ক্রেডিট কার্ড

‘এনএফসি’ প্রযুক্তির ক্রেডিট কার্ড

প্রযুক্তির উন্নয়নে বর্তমানে গ্রাহকরা পকেটে ক্রেডিট কার্ড বহনেও অনীহা প্রকাশ করছেন। ফলে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে ‘নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (Near Field Communication)’ বা এনএফসি (NFC) প্রযুক্তির ক্রেডিট কার্ড।

কোনো বস্তুগত কার্ড ব্যবহার না করে শুধু মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে এনএফসি প্রযুক্তির ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে এ ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও বাংলাদেশে এ ধারণাটি এখনও নতুন।

কয়েকটি ব্যাংক এনএফসি প্রযুক্তির ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে। এ অবস্থায় এনএফসি প্রযুক্তিতে ‘কন্টাক্টলেস পেমেন্ট সার্ভিস’ দিয়ে কার্ডভিত্তিক লেনদেনের অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের এক সার্কুলারে এ অনুমোদন দেয়া হয়। সার্কুলারে এনএফসি কার্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ঝুঁকি হ্রাস ও গ্রাহক সচেতনতা বাড়াতে বেশ কিছু নির্দেশনাও সংযুক্ত করা হয়েছে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

উক্ত সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, কেবল ইএমভিকো মানদণ্ডে উত্তীর্ণ ক্রেডিট কার্ডে এনএফসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেন পরিচালনা করা যাবে। এনএফসি প্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত ক্রেডিট কার্ডভিত্তিক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং ওই সীমার মধ্যে শুধু এনএফসি প্রযুক্তির কার্ডভিত্তিক লেনদেনের জন্য পিআইএন বা টুএফএ (2FA) ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হল।

তবে এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে এ ধরনের প্রতিটি লেনদেনের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহককে জানাতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে সব ধরনের মার্চেন্ট অবস্থানে এ প্রযুক্তির লেনদেনের জন্য উল্লিখিত নির্ধারিত সীমা প্রযোজ্য হবে। সীমার বাইরে এ ধরনের কার্ডের মাধ্যমে সংঘটিত সব লেনদেন কন্টাক্ট এবং পিআইএন বা টুএফএ ভিত্তিক হবে।

গ্রাহকের পূর্বানুমতি ব্যতীত এনএফসি প্রযুক্তিনির্ভর কার্ডে লেনদেন কার্যকর হবে না উল্লেখ করে সার্কুলারে বলা হয়েছে, গ্রাহক তার নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী এনএফসির সীমার নিচের লেনদেনও কন্টাক্ট এবং পিআইএন বা টুএফএ’র মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবে। এ ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে গ্রাহককে ইস্যুইং এবং অ্যাকুইরিং উভয় ব্যাংকই পূর্ণ সহযোগিতা করবে।

অর্থাৎ কোনোভাবে গ্রাহককে এনএফসি প্রযুক্তিতে লেনদেনে বাধ্য করা যাবে না। এনএফসি প্রযুক্তি সংবলিত কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক পছন্দমতো তার নিজস্ব কার্ড গ্রাহকদের এনএফসি প্রযুক্তির লেনদেনের সীমা উল্লিখিত সর্বোচ্চ সীমার নিচেও নির্ধারণ করতে পারবে।

গ্রাহক সচেনতা বৃদ্ধির জন্য সার্কুলারে বলা হয়েছে, ইস্যুকারী ব্যাংকগুলোকে গ্রাহক সচেতনতার লক্ষ্যে এনএফসি প্রযুক্তিযুক্ত সব কার্ড, মার্চেন্ট পয়েন্ট এবং পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনে দৃশ্যমান ‘কন্টাক্টলেস লোগো’ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবে, যাতে সহজেই এনএফসি প্রযুক্তিযুক্ত কার্ড অন্য কার্ড থেকে পৃথক করা সম্ভব হয় এবং এ ধরনের কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন গ্রহণকারী মার্চেন্টকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়।

এনএফসি প্রযুক্তিযুক্ত কার্ডের বৈশিষ্ট্য, নিরাপদ ব্যবহার বিধি, লেনদেনের সীমা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে গ্রাহককে স্পষ্টভাবে অবহিত করবে। ব্যাংকগুলোকে হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া এনএফসি প্রযুক্তিযুক্ত কার্ড সম্পর্কে গ্রাহকের কাছ থেকে একাধিক উপায়ে (ওয়েবসাইট, ইমেইল, এসএমএস, কল সেন্টার) তথ্য বা অভিযোগ গ্রাহণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

আরও দেখুন:
ফিনটেক কী এবং কেন?
ফিনটেক এবং ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ
আগামীর ডিজিটাল ব্যাংকিং কেমন হবে

গ্রাহকের কাছ থেকে যে কোনো ধরনের অভিযোগ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এটিএম এবং কার্ড নট প্রেজেন্ট ট্রানজেকশন্সের (সিএনপি) যে কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে উল্লিখিত শিথিলতাগুলো প্রযোজ্য হবে না বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button