত ২০৬৬ দশমিক ৫৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। তৈরি পোশাকের পরে অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থান, যা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

প্রবাসীদের কারণে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণে আছে এবং যার পরিমাণ গত ৩ মে শেষে ৪৫ দশমিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অবদান এতটাই শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ যে, এটা দিয়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। রেমিট্যান্সের কারণেই ব্যাংকগুলো তারল্যসংকট কাটাতে পেরেছে। রেমিট্যান্সের টাকায় তৈরি হয়েছে ছোট ছোট উদ্যোক্তা এবং শক্তিশালী অবস্থায় দাঁড়িয়েছে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই মাসে রেকর্ড ২৫৯ দশমিক ৮২ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২১৫ দশমিক ১১ কোটি ডলার এবং অক্টোবরে ২১০ দশমিক ২১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। একই তথ্যমতে, ২০১৯ সালের জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২০২০ সালের একই মাসগুলোয় রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে প্রায় ৬৩, ৩৬ ও ৪৬ শতাংশ। শুধু তাই নয়, ঈদুল ফিতরের আগে প্রবাসীরা গত এপ্রিলে ২০৬ দশমিক ৭৬ কোটি ডলার এবং মে মাসের ২ তারিখ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত মাত্র পাঁচ দিনে ৬৮ দশমিক ৪৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য ঈর্ষণীয় উদাহরণ ও সাফল্য।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে রিজার্ভ ৪৫ দশমিক এক বিলিয়ন ডলার কখনও ছাড়ায়নি। গত জুলাই মাসের মতো এক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্সও আসেনি। অন্যদিকে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের মতো রেমিট্যান্স বাড়াতে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরেও এ খাতে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীদের সামগ্রিক কল্যাণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণ, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নতুন নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টি এবং ওই বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সরকার কাজ করছে।’

জাতীয় অর্থনীতিতে রপ্তানি খাতের অবদান তথা মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে কম। কারণ পণ্য রপ্তানি বাবদ যে অর্থ উপার্জিত হয়, তার একটি বড় অংশই কাঁচামাল আমদানিতে চলে যায়। কিন্তু জনশক্তি রপ্তানি খাত এমনই এক অর্থনৈতিক খাত, যার উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার পুরোটাই জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজন করে। রেমিট্যান্সের ভূমিকা ও গুরুত্ব প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানাবিধ ও নানামুখী।

প্রবাসীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এই অর্থ কেবল তাদের পরিবারের প্রয়োজনই মেটায় না, তাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করে, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সঞ্চয়ে উদ্ভুদ্ধকরণ এবং নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতার ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ নিউক্লিয়াস হিসেবে কাজ করে। জাতীয় অর্থনীতির তাই অন্যতম চালিকাশক্তি এই রেমিট্যান্স।

রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই এখন সরকার পদ্মা সেতুসহ অনেক বড় প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার সাহস পাচ্ছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের জন্য সরকারের আত্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য বেড়েছে। সরকার এতদিন সহজ শর্তে ছোট ছোট ঋণ নিত। এখন সরকার বড় ঋণ নেয়ার সাহস অর্জন করেছে। এ কারণে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পথে এবং রেমিট্যান্স এক্ষেত্রে বড় সাহস ও নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।

রেমিট্যান্স একই সঙ্গে দেশের বেকার সমস্যা ও কর্মসংস্থান নিরসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া জনশক্তি রপ্তানির ফলে বিরাটসংখ্যক জনগণের দৈনন্দিন চাহিদা ও খাদ্যসামগ্রীও স্থানীয়ভাবে জোগাড় করতে হচ্ছে না। সারা বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় সোয়া কোটি বাংলাদেশি, যারা সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮৫ হাজার ২২২ নাগরিক বিদেশে গেছে। অন্যদিকে ২০১৯ সালে সাত লাখ ১৫৯ জনের বিপরীতে ২০২০ সালে দুই লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ বাংলাদেশি বিদেশে গমন করেছে।

আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই জনসংখ্যা রপ্তানি নিশ্চিত বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচিত। শুধু নিশ্চিত বিনিয়োগ নয়, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবেও জনসংখ্যা রপ্তানিকে বিবেচনা করা যায়। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জনসংখ্যা রপ্তানির যেমন প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে, তেমনি বিদেশে কর্মরত জনশক্তির পারিশ্রমিক যাতে কাজ ও দক্ষতা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়, সেজন্যও সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, জনসংখ্যা রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার যদি কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে, তাহলে জনসংখ্যা রপ্তানির সুফল ও রেমিট্যান্স প্রবাহ আমাদের অর্থনীতির ইতিবাচক খাতের সঙ্গে একই ধারায় প্রবাহিত হবে।

অবৈধ হুন্ডি প্রতিরোধের কারণে বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স আহরণ বহুলাংশে বেড়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা অবৈধ পথ এড়িয়ে বৈধপথেই রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছে। বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেড়েছে; শুধু বাড়েনি, নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

আরও দেখুন:
 ১৬ জুন পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচি
 নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সূচি
 এক নজরে ২০২১-২০২২ বাজেট
 একজন ব্যাংকারের যে সকল গুণাবলী থাকা জরুরী
 ব্যাংকারদের দেরিতে অফিস ত্যাগ সিস্টেম নাকি অদক্ষতা

প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকগুলোর এজেন্ট ব্যাংকিং ও শাখা-উপশাখার কারণে রেমিট্যান্স পাঠানো খুব সহজলভ্য হয়েছে। রেমিট্যান্স আয় আরও বৃদ্ধি করার জন্য হুন্ডি প্রতিরোধে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। বর্তমানে মোট উপার্জিত রেমিট্যান্সের বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও কোরিয়ার রেমিট্যান্সের ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশই হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসছে। তবে গত অর্থবছরে চালু করা দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনা হুন্ডি প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জনশক্তি রপ্তানি খাত ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে এক মহীরুহ। কিন্তু এ খাতের সম্ভাবনাকে এখনও পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অনেকেই জমি-ফ্ল্যাট কেনার মতো অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করছে। অর্থ উপার্জন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি সমান তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে শিল্পকারখানায় সেই অর্থের উৎপাদনমুখী ব্যবহার এবং তা নিশ্চিত করা। পরিকল্পিতভাবে জনশক্তি রপ্তানি খাতের সমস্যা সমাধান এবং পেশাজীবী ও দক্ষ জনশক্তি বিদেশে পাঠানোর পাশাপাশি তাদের পাঠানো অর্থ সঠিকভাবে উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার করা গেলে এ খাত দেশের অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে দিতে পারে।

লেখকঃ মো. জিল্লুর রহমান, ব্যাংকার ও ফিল্যান্স লেখক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button