একজন ব্যাংকারের অফিস যাত্রা
ঘড়িতে তখন ৬ টা বেজে ৩০ মিনিট। আমি রেডি হয়ে বসে আছি। না মর্নিং ওয়াক এর জন্য না, অফিস এ যাবো। অফিস মতিঝিল। এই কইদিন এই সময় এ বের হতে হয়। না হয় অফিস এ দেরি হবে দেরি হলে বেতন কাটা যাবে। যাক বেরোনো যাক।
বউকে আসি বলে বের হলাম ঘড়িতে ৬ টা ৪৫। দেরি হয়ে গেলো। এখন বের তো হয়ে গেলাম। আসবো কিভাবে। কারণ গাড়ি তো নাই রাস্তায়। রিক্সা আছে আজ ভাড়া উড়োজাহাজ এর ভাড়ার সমান। হাটতে হাটতে এলাম মিরপুর ১০। ওমা! একি এতো সকাল সকাল এতো মানুষ এখানে কি করে প্রথমে মনে করলাম কোনো রাজনৈতিক দলের মিছিল, নাহ কাছে গিয়ে দেখলাম তারা ও আমার মতো চাকুরীজীবি ব্যাংকার। হাসলাম একটু।
দাঁড়িয়ে আছি৷ হঠাৎ একটা রিক্সা দেখে জিজ্ঞেস করলাম যাবে কিনা কিন্তু বললো না কিছু। আমি মনে করলাম আমার আওয়াজ ছোট তাই শুনে নাই। আমি আরো জোরে বললাম “ভাই যাবেন”। ব্যাস তারপর রিক্সাওয়ালার কথা গুলো আমি এইখানে বলার মতো না। আবার হাসলাম। কিন্তু এখন কি করবো। দেখি অনেক মানুষ হাটা শুরু করছে।
আমিও আর পথ না দেখে তাদের সাথে যোগ দিলাম। ইসস! এই সময় কোনো সঙ্গী থাকতো ভালোই হতো একা একা হাটতে মজা নাই। হাটতে হাটতে এগিয়ে দেখি বেশ কয়েকটা রিক্সা দাঁড়িয়ে কিন্তু জিজ্ঞেস করার সাহস পাচ্ছি না। তাও জিজ্ঞেস করে ফেললাম বললো ফার্মগেট ২০০ টাকা। বুকে একটা মোচড় দিয়ে উঠলো। যাক অফিসে তো যেতে হবে তাই কোনোমতে ১৫০ টাকায় যেতে রাজি করালাম।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
ফার্মগেট এসে সকালের নাস্তা টা সেরে নিলাম। তারপর দাড়ালাম ফার্মগেট মোড়ে। আবার হাসলাম। মনে মনে বললাম আজ যদি আজ যদি বড় এক্সিকিউটিভ হতাম তাহলে নিজের গাড়ি করে আরামসে চলে আসতে পারতাম। যাক অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে। কোনো কিছু নাই। আবার হাটা শুরু করলাম। কাওরানবাজার পেরিয়ে বাংলা-মোটর একটা রিক্সা ওয়ালা বললো “মামা কই যাবেন” আমি আবেগ প্লুত হয়ে গেলাম। বললাম মতিঝিল।
মামা খুব সুন্দর করে বললো যাবে না। না এইবার আর খারাপ লাগলো না কারণ অভ্যাস হয়ে গেছি যে। গড়ির দিকে তাকালাম। না আর হাটা যাবে নাহ দেরি হয়ে যাবে। মামাকে বললাম কট্টুক যাবে বললো পল্টন যাবে অনেক জোড় করর রাজি করালাম সিটি সেন্টার এর ওইখানে আসবে ভাড়া ১৫০ টাকা। উপায় নাই। এইসব দৌড় যাপ দিয়ে অফিস এ গেলাম ৯ঃ৪৫ বাজে।
যাক সময়মতো আসা গেলো। শুরুতে বলেছিলাম যে মর্নিং ওয়াক না এই কথা টা এখন পাল্টাতে হচ্ছে সরকার এবং ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট আমাকে মর্নিং ওয়াক এর সুযোগ করে দিলো তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লেখকঃ এম এ মাসুদ, ব্যাংকার।
আরও পড়ুন:
◾ ৫ জুলাই থেকে ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি
◾ ঋণ শ্রেণিকরণের নতুন সার্কুলার
◾ সিডিউল অফ চার্জ সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার
◾ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স নবায়নের শর্ত শিথিল
◾ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন প্রণোদনা সুবিধা