ব্যাংক গ্রাহক

ব্যাংক গ্রাহকদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ

সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সময় আপনারা অতি প্রয়োজন না হলে ব্যাংকে আসবেন না। যদি দরকার হয় একবারে পুরা মাসের টাকা তুলে নিবেন। মনে রাখবেন আপনার আমার একটু সচেতনতা আপনার, আমার, সকলের পরিবারকে নিরাপদ রাখতে পারি। শুধু নগদ জমাও উত্তোলন ব্যতীত ব্যাংকে আসবেন না। ব্যাংকের সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলুন-

ব্যাংকে যখন গ্রাহকরা আসে তখন অনেকেই ব্যাংকের কাউন্টার বা টেবিলে থাকা একটি কলম ব্যবহার করেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যদি সে কলম ব্যবহার করে তাহলে পরবর্তী ব্যবহারকারীদেরও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সেজন্য নিজেই পকেটে একটা কলম রাখতে পারেন এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ (Banking News Bangladesh. A Platform for Bankers Community.) প্রিয় পাঠকঃ ব্যাংকিং বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

অনেকে দেখা যায় প্রতি মাসে পরিবারের খরচের জন্য অল্প অল্প করে অনেকবার টাকা উঠায়। তা না করে পুরা মাসের খরচের টাকা একবারে উঠান, তাতে আপনার ব্যাংকে এসে সংক্রমনের সম্ভাবনা কমবে।

নগদ জমা বা উত্তোলনের পর টাকা গননার সময় থুথুর ব্যবহার করবেন না। পারলে সাথে সাথে সাবান বা হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন আপনার হাতের টাকাটা কয়জনের হাত ঘোরে আপনার হাতে এসেছে সেটা কারো জানা নাই।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

ব্যাংকে আসার পর চেক বা জমা ভাউচার লেখার সময় আপনার মোবাইল ফোনটা টেবিল বা কাউন্টারের কোথাও না রেখে পকেটে রাখুন। কারন ব্যাংকের টেবিল বা কাউন্টারে করোনাভাইরাস থাকার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আপনি তো জানেন না সারা দিনে আপনার মত কত গ্রাহক ঐ টেবিলে হাত দিয়েছে, তাদের মধ্যে করোনার বাহক তো থাকতেই পারে!

নিজের চেকটা নিজে লিখুন এবং অন্য কাউকে চেক লিখে দিতে সাহায্য করলে হাতটা স্যানিটাইজ করুন।

করোনাকালে একটু ব্যাংকে আসার পর একটু ধৈর্য্যশীল হউন। অনেক সময় গ্রাহকদের দেখা যায় অধৈর্য্য হয়ে লাইনে হুড়াহুড়া করে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখেন না। এতে করোনা পজিটিভ কারোর সংস্পর্শে এসে বিপদ ডেকে নিয়ে আসতে পারেন।

হাত ধুতে অনুরোধ করলে, দূরত্ব মেনে দাঁড়াতে বললে বা মাস্ক পরে থাকতে বললে অনেকেই বিরক্ত হন। কেউ কেউ আবার তাচ্ছিল্যও করেন দয়া করে এটা পরিহার করুন। মনে রাখবেন ব্যাংক হল বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষের মিলন মেলা। কে ব্যাংকে আসে না বলুন? সাধারন জনগন থেকে শুরু করে শিক্ষিত থেকে অশিক্ষিত, সরকারী বেসরকারী চাকুরিজীবি, এনজিও কর্মী, স্বাস্থকর্মী, ভাতা ও পেনশনভোগী (যাদের বয়স ষাটোর্ধ) এই রকম অনেক শ্রেনীর মানুষ আসে ব্যাংকে। তাই ব্যাংকের ভিতর কোভিড-১৯ সংক্রমনের ঝুঁকিও অনেক বেশি।

অনেক মহিলা গ্রাহক বিশেষ করে যারা রেমিটেন্সের জন্য আসেন তারা ব্যাংকে আসার সময় তার ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আসেন, এই সময়ে ব্যাংকে একা আসার চেস্টা করুন। প্রবাসি ভাইয়েরা অনেক সময় বৃদ্ধ বাবা মায়ের নামে টাকা পাঠান, এই সময়ে পরিবারের অন্য কারো নামে টাকা পাঠাতে পারেন যাতে বয়স্ক কারো ব্যাংকে আসা না লাগে।

সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকে আসুন, সাবধানে থাকুন নিরাপদে থাকুন।

কার্টেসিঃ ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

প্রিয় পাঠকঃ ব্যাংক, ব্যাংকার ও ব্যাংকিং বিষয়ক চলমান খবর বা সমসাময়িক বিষয়ে আপনার লেখা ও মতামত ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ এ প্রকাশ করতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন- [email protected] আমরা আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে তা প্রকাশ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button