ইসলামী ব্যাংকিং

প্রযুক্তির সম্প্রসারণে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে গতি এসেছে

প্রযুক্তির সম্প্রসারণে ব্যাংকিং খাতে গতি এসেছে। সময়ের সঙ্গে প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার বাইরে অন্য ধারণাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকিং অন্যতম। বাংলাদেশে যার পরিসর মোট ব্যাংকিং সেবার এক-চতুর্থাংশ। মালেশিয়ায় এটা ৩০ শতাংশের মতো। যদিও মালয়েশিয়ায় ইসলামী ব্যাংকিং শুরু হয় বাংলাদেশের পরে।

সততা ও ন্যায়ভিত্তিক ব্যাংকিং হওয়ার কারণে দিন দিন ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম বেড়েই চলেছে। এমনকি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদেরও আগ্রহ আছে। এ সেবায় তাদের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে এ ব্যবস্থার স্বচ্ছতার কারণে। গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আয়োজিত ‘লিভিং ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় বক্তব্য রাখেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. আজনান হাসান, ব্যাংকটির ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগের গ্লোবাল সিইও রেহান শেখ ও ব্যাংকটির বাংলাদেশ সিইও নাসের এজাজ বিজয়সহ অন্যরা।

ড. আজনান হাসান তার আলোচনায় বলেন, ইসলামী ব্যাংকিংকে এখন আর নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণীর মধ্যে থাকা সীমাবদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা বলা যাবে না। এখন পর্যন্ত সম্পদ বিবেচনায় বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং অত্যন্ত উৎসাহজনক। এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো, ইসলামী ব্যাংকিং বিকাশে মুসলিম আধিপত্য জরুরি নয়। এটা শুধুই প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের বাইরে বিকল্প একটি ব্যবস্থা।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

তবে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমের পথটি খুব মসৃণ নয় উল্লেখ করে ড. আজনান হাসান আরো বলেন, এখানে চ্যালেঞ্জ আছে। এত দূর আসতে অনেক প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষ এটা নিয়ে প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। প্রচলিত ব্যবস্থার সঙ্গে এর (ইসলামী ব্যাংকিং) পার্থক্য কোথায়, এটা নিয়ে অধিকাংশ মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত। যারা এ সেবা নিচ্ছেন, তাদের অনেকের মধ্যেও এটা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই।

ইসলামী ব্যাংকিংকে একটি সম্ভাবনাময় দিক হিসেবে উল্লেখ করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগের গ্লোবাল সিইও রেহান শেখ বলেন, দুই দশকের বেশি সময় ধরে ইসলামী ব্যাংকিং সেবার প্রসার ঘটেছে। যদিওবা বাজারগুলোয় এ পণ্যের মৌলিক সেবার পাশাপাশি করপোরেট বা বাণিজ্যিক ধারার মতো বাস্তবধর্মী ব্যাংকিং সেবারও চাহিদা আছে। বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জন্য প্রধান একটি বাজার। এখানে এ সেবার পরিধি বাড়ছে এবং প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আমরা প্রতিনিয়ত সেবার মান ও পরিসর বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সাল থেকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে কাজ শুরু করে। কিন্তু বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবা শুরু হয় ২০০৪ সালে। আমরা ব্যবসা পরিচালনা করি এমন প্রধান বাজারগুলোয়, যেখানে মুসলিম আধিপত্য রয়েছে। সেখানে মানুষ বাজারে এ ধরনের সেবার খোঁজ করছিল। বাজারগুলোয় প্রথাগত ব্যাংকিং পণ্যের বাইরে বিকল্প পণ্যের চাহিদা দেখা দিয়েছিল। প্রধান বাজারগুলোয় ইসলামী ব্যাংকিংয়ের চাহিদা তৈরি হওয়াতেই আমরা এ সেবা চালু করি।

বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসেবে ইসলামী ব্যাংকিং সেবা চালু করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা গ্রাহকদের থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। এ সেবার মান উত্তরোত্তর বাড়াতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বদ্ধপরিকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button