ব্যাংকিং

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে সম্পর্ক

অর্থনীতি বিশেষ করে মুদ্রা বাজারের অভিভাবক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের নিম্নলিখিত সম্পর্ক বিদ্যমান-

১) Statutory reserve (বিধিবদ্ধ রিজার্ভ)
বাণিজ্যিক ব্যাংককে তার আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা রাখতে হয়। যা উভয়কে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আবদ্ধ করেছে।

২) Clearing house (নিকাশ ঘর)
নিকাশ ঘরের দায়িত্ব পালন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।

৩) Task report (কার্য বিবরণী)
বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে সপ্তাহে এবং মাসে তাদের কাজের বিবরণী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট পাঠাতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় উভয়ের মধ্যে গভীর সেতুবন্ধন গড়ে ওঠে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

৪) Information suppliers (তথ্য সরবরাহকারী)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশ-বিদেশের অর্থ বাজার, অর্থনীতি ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করে থাকে। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।

৫) Liquidity reserve (তারল্য সংরক্ষণ)
বাণিজ্যিক ব্যাংকের তারল্য রক্ষা ব্যবস্থার কারণেই এর মধ্যে আদেষ্টা-আদিষ্টের সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।

৬) Guardian (অভিভাবক)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অভিভাবক হিসেবে কাজ করে।

৭) Last resort (শেষ আশ্রয়স্থল)
ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের নিকট সবচেয়ে আপনজন হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকে।

৮) Take opportunity through membership (সদস্যভুক্তির মাধ্যমে সুযোগ গ্রহণ)
বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তার সদস্য হয়ে থাকে।

৯) Banker-customer relationship (ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্ক)
প্রয়োজনের সময় বাণিজ্যিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট হতে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। তাই তখন এদের মধ্যকার সম্পর্ককে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্ক বলে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

১০) Associate (সহযোগী)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নীতি ও পরিকল্পনা বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে, আবার বাণিজ্যিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট হতে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে থাকে। এভাবে একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকে।

১১) Bankers of all banks (সব ব্যাংকের ব্যাংকার)
সব ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ।

আরও দেখুন:
ব্যাংক কি বা ব্যাংক কাকে বলে?
বাণিজ্যিক ব্যাংকের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা
ব্যাংকিং কি বা ব্যাংকিং কাকে বলে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button