ফিনটেক

চুরি ঠেকাতে প্রচলিত মোবাইল ব্যাংকিং নয় দরকার ইনোভেটিভ ফিনটেক

আব্দুল্লাহ আল-মামুনঃ করোনার কারণে শুধু না খেয়েই প্রতিদিন তিন লাখ করে মানুষ সারা বিশ্বে মারা যাবে বলে সতর্ক করেছে World Food Program (WFP)। একদিকে করোনা, তার উপর দুর্ভিক্ষের হাতছানি অন্যদিকে মরার উপর ফোড়ার ঘা হিসেবে বসে আছে আমাদের ত্রান চোরগুলো। তাই সময় থাকতেই এই মিডিলম্যানদের দৌরাত্ত কমানো জরুরী।

কিন্তু এর বড় বাধা হচ্ছে দুইটি তথ্যঃ
এক) বিশ্বব্যাংক এর হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ ব্যাংকিং আম্ব্রেলার বাইরে আছে; আর
দুই) আমাদের প্রায় ৫০ মিলিয়ন ওয়ার্কার ইনফরমাল সেক্টরে কাজ করে।

তাই সরকার চাইলেই এই মিডিল ম্যানদের স্কিপ করতে পারছে না। আর এই যায়গাতেই দরকার তরুন ফিনটেক ইঞ্জিনিয়াদের, যারা এই প্রবলেম টা টেকনোলোজী দিয়ে এ্যড্রেস করতে পারবে। কিভাবে ফিনটেক এই আনব্যাংকড পিপলদের কাছে পৌছানোর জন্য মিডলম্যান কমাতে পারে সেটা নিয়েই আজকের লেখা।

স্টেপ ১: মেম্বার এবং পুলিশের সহায়তায় অভাবীদের তালিকা হবে যেটাতে NID Number থাকবে এবং সেটা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেনটার থেকে অনলাইনে সরকারী পোর্টালে আপ্লোড হবে এবং লিস্টটা সবাই দেখতে পাবে।
স্টেপ ২: সরকার র‍্যান্ডমলী কিছু ভেরিফাই করে সেন্ট্রাল ডাটাবেজে ডিজিটাল রেশন কার্ড নাম্বার ফেলবে এবং যাদের মোবাইল আছে তাদের মোবাইলে SMS চলে যাবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

স্টেপ ৩: এই ডাটাবেজের সাথে এবং Election কমিশনের ডাটাবেজের সাথে কনেকশন থাকবে bKash, Nagad, Rocket etc. মোবাইল ব্যাংকিং এবং সব এজেন্ট ব্যাংকিংগুলোর।
স্টেপ ৪: ত্রানের জন্য এনলিস্টেড লোকটি যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট পয়েন্টে গেলে এজেন্ট তার ছবি এবং NID no. দিয়ে সার্চ করবে। তার ফেস রিয়েল টাইম NID সার্ভার এর সাথে ম্যাচ করলে এজেন্ট তাকে টাকা দিয়ে দিবে এবং সেন্ট্রাল রেশন ডাটাবেজে পেইড মার্ক হবে।

সুবিধা/ লিমিটেশন/ এজাম্পশনঃ
১। লিস্টটি যেহেতু পাব্লিক ওয়েবে থাকবে তাই সাংবাদিক সহ সবাই দেখতে পাবে, সুতরাং লিস্টে গড়মিল করার সুযোগ কম থাকবে।
২। শুধু এনলিস্টেড ব্যক্তির ডাইরেক্ট ফেস ম্যাচ করে সে ছাড়া অন্য কেউ টাকা তুলতে পারবে না।
৩। অনেক ফকির কিম্বা গরীব মানুষ আছে যাদের মোবাইলও নাই তাদেরকেও এই পদ্ধতিতে আনা সম্ভব এবং এক বারের বেশি কেউ ত্রানের টাকা নিতে পারবে না এটাও নিশ্চিত হবে।
৪। শুধু ভোটার আইডি কার্ড আছে যাদের তাদেরকেই এর আওতায় আনা যাবে।

লেখকঃ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বি.এসসি (সিএসই, কুয়েট), এম.এসসি (আইসিটি, বুয়েট), আইটি ম্যানেজার, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এবং এক্স-সিনিয়র সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।

আরও দেখুন:
ফিনটেক কী এবং কেন?
ফিনটেক এবং ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ
আগামীর ডিজিটাল ব্যাংকিং কেমন হবে
আধুনিক ব্যাংকিং ও ভবিষ্যৎ চাহিদা
ফিনটেক কি? ফিনটেক ও ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ

একটি মন্তব্য

  1. আইডিয়া ভালো কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং এ এটা সম্ভব নয়। কারন হত দরিদ্র মানুষগুলো মোবাইল ব্যবহার করেন না আর করলেও মোবাইল ব্যাংকিং বুঝে না। এক্ষেত্রে এজেন্ট ব্যাংকিং সুপার কাজ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button