বাংলাদেশ ব্যাংকব্যাংক নোট

ছেঁড়া-ফাটা ও ময়লা নোট গ্রহণে এবং বিনিময়মূল্য প্রদানে তফসিলী ব্যাংক শাখার করণীয়

Bangladesh Bank (Note Refund) Regulations‐2012 এর বিধান মোতাবেক ছেঁড়াফাটা খন্ডিত ও ময়লাযুক্ত নোট গ্রহণ ও উহার বিনিময়মূল্য প্রদানের বিষয়ে নিম্নরূপ নির্দেশনা অনুসরণীয় হবেঃ

১) ব্যাংকের প্রত্যেক শাখার জনসাধারণের সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে “ছেঁড়া-ফাটা ও ময়লা নোট গ্রহণ করা হয়” মর্মে একটি নোটিশ স্থাপন করতে হবে। নোটিশে উল্লেখ থাকবে যেঃ
– ময়লা অবিকৃত নোটের বিনিময়মূল্য জমা গ্রহণকালেই পরিশোধ করা হবে;
– কোন ছেঁড়া নোটের কোন অংশ যদি অনুপস্থিত থাকে এবং বিদ্যা মানুষের যদি ৯০% এর অধিক হয় তবে সেরূপ নোটের সম্পূর্ণ বিনিময়মূল্য সরাসরি কাউন্টারের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে;
– কোন নোট যদি একাধিক খণ্ডে খণ্ডিত না হয় এবং নোটের সম্পূর্ণ অংশ বিদ্যমান থাকে তাহলে সে নোটের সম্পূর্ণ বিনিময় মূল্য সরাসরি কাউন্টারের মাধ্যমে প্রদেয় হবে;
– অধিক ছেঁড়াফাটা, অত্যধিক জীর্ণ, আগুনে পোড়া/ঝলসানো/ড্যাম্প এবং ৯০% বা এর চেয়ে কম রয়েছে এমন নোটের বিনিময় মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রদেয় হবে; মূল্য সংগ্রহের জন্য এসব নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণের ডাক বা ক্যুরিয়ার মাশুল নোট জমাদানকারী থেকে আদায়যোগ্য হবে;
– জালনোট উপস্থাপনকারীকে এবং একাধিক নোটের বিভিন্ন অংশ সংযোজন করে (Built‐up) নোট উপস্থাপনকারীকে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের হাতে সোপর্দ করা হবে।

২) উপরোক্ত নোটিশের ঘোষণা মোতাবেক অল্প ছেঁড়াফাটা ও ময়লা নোটের সম্পূর্ন নিময়মূল্য প্রদানে ব্যাংক শাখা নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা অনুসরণ করবেঃ
ক) ব্যাংক শাখার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা এবং বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে অবশ্যই মর্যাদার দিক থেকে উক্ত পদমর্যাদার সমান) নিশ্চিত হবে ৯০% এর বেশি অংশ বিদ্যমান এবং আসল নোট হিসেবে সন্দেহাতীতভাবে শনাক্ত হবার মতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য নোটটিতে রয়েছে।
খ) উপস্থাপিত নোট একাধিক খণ্ডে খণ্ডিত নয় এবং খণ্ড দুটি সন্দেহাতীতভাবে একই নোটের অংশের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত হবেন। এসব ক্ষেত্রে জমাগ্রহণকালে নোটের বিচ্ছিন্ন খন্ডদুটো এক পিঠে যথাসম্ভব সরু আকারের হালকা কাগজ দিয়ে এমনভাবে জোড়া লাগাতে হবে যাতে আসল নোট হিসেবে সনাক্তকরণের জন্য নোটটির পরীক্ষণে অসুবিধা না হয়। দুই খন্ডে বিচ্ছিন্ন হয়নি কিন্তু পরীক্ষণকালে নাড়াচাড়ায় বিচ্ছিন্ন হতে পারে এমন জীর্ণ নোটেরও এক পিঠে অনুরূপভাবে যথাসম্ভব সরু আকারের হালকা কাগজ দিয়ে আবদ্ধ করতে হবে যাতে আসল নোট হিসেবে সনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষণে অসুবিধা না হয়।
গ) অল্প ছেঁড়াফাটা নোট ও ময়লা নোটের বিনিময়মূল্য প্রদান করে গৃহীত এসব নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে বা সোনালী ব্যাংক লিঃ এর চেষ্ট শাখায় জমা দেয়ার সময় পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের সংগে মিশ্রিত না করে পৃথকভাবে প্যাকেট করে প্রেরণ করতে হবে।

৩) জমাগ্রহণকালেই সরাসরি কাউন্টারের মাধ্যমে বিনিময়মূল্য প্রদানযোগ্য নোট ব্যতীত অন্যান্য নোট অর্থাৎ অত্যধিক জীর্ণ, আগুনে পোড়া/ঝলসানো/ড্যাম্প বা সম্পূর্ণ নোটের ৯০% বা এর চেয়ে কম রয়েছে এমন নোট গ্রহণপূর্বক তার মূল্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণে নিম্ন বর্ণিত ব্যবস্থা অনুসরণীয় হবেঃ
ক) নোটের মূল্যমান, সিরিজ, নম্বর, জমাদানকারীর নাম ও পূর্ণ ঠিকানা সম্বলিত আবেদন পত্রের সংগে ব্যাংক শাখা নোটটি গ্রহণ করবে। পরীক্ষণকালে নাড়াচাড়ায় বিচ্ছিন্ন হতে পারে এরকম নোটের এক পিঠে যথাসম্ভব সরু আকারের হালকা সাদা কাগজ দিয়ে এমনভাবে আবদ্ধ করতে হবে যাতে আসল নোট হিসেবে সনাক্তকরণের জন্য নোটটির পরীক্ষণে অসুবিধা না হয়। নোটের কোন অংশ বিদ্যমান না থাকলে সেখানে কোন কাগজ লাগানো যাবে না।
খ) জমাদানকারীর আবেদনপত্রসহ গৃহীত নোট শাখার ফরওয়ার্ডিং পত্রের মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটতম কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক বরাবরে মাধ্যমে কিংবা প্রাপ্তি স্বীকার স্লিপ সম্বলিত রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে/কুরিয়ারযোগে প্রেরণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশিস্নষ্ট কার্যালয় কর্তৃক প্রাপ্তির ০৮(আট) সপ্তাহের মধ্যে নোট রিফান্ড রেগুলেশন্স এর আওতায় নোটটির মূল্য প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে ও মূল্য প্রদানযোগ্য হলে সংশিস্নষ্ট ব্যাংকের হিসাবে মূল্য আকলন করা হবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

৪) জালনোট উপস্থাপনকারীকে বা একাধিক নোটের বিভিন্ন অংশ একত্র করে প্রস্তুতকৃত (Built‐up) নোটের উপস্থাপনকারীকে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দকরণকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটতম কার্যালয়কেও অবহিত করতে হবে।

• এ সংক্রান্ত সার্কুলারটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে

সূত্রঃ ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সী ম্যানেজমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিসিএম সার্কুলার লেটার নং: ১৫, তারিখঃ ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button