ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নারী কর্মকর্তাদের সংখ্যা
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নারী কর্মকর্তাদের সংখ্যা- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নারী কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। তবে ধীরে ধীরে দেশের সকল ক্ষেত্রেই নারী কর্মীদের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে মোট কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৫ জন। এর মধ্যে ২৫ হাজার ৭৭১ নারী। অর্থাৎ ব্যাংকে নারী কর্র্মীর অংশগ্রহণ ১৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লৈঙ্গিক সমতা বিষয়ক জুন ভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকে নারী কর্মীর হার ছিল ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। দেশের ৫৮টি ব্যাংকের তথ্য দেওয়া হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বরে নতুন করে চালু হয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন পর্যন্ত দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল) নারী কর্মীর অনুপাত ছিল প্রায় ১৭ শতাংশ। এই ব্যাংকগুলোতে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৭৮৮, যেখানে নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ২৬২। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিনটি বিশেষায়িত ব্যাংকে (বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-রাকাব ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক) নারী কর্মীর অনুপাত ছিল ১৪ শতাংশ। এই ব্যাংক তিনটিতে পুরুষ কর্মী ছিল ১০ হাজার ৬৭০ এবং নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৯৫।
বেসরকারি ৪০টি ব্যাংকে নারী কর্মীর অনুপাত ছিল ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ খাতের ব্যাংকগুলোতে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার ৭১১ এবং নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৭৬। বিদেশি ৯টি ব্যাংকে নারী কর্মীর অনুপাত প্রায় ৩২ শতাংশ। এই ব্যাংকগুলোতে পুরুষ কর্মী ছিল দুই হাজার ৯৩৫ এবং নারী কর্মী ছিল ৯৩৮ জন।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ে পদক্রম ও বয়সভেদে নারী কর্মীদের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে। এতে দেখা যায়, ব্যাংকের পর্ষদে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর পর্ষদে ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ নারী রয়েছে। এই ব্যাংকগুলোতে সরকারই পরিচালক নিয়োগ দিয়ে থাকে। নারী উদ্যোক্তা, সাবেক নারী ব্যাংকার এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরকারি ব্যাংকে পরিচালক পদে নিয়োগ পেতে দেখা যায়।
এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকে মূলত পরিচালকদের স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রবধূরা পরিচালক হিসেবে আছেন। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পর্ষদে নারীর অংশগ্রহণ ১৪ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকের পর্ষদে সাত দশমিক ৬৯ শতাংশ নারী পরিচালক রয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ব্যাংক খাতে উচ্চপর্যায়ে কর্মরত নারীর অনুপাত ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মধ্যবর্তী পর্যায়ে কর্মরত নারীর অনুপাত ১৫ শতাংশ। ব্যাংকে নতুন চাকরি শুরু করা নারীর অনুপাত ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মোট কর্মরত নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে কর্মসংস্থান বদলের হার প্রায় ৪ শতাংশ। প্রাপ্ত তথ্যে আরও দেখা যায়, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) নারী কর্মীর অংশগ্রহণ ছিল ১৬ শতাংশ।