স্কুল ব্যাংকিং

বৃত্তির টাকা দিতে শিক্ষার্থীদের ‘স্কুল ব্যাংক হিসাব’ খোলার নির্দেশ

গতবারের পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনীতে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের টাকা পাঠাতে আগামী ৫ জুনের মধ্যে তাদের নামে ব্যাংক হিসাব খোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) রোববার এ সংক্রান্ত আদেশ সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পাঠিয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় রাজস্ব খাতভুক্ত মেধা ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জিটুপি (ইএফটি) এর আওতায় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হবে।

এজন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এই দুই পরীক্ষায় বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের একক বা অভিভাবকদের যৌথ নামে অনলাইন সুবিধা সম্পন্ন যে কোনো তফসীলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে আগামী ৩ জুনের মধ্যে অনলাইন ‘স্কুল ব্যাংক হিসাব’ বা ‘ব্যাংক হিসাব’ খুলে তা ৫ জুনের মধ্যে এমআইএসই-এ আপলোড করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই এমআইএসই সফটওয়্যার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এএমআইএস সেল থেকে যথাসময়ে আপলোড করা হবে বলে জানিয়েছে মাউশি।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী নিয়মিত বা ধারাবাহিকভাবে অধ্যায়নরত আছে কি না, সেটা জানানোর পাশাপাশি কারো পাঠবিরতি রয়েছে কি না তা এমআইএসই-এ আপলোড করতে হবে।

এছাড়া মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য না পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে মাউশি বলছে, শিক্ষার্থীদের নামে অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।

প্রাথমিক সমাপনীর ফলাফলের ভিত্তিতে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে ট্যালেন্টপুল এবং সাড়ে ৪৯ হাজার জনকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা ২২৫ টাকা করে পায়।

অন্যদিকে জেএসসিতে মেধাবৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৪৫০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এর বাইরে বইপত্র কিনতে প্রতি বছর মেধাবৃত্তিপ্রাপ্তদের এককালীন ৫৬০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের ৩৫০ টাকা করে দেওয়া হয়।

প্রিয় পাঠকঃ ব্যাংক, ব্যাংকার ও ব্যাংকিং বিষয়ক চলমান খবর বা সমসাময়িক বিষয়ে আপনার লেখা ও মতামত ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ এ প্রকাশ করতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন- [email protected] আমরা আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে তা প্রকাশ করব।

একটি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button