শেয়ার বন্ড ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগে প্রভিশন সংরক্ষণে নির্দেশনা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা যেকোনো তহবিলে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন রাখার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই নির্দেশনা থাকবে অ-তালিকাভুক্ত শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা যেকোনো তহবিলের বাজারমূল্য কেনা দামের চেয়ে কমে গেলে মূল্য হ্রাসজনিত ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি তার সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও দেখুন:
◾ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার
বুধবার (২৪ মে, ২০২৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। এ নির্দেশনা সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
নতুন এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ হিসাবে স্থিতিপত্রে প্রদর্শিত বিভিন্ন দফাসমূহের মধ্যে সরকারি সিকিউরিটিজ বাদে অন্যান্য সিকিউরিটিজ যেমন- তালিকাভুক্ত শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা তালিকাভুক্ত কোনো তহবিল ইত্যাদির সর্বশেষ বাজারমূল্য ক্রয়মূল্যের চেয়ে কম হলে ক্রয়মূল্য ও সর্বশেষ বাজারমূল্যের পার্থক্যকে বিনিয়োগের মূল্য হ্রাসজনিত ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত করে তার সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। ইক্যুইটি শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা তালিকাভুক্ত কোনো তহবিলের প্রতি ক্ষেত্রে পৃথক গেইন বা লস নেট অফ করে প্রভিশন সংরক্ষণ করা যাবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইক্যুইটি শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত কোম্পানির বিনিয়োগের আনুপাতিক হারে হ্রাস পেলে ব্যাংক কর্তৃক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের আনুপাতিক হারে হ্রাসকৃত মূল্যের সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। বিনিয়োগকৃত কোম্পানির অস্তিত্ব না থাকলে বা কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে বা দৃশ্যমান কার্যক্রম পরিলক্ষিত না হলে বিনিয়োগের সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।’
‘এছাড়া নন-কনভার্টিবল কিউমুলেটিভ প্রিফারেন্স শেয়ারের ক্ষেত্রে চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংক কর্তৃক এর প্রাপ্য নির্ধারিত সুদ, মুনাফা বা নগদ ডিভিডেন্ড পাওয়া না গেলে প্রথম বছর শেষে আসল পরিমাণের ওপর ২৫ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। অনুরূপ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছরের জন্য অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ ও একাদিক্রমে তিন বছর সুদ, মুনাফা, নগদ ডিভিডেন্ড অপরিশোধিত থাকলে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।’
অন্যদিকে বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে বিবেচ্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের স্যারেন্ডার প্রাইস গড় ক্রয়মূল্য অপেক্ষা কম হলে, গড় ক্রয়মূল্য ও স্যারেন্ডার প্রাইসের পার্থক্যের সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
এসব নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। প্রভিশন সংরক্ষণের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নির্দেশনা চলতি বছরের ৩০ জুন হতে কার্যকর হবে।