ব্যাংক

ব্যাংকের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে ডিপোজিট নিচ্ছে এনজিওগুলো

ইদানিং কয়েকটি এনজিও তাদের এ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমান ডিপোজিট জমা দিচ্ছে। পরবর্তীতে তা তাদের হেড অফিসের মাদার এ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করছে। যা চোখে পড়ার মতো। বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখে জানা গেল, লোভনীয় অফার দিয়ে ব্যাংকের মতো করে এনজিওগুলো ডিপোজিট সংগ্রহ করছে। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য অস্বস্তিকর।

কিছুদিন আগে আমাদের একজন গ্রাহক আট লাখ টাকা উত্তোলন করলেন। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন সে এতো টাকা তুলছেন। গ্রাহক বলেছিলো সে জমি কিনবে। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো উক্ত টাকা সে সাত বছরের জন্য একটি এনজিওতে জমা রেখেছে।

পুনরায় ঐ গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে জানায়, “ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে এই কারনে এনজিওতে টাকা রেখেছি। তাছাড়া এনজিওতে টাকা রাখলে লাভের উপর কোন প্রকার টেক্স দিতে হয় না”। সে আরো জানায়, এই তথ্য এনজিওর লোকেরা গ্রামে গ্রামে সবাইকে জানিয়েছে। তাই অনেকেই এখন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে এনজিওতে রাখছে।

এখন কথা হচ্ছে এনজিওগুলো যদি এভাবে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে ব্যাংকের বিপুল পরিমান ডিপোজিট এনজিওতে নিয়ে যায়, তাহলে পরিস্থিতি কী দাড়াবে? এটা কি তারা করতে পারে?

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

এনজিওগুলোর প্রধানতম কাজ হল, “ক্ষুদ্র ঋণ” বিতরণ। সে কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে গ্রামে-গঞ্জে তাদের হাজার হাজার শাখা এবং কোটির অধিক গ্রাহক রয়েছে। এখন তারা যদি এভাবে ব্যাংকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ডিপোজিট সংগ্রহ করতে থাকে, এক সময় সহজ সরল গ্রাহকগণ প্রতারণার সম্মুখীন হতে পারেন। পাশাপাশি ব্যাংকের প্রতি মানুষেয় আস্থা কমে আসবে। যা ব্যাংকি সেক্টর তথা অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত। কর্তৃপক্ষের উচিত এখনই তাদের লাগাম টেনে ধরা……….।

লেখকঃ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন, শাখা ব্যবস্থাপক, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বাতাকান্দি শাখা, কুমিল্লা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button