বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

আদায় সম্ভব না এমন ঋণেও সুদ মওকুফ

আদায়ের সম্ভাবনা নেই এমন মন্দমানের খেলাপি ঋণের (অবলোপন করা ঋণ) সুদও মওকুফের সুযোগ থাকছে। সুদ মওকুফের শর্ত শিথিলে এখন থেকে অবলোপন করা ঋণের আসল পরিশোধ করে ঋণের সব সুদ মওকুফ পাবেন ঋণগ্রহীতা। তবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট ঋণ ও ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণের সুদ মওকুফ করতে পারবে না।

মঙ্গলবার (২৪ মে, ২০২২) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-১৮) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ঋণ অবলোপন হলো ব্যাংক ব্যবস্থায় মন্দমানে শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ স্থিতিপত্র (ব্যালান্স শিট) থেকে বাদ দেওয়া। ঋণ অবলোপন হলে ব্যাংক তার স্থিতিপত্র থেকে ঋণ বাদ দিয়ে আলাদাভাবে হিসাব করতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মতে, ঋণগ্রহীতার ধারাবাহিক ৩ বছরের আর্থিক বিবরণীতে নিট মুনাফা ইতিবাচক দেখা গেলে, তার গৃহীত ঋণের সুদ মওকুফ করা যাবে না। আবার কোনো ব্যাংকের আয় খাতে ক্ষতি করেও সুদ মওকুফ করা যাবে না।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

ব্যাংকের কোনো ঋণের সুদ মওকুফ করতে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন লাগবে। তবে ১০ লাখ টাকার অধিক ঋণের সুদ মওকুফ করতে পারবে না পর্ষদ। সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে তহবিল ব্যয়ের অর্থ আদায় নিশ্চিত করতে হবে।

যদি তিন বছর ধরে বন্ধ থাকা প্রকল্প, ঋণের জামানত ও প্রকল্পের সম্পত্তি বা উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রয় এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পরও পাওনা আদায় করা সম্ভব না হয়, তবে তহবিল ব্যয় আদায়ে শর্ত শিথিল করতে পারবে।

ঋণগ্রহীতার মৃত্যু বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঋণগ্রহীতা যৌক্তিক কারণে ঋণ পরিশোধে অপরাগ হলে, সেই নির্দিষ্ট বছরের ৩১ ডিসেম্বরভিত্তিক তহবিল ব্যয় আদায়যোগ্য হবে না।

আরও দেখুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার

মঙ্গলবার (২৪ মে, ২০২২) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের আয়খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করা যাবে না। ক্ষেত্র ব্যতীত অপরিহার্য ক্ষেত্রে তহবিল ব্যয় আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য এর যৌক্তিকতা নিশ্চিতকরণে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার মাধ্যমে হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্সের (এইচআইসিসি) মতামত গ্রহণ করতে হবে।

এ নীতিমালা অনুসরণপূর্বক কোনো ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালক এবং তার পরিবারের সদস্যরা বা পরিচালকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত ঋণের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ধারা ২৮-এর পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৯(১)(চ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো এবং এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button