জুবিলী ব্যাংক

জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড

জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম একটি পুরাতন বাণিজ্যিক ব্যাংক। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ব্যাংকিং ব্যবসা করে যাচ্ছে জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড। এটি দেশের অতফসিলি পাঁচটি ব্যাংকের একটি। জুবিলী ব্যাংকটি ১৯১৩ সালের ১৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার জানিপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নেয় ব্যাংকটি। ১৯৮৮ সালে এটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে রুপান্তরিত হয়ে কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৭০ বছর এটি সমবায় ব্যাংক হিসেবে পরিচালিত হতো। নন সিডিউল ব্যাংক হিসাবে এক সময় এই প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যাংকিং করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার আগেও দীর্ঘ পুরনো এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকিং করতো।

নামJubilee Bank Limited
জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড
লোগো
লিগ্যাল স্টাটাসপাবলিক লিমিটেড কোম্পানী
প্রতিষ্ঠাকাল১৯১৩
ধরনপ্রাইভেট ব্যাংক
ক্যাটাগরিকমার্শিয়াল ব্যাংক
উৎপত্তিদেশী ব্যাংক
কোড
ঠিকানাপ্রধান কার্যালয়ঃ জানিপুর, খোকশা, কুষ্টিয়া
টেলিফোন
ফ্যাক্স
ইমেইল
ওয়েবসাইট

ব্যাংকটির বর্তমানে আমানতকারী ২০০০ জন এবং ঋণ নিয়েছে ৭০০ জন। ১৯৮২ সাল থেকে খুলনায় ব্যাংকটির আরেকটি শাখা থাকলেও ২০০০ সালে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূলত জমি এবং স্বর্ণ বন্ধকের মাধ্যমে ঋণ দিয়ে থাকে ব্যাংকটি। পরবর্তী সময় স্বর্ণ বন্ধকের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কুটির শিল্প ও চাষিদের সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয় এই ব্যাংকটিকে। জুবিলী ব্যাংক ১৯১৩ সালের ১৫ এপ্রিল ‘খোকসা জানিপুর জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ নামে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধ বা আরজেএসসিতে নিবন্ধিত হয়। নিবন্ধন নম্বর- সি-২৩৭৩। ১৯৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি নাম পরিবর্তন করে ‘জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ নামে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে।

নিবন্ধনের পর থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এটির হিসাব আরজেএসসির রেকর্ডপত্রে নেই। ১৯৯০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হিসাব আরজেএসসিতে দাখিল করা হয়। ব্যারিস্টার এমবিআই মুন্সী ২০০২ সালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। নিবন্ধটি আপনি পড়ছেন ব্যাংকিং নিউজ বিডি ডটকম-এ। ২০০৮ সালে তিনি আবারও এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুন:র্নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনিই ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০১২ সালে একবার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ব্যাংকটি দখলের চেষ্টা করা হয়।

১৯৯১ সালের ২৩ জানুয়ারি জুবিলী ব্যাংকের দাখিল করা ১৯৯০ সালের বার্ষিক মূলধন বিবরণী অনুযায়ী, এর অনুমোদিত মূলধন ১০ কোটি টাকা, যা ২৫ টাকার মোট ৪০ লাখ শেয়ারে বিভক্ত। ১৯৯২ সালের বার্ষিক মূলধন বিবরণী অনুযায়ী, ১০ কোটি টাকা মূলধনের ৪০ লাখ শেয়ারের (প্রতিটি ২৫ টাকার) মালিকানা ছিল ১৬৫ জনের। ১৯৯৫ সালের হিসাবে দেখানো হয়েছে, অনুমোদিত মূলধন আট কোটি টাকা, যা ৩২ লাখ শেয়ারে (প্রতিটি ২৫ টাকার) বিভক্ত। শেয়ারধারী দেখানো হয় ১৬৯ জন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের বিবরণীতে শেয়ারের সংখ্যা অপরিবর্তিত। মালিকানা ১৮১ জনের।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button