অর্থনীতিক্ষুদ্রঋণ

ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র্য বিমোচনে কতটা সহায়ক

ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচন কতটা সম্ভব এ নিয়ে বিতর্ক চলছে অনেক দিন ধরেই। সম্প্রতি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য করায় পুরনো বিতর্ক নতুন করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। অনেকেই প্রশ্ন উত্থাপন করতে শুরু করেছেন, ক্ষুদ্রঋণ যদি দারিদ্র্যবিমোচন নাই করে, তাহলে এ ঋণ কর্মসূচি নিয়ে এত আশাবাদের কারণ কী? কেনইবা আমরা দিনের পর দিন ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি? বাংলাদেশে ক্ষুদ্র কার্যক্রম এত সম্প্রসারিত হওয়ার কারণ কী? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক আলোচনা করতে হবে।

দেশে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু হয় মূলত স্বাধীনতার পরপরই; কিন্তু এ কার্যক্রম জনপ্রিয়তা অর্জন করে আশি ও নব্বইয়ের দশকে। এ সময় অনেকেই ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ শুরু করে। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনায় নেতৃত্বদান করে নন-গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশনগুলো (এনজিও)। এনজিওগুলো প্রথমে জনসেবার নামে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তী সময়ে তারা কোনো না কোনোভাবে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে যুক্ত হয়। এটা তাদের আর্থিক ভিত্তিকে সবল করে। যে কোনো প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে পরিচালনা করতে হলে তার আর্থিক ভিত্তি সবল হতে হয়।

এনজিওগুলো তাদের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্যই মূলত ক্ষুদ্র ঋণদান কার্যক্রম শুরু করে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ ঋণদান কার্যক্রম জনপ্রিয়তা লাভ করে। কারণ ক্ষুদ্রঋণ এমনসব মানুষকে নিয়ে আবর্তিত হয় যারা প্রচলিত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পায় না। এনজিওগুলো সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ঋণের কিস্তি আদায়ের ব্যবস্থা করে। এতে দরিদ্র মানুষের পক্ষে ঋণের প্রকৃত সুদের হার কত দিতে হচ্ছে তা অনুধাবন করা প্রায়ই সম্ভব হতো না।

অনেকেই মনে করেন, এনজিওগুলোর দেয়া ক্ষুদ্রঋণ আসলে দরিদ্র মানুষকে শোষণের একটি হাতিয়ার মাত্র। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ঋণের সুদের হার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হতো। এ অস্বাভাবিক সুদ হার প্রত্যক্ষ করে একসময় সরকার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণের সর্বোচ্চ সুদ হার ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়; কিন্তু এটাও বিদ্যমান বাস্তবতায় অস্বাভাবিক উচ্চ সুদ বলেই অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। তারপরও সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গ্রামের দরিদ্র-অসহায় মানুষ ক্ষুদ্রঋণের জন্য এনজিওগুলোর দ্বারস্থ হয়। কারণ অন্য কোনো উৎস থেকে তারা সহজে ঋণ পায় না। তাই তারা অনেকটা বাধ্য হয়েই এনজিওগুলোর কাছ থেকে ক্ষুদ্র বা মাইক্রোক্রেডিট গ্রহণ করে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।
রিলেটেড লেখা

মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্রঋণ এবং এসএমই (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ) বা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে অনেকের মাঝেই বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যায়। অনেকে এ দুটি বিষয়কে প্রায়ই গুলিয়ে ফেলেন। কিন্তু ক্ষুদ্রঋণ ও এসএমই শিল্পের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের জন্য যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকেই মাইক্রোক্রেডিট বলা হয়। মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি বলতে এমন শিল্প-কারখানা বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়, ‘যার জমি ও কারখানা ভবন ছাড়া স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১০ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। কিংবা যেসব প্রতিষ্ঠানে ১৬ থেকে ৩০ জন শ্রমিক কাজ করে।’ সেবা খাতে মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি বলতে এমন প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়, ‘যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি ও কারখানা ভবন ছাড়া স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১০ লাখ টাকার নিচে কিংবা যেসব প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ১৫ জন শ্রমিক কাজ করে।’

অন্যদিকে এসএমই শিল্প বলতে এমন শিল্প বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়, ‘যেখানে ভূমি ও ইমারত ছাড়া প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ স্থায়ী সম্পদের মূল্য ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ১০ থেকে ২৫০ পর্যন্ত।’ এসএমই শিল্পকে দু’ভাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। প্রথমত, প্রতিষ্ঠানের সম্পদের মূল্যের ভিত্তিতে এবং দ্বিতীয়ত, কর্মরত লোকবলের ভিত্তিতে। বর্ণিত সংজ্ঞা থেকে এটা পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান, কোনোভাবেই মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি এবং এসএমই শিল্পকে এক করে দেখার অবকাশ নেই। কারণ এ দু’য়ের মধ্যে দৃশ্যমান পার্থক্য বিদ্যমান।

এখন বিবেচ্য বিষয় হল, ক্ষুদ্রঋণ বা মাইক্রোক্রেডিট দারিদ্র্যবিমোচনে কি সত্যি সহায়তা করে? আর সাহায্য করলেও সেটা কী পরিমাণে? বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে, বিশ্বের অন্য কোনো দেশে তা হয়নি। এ দেশে এমন একটি গ্রামও সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম চলছে না। অনেকেই বেকারত্ব নিরসনের জন্য একটি এনজিও স্থাপন করে মাইক্রোক্রেডিট কার্যক্রম শুরু করেছে। আবার কেউবা ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিকল্পিতভাবেই ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। মোট কথা, যেভাবেই হোক দেশে ক্ষুদ্রঋণের রমরমা অবস্থা বিরাজ করছে।

ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। অন্তত তিনটি গবেষণার কথা উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক হবে। এর মধ্যে একটি গবেষণা কর্ম সম্পাদন করেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ। তিনি এ গবেষণা করেন ২০০৬ সালে। সারা দেশ থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এ গবেষণাটি করা হয়েছিল। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে যারা ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণ করে তাদের মাত্র ৭ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠতে পেরেছিল। বাকি ৯৩ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে থেকে গেছে।

ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ (Banking News Bangladesh. A Platform for Bankers Community.) প্রিয় পাঠকঃ ব্যাংকিং বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

এ গবেষণায় তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল যারা অন্তত ৪ বছর ধরে ক্ষুদ্র সুবিধা ভোগ করছে। অতি সম্প্রতি যারা ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণ করেছে তাদের এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অন্য গবেষণাটি করে ওয়াশিংটনভিত্তিক ‘গ্লোবাল মাইক্রোক্রেডিট ক্যাম্পেইন’ নামে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়কে ধারণ করে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে উল্লিখিত সময়ে বাংলাদেশে ২ মিলিয়ন পরিবার দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠেছে। এ ফাইন্ডিংসকে তারা বিশ্বব্যাপী ফলাও করে প্রচার করে। কিন্তু যেটা বলা হয়নি তা হল, ক্ষুদ্রঋণ নিয়েছে প্রায় ২৩ থেকে ২৪ মিলিয়ন পরিবার, যার সিংহভাগই দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠতে পারেনি। অর্থাৎ মাত্র ৯ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবার ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠতে পেরেছিল। দুটি গবেষণার ফলাফলের মধ্যে কিছুটা হলেও মিল লক্ষ্য করা যায়।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ তার গবেষণায় দেখিয়েছিলেন, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠেছে। আর আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলেছে, ৯ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠতে পেরেছে। অপর একটি গবেষণা করেছে অভিজিৎ ব্যানার্জির নেতৃত্বে হার্র্ভার্ডের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ৭টি দেশে এ গবেষণা কার্য পরিচালনা করে। দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, মঙ্গোলিয়া, ফিলিপাইন, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, মরক্কো, ইথিওপিয়া ও মেক্সিকো। তাদের গবেষণার মূল বিষয় ছিল ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে দরিদ্র মানুষের কেমন অগ্রগতি হয়। এ গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে দরিদ্র মানুষের আয় তেমন একটা বাড়েনি। আয় কিছুটা বাড়লেও তারা দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠতে পারেনি। দারিদ্র্য তেমন একটা কমেনি। এছাড়া ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ বাড়েনি। তারা ইতিবাচক যেটা বলেছে তা হল, ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের হাতে কিছু টাকা এসেছে। তারা কিছু একটা কাজ করতে পারে।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেছেন, তিনি নিজে একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন- যারা ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠেছে তাদের সেই অবস্থানও টেকসই নয়। যে কোনো সময় তারা পড়ে যেতে পারে। আরও একটি ঘটনা ঘটে। কোনো এক ব্যক্তি হয়তো মাছ চাষ করার জন্য এনজিও থেকে ঋণ নিল; কিন্তু এর পরপরই পাওনাদাররা তার কাছ থেকে তাদের পাওনা আদায় করে নিল। ফলে তার পক্ষে ঋণের কিস্তি ফেরত দেয়ার কোনো ব্যবস্থা রইল না। তিনি আবার অন্য কোনো সূত্র থেকে ঋণ গ্রহণ করে কিস্তি পরিশোধ করতে থাকলেন। এভাবে তিনি মারাত্মক বিপদে পড়েন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ চক্করে পড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ। তিনি আরও বলেন, অনেক দিন ধরেই দারিদ্র্য নিরসনের নামে এনজিওগুলো ঋণ দিয়ে যাচ্ছে; কিন্তু দারিদ্র্য তো থেকেই যাচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে দরিদ্র মানুষের তেমন কোনো সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে না। আর সম্পদ সৃষ্টি না হলে দারিদ্র্যবিমোচন টেকসই হবে না। কাজেই বলা যেতে পারে, দারিদ্র্যবিমোচনে ক্ষুদ্রঋণের উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা নেই।

দরিদ্র মানুষের মধ্যে দু’ধরনের লোক আছেন। একশ্রেণীর মানুষ আছেন যারা অর্থাভাবে উৎপাদনশীল কোনো কাজ করতে পারেন না; কিন্তু তাদের উদ্যোগ আছে। উদ্যোক্তা হওয়ার সব ধরনের যোগ্যতা তাদের আছে। যাকে ‘অ্যাচিভমেন্ট নিড’ বলে অভিহিত করা যেতে পারে। অর্থ পেলে এ ধরনের মানুষ তা ব্যবহার করে দ্রুত উন্নতি করতে পারেন। অবশ্য এদের সংখ্যা খুবই কম। কারও মতে, এদের সংখ্যা শতকরা ১০ ভাগ। আবার কেউ বলে থাকেন ২০ ভাগ। অবশিষ্ট যে ৮০ ভাগ মানুষ আছেন, তাদের অবস্থা খুবই করুণ। অবশিষ্ট যে ৮০ শতাংশ মানুষ তারা সব সময়ই অভাবের মধ্যে থাকেন। এরা ঋণ বা অর্থ পেলে তা উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় না করে খাওয়াসহ দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর কাজে ব্যবহার করেন। ফলে তারা ঋণের কিস্তি নির্ধারিত সময়ে ফেরত দিতে পারেন না। ঋণ নিয়ে তারা আরও বেশি পরিমাণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

অনেকেই ঋণের কিস্তি ফেরত দিতে না পেরে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। কাজেই ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচন হয় ঢালাওভাবে, এটা বলার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র ঋণদানের আগে সম্ভাব্য ঋণগ্রহীতাকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সেই প্রশিক্ষণকালে দেখতে হবে তার মাঝে উদ্যোক্তা হওয়ার গুণাবলি আছে কিনা। চাইলেই সবাইকে বিত্তবান বা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না। একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, যিনি বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণের অন্যতম উদ্ভাবক তিনি বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ‘দারিদ্র্য’ নামক শব্দটির স্থান হবে জাদুঘরে। কিন্তু এটাই বাস্তব যে, ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে কখনোই দারিদ্র্যবিমোচন সম্ভব নয়। দারিদ্র্য অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, এটাই বাস্তবতা।

কার্টেসিঃ এম এ খালেক: অর্থনীতি বিষয়ক কলাম লেখক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button