বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

সহজে ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা (সিএমএসএমই) কোনও জটিলতা ছাড়াই ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে যাতে স্বল্প সুদে ঋণ নিতে পারে, সে জন্য নীতিমালা আরও সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (এসএমইএসপিডি সার্কুলার নং-০৯) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক আগের নির্দেশনাগুলোকে সমন্বিত করে এবং নতুন কিছু নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে একীভূত আকারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য নতুন ওই নির্দেশনা জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন আরও সহজতর করার লক্ষ্যে সিএমএসএমই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্যাংকগুলোর বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা পূর্ববর্তী বছরের নিট সিএমএসএমই ঋণ ও বিনিয়োগের স্থিতি (শ্রেণিকৃত ঋণ/ বিনিয়োগ বাদ দিয়ে) এবং পূর্ববর্তী বছরের প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের হার বিবেচনায় নির্ধারিত হবে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে ওই লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি বা হ্রাস করতে পারবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলছে, এই প্যাকেজের আওতায় বরাদ্দকৃত মোট লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৭০ শতাংশ কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতে এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ মাঝারি শিল্প খাতে প্রদান করা যাবে। আর কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতে প্রদত্ত ন্যূনতম ৭০ শতাংশের মধ্যে উৎপাদন ও সেবা উপখাতে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৬৫ শতাংশ এবং ট্রেডিং (ব্যবসা) উপখাতে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ। এছাড়া মাঝারি শিল্প খাতে প্রদত্ত সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা উপখাত হতে সম্মিলিতভাবে অর্জন করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই প্যাকেজের আওতায় বাৎসরিক মোট ঋণ বা বিনিয়োগের ন্যূনতম ৮ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদেরকে প্রদান করতে হবে। এ প্যাকেজের মেয়াদ হবে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতের উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধন এবং মেয়াদী উভয় ধরনের ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করা যাবে। মাঝারি খাতের উদ্যোক্তা শুধুমাত্র চলতি মূলধন ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। কোনও উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহণের পর সর্বোচ্চ এক বছর এ প্যাকেজের আওতায় সরকার হতে ভর্তুকি পাবে। খেলাপি ঋণগ্রহীতারা এ প্যাকেজের আওতাভুক্ত হতে পারবে না।

প্রতিটি ব্যাংক বিদ্যমান নিজস্ব নীতিমালার আওতায় ঋণ/ বিনিয়োগ ঝুঁকি বিশ্লেষণপূর্বক ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রাহক নির্বাচন করবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নিজ বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ঋণ বা বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

আরও দেখুন:
◾ ব্যাংকারদের চাকরি সুরক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ
◾ ৩৩১৩ ব্যাংকার ১৯ মাসে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন
◾ ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আরও বাড়লো

এ ঋণের সুদ বা মুনাফার হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের সুদের সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে। বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button