ব্যাংকিং আইনমানি লন্ডারিং

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০৭

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ আংশিক সংশোধন করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০৭ (অধ্যাদেশ নং-১৭, ২০০৭) জুলাই ৩০, ২০০৭ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের (অতিরিক্ত সংখ্যা) মাধ্যমে জারী করা হয়েছে।

রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১
বাংলাদেশ গেজেট
অতিরিক্ত সংখ্যা
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
———————————————-
সোমবার, জুলাই ৩০, ২০০৭
———————————————-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
বিজ্ঞপ্তি
তারিখ, ১৫ শ্রাবণ ১৪১৪ বাং/৩০ জুলাই ২০০৭ খ্রিঃ

নং ১৭(মুঃপ্রঃ)।–গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ১৪ শ্রাবণ ১৪১৪ বাং মোতাবেক ২৯ জুলাই ২০০৭ খ্রিঃ তারিখে প্রণীত নিম্নে উল্লেখিত অধ্যাদেশটি এতদ্বারা জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা হইল।
অধ্যাদেশ নং ১৭, ২০০৭
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ৭নং আইন) এর সংশোধনকল্পে প্রণীত

অধ্যাদেশ

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ৭নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং
যেহেতু সংসদ ভাঙ্গিয়া গিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে;
সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারী করিলেনঃ-
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।–(১) এই অধ্যাদেশ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০৭ নামে অভিহিত হইবে।
(২) এই অধ্যাদেশ এপ্রিল ১৮, ২০০৭ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
২। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ৭নং আইন) এ নতুন ধারা ৩ক এর সন্নিবেশ।–মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ এর ধারা ৩ এর পর নিম্নরূপ নতুন ধারা ৩ক সন্নিবেশিত হইবে, যথাঃ
‘‘৩ক। তদন্ত, বিচার, ইত্যাদি বিষয়ক বিশেষ বিধান।–(১) এই আইনের অন্য কোন ধারায় ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন–
(ক) অপরাধসমূহ দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সালের ৫নং আইন) এর তফসিলভুক্ত অপরাধ হিসাবে দুর্নীতি দমন কমিশন কতৃর্ক তদন্তযোগ্য হইবে;
(খ) অপরাধসমূহ Criminal Law Amendment Act, 1958 (Act XL of 1958) এর সিডিউলভুক্ত অপরাধ হিসাবে Special Judge কর্তৃক বিচার্য হইবে; এবং
(গ) অপরাধসমূহের তদন্ত, বিচার ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত বিরোধের ক্ষেত্রে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এবং Criminal Law Amendment Act, 1958 এর বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, এই ধারা কার্যকর হইবার পূর্বে এই আইনের অধীন নিষ্পন্নাধীন কোন অপরাধের তদন্ত, বিচার ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াদি এমনভাবে নিষ্পন্ন হইবে যেন এই ধারা কার্যকর হয় নাই।”

প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ
রাষ্ট্রপতি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।

সূত্রঃ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক
এ.এম.এল. সার্কুলার নম্বরঃ ১২ তারিখঃ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button