ব্যাংক হিসাব

নিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব (RFCD) খোলার নিয়ম

বাংলাদেশি নাগরিকরা ভ্রমণ থেকে ফেরার সময় বিদেশি মুদ্রা দিয়ে একটি RFCD (Resident Foreign Currency Deposit) হিসাব খুলতে পারবেন। বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে নির্দিষ্ট কোনো বৈদেশিক মুদ্রায় টাকা জমা রাখা যায় এবং প্রয়োজনে তা টাকাতে রূপান্তর করা যায়। প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার আবেদন করতে পারেন।

Eligibility (নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা)
• বয়স: কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে;
• জাতীয়তা: বাংলাদেশী হতে হবে।

Features (বৈশিষ্ট্য)
• ইউএসডি, জিবিপি, ইউরো হিসেবে হিসাব খুলুন;
• ঘোষণা ছাড়াই ৫,০০০ মার্কিন ডলার জমা দিতে পারবেন;
• হিসাবের স্থিতির উপর আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড;
• স্বাধীনভাবে বিদেশে ভ্রমণের সময় অনুমোদন এবং বহন করতে পারবেন;
• স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তরযোগ্য।

Benefits (সুবিধা)
• আন্তর্জাতিক মোবাইল রোমিং বিল পরিশোধ;
• বিদেশে শিশুদের শিক্ষানবিশ ফি এবং থাকা খরচ;
• বিমানের টিকেট ক্রয়;
• বিদেশ থেকে বই কেনা;
• আন্তর্জাতিক সেমিনারে উপস্থিতি ফি পাঠানো;
• আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড বিল প্রদান।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

Formalities For Opening Foreign Currency Account (ফরেন কারেন্সি হিসাব খোলার নিয়মাবলী)
১. হিসাব খোলার ফর্ম যথাযথভাবে পূরণ এবং স্বাক্ষরিত হতে হবে।
২. মূল পাসপোর্ট যাচাইকরণের জন্য আনতে হবে এবং প্রথম সাত পৃষ্ঠার (এক সেট) ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৩. চাকুরীর প্রমাণপত্র, উপার্জন সনদপত্র, পে-স্লিপ, চাকুরীর নিয়োগপত্র যাতে বাৎসরিক বা মাসিক আয় বর্ণিত থাকে বা সর্বশেষ আয়কর রিটার্ন ফরম এর অনুলিপি।
৪. পরিচয় প্রদানকারী কর্তৃক সত্যায়িত আবেদনকারীর সম্প্রতি তোলা ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৫. নমিনী বা নমিনীগণের বিস্তারিত বিবরণ ও আবেদনকারী কর্তৃক সত্যায়িত প্রত্যেকের ১ (এক) কপিপাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৬. সার্ভিস/চুক্তি/নিয়োগের চিঠি/অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য ভিসা, ইত্যাদি জমা দিতে হবে। হিসাব খোলার ফর্ম বাংলা বা ইংরেজিতে যথাযথভাবে অনুবাদকৃত হতে হবে।
৬. যদি ব্যক্তি বিদেশ থেকে হিসাব খুলতে চায় তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (আসল পাসপোর্ট ব্যতীত) বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমোদিত কর্মকর্তা কর্তৃক যথাযথভাবে সত্যায়িত করে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে আপনার স্বাক্ষর পাসপোর্ট এ দেয়া স্বাক্ষরের অনুরুপ হতে হবে।
৭. বিদেশী নাগরিকের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট, বৈধ ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট এর অনুলিপি (বিদেশী পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ”বাংলাদেশের জন্য ভিসা প্রযোজ্য নয়”) পৃষ্ঠাটি সংযুক্ত করতে হবে।
৮. হিসাব ঠিকানার স্বপক্ষে সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, টেলিফোন) এর অনুলিপি (যদি থাকে)।

বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য
এছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে নিচের তথ্যসহ আবেদন করতে হয়-
কোন মুদ্রায় এটি পরিচালিত হবে, হিসাবধারীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ, পাসপোর্ট ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নাম, বিদেশে বর্তমান ঠিকানা, বাংলাদেশে বর্তমান ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর ও নমিনির ঠিকানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button