এজেন্ট ব্যাংকিং

এজেন্ট ব্যাংকিং ঋণের ৭০ শতাংশ দিতে হবে গ্রামাঞ্চলে

আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা। এজেন্ট ব্যাংকিং দিয়েই দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়তে হবে। আর এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে, তার অন্তত ৭০ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বিতরণ করতে হবে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাজধানীর ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের (ডিএসসিই) উদ্যোক্তা ক্লাবের আয়োজনে ‘পরিবেশবান্ধব ও সবুজ প্রকৌশলভিত্তিক উদ্যোক্তা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

ডিএসসিই উদ্যোক্তা অর্থনীতি কোর্সের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ডিএসসিই চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর ও সিকিউরা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান খান। এছাড়া উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহানা পারভীন, সারাহ তাসনীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং পদ্ধতিকে পুনর্গঠন করতে হবে। এখন গ্রামের উদ্যোক্তারা যেন ঋণ পান, সে ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উদ্যোক্তা তৈরির বিকল্প নেই। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তনসহ উদ্যোক্তাবিষয়ক পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রির ওপর গুরুত্ব বাড়াতে হবে।

বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, এ শিল্প বিপ্লব পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শ্রমশক্তির সঠিক ব্যবহার এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বাংলাদেশে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ অধিকাংশ জনসংখ্যা তরুণ ও যুবক। এ শ্রমশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী। তিনি বলেন, দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তরুণ এখনো কোনো ধরনের চাকরি, লেখাপড়া এমনকি প্রশিক্ষণের মধ্যে নেই। তরুণদের কর্মসংস্থান ও আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তারা যেন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় সেই কারিকুলাম তৈরি করতে হবে।

ব্যাংকিং ব্যবস্থায় পরিবর্তন জরুরি জানিয়ে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী আরো বলেন, সুদহারসহ তদারকিতে আরো সংস্কার প্রয়োজন। দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ও টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরিতে ব্যাংকগুলো পর্যাপ্ত ভূমিকা রাখতে পারছে না। কেননা ব্যাংক সুদের হার এখন উচ্চ। উচ্চ সুদহার দেশের উদ্যোক্তা তৈরিতে এখনো প্রধান অন্তরায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button