স্কুল ব্যাংকিং

ছাত্র-ছাত্রীদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গঠনের মৌলিক উপাদান সমূহ

ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশঃ শুরু করাটাই হচ্ছে সঞ্চয়ের সবচেয়ে কঠিন কাজ। অর্থ সঞ্চয়ের সহজ উপায় খুঁজে বের করা এবং আপনার আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য সঞ্চয় কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে। অর্থ সঞ্চয় করার নিম্নোক্ত গাইডটি আপনাকে বাস্তবসম্মত সঞ্চয় পরিকল্পনা করে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

১) আপনার খরচ সমূহকে রেকর্ড করুন
অর্থ সঞ্চয় করার প্রথম ধাপে আপনি কতটা ব্যয় করেন তা বের করুন। আপনার সমস্ত খরচের ওপর নজর রাখুন। আদর্শ ভাবে আপনি প্রতিটি খরচ বিবেচনা করুন। খরচগুলো বিভিন্ন সংখ্যা দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করুন যেমন- খাবার, যাতায়াত, চিকিৎসা এবং বাচ্চাদের শিক্ষা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক হিসাব বিবরণী কিংবা ক্রেডিট কার্ড বিবরণী বিবেচনা করতে পারেন।

২) একটি বাজেট তৈরি করুন
আপনি এক মাসে কি পরিমান ব্যয় করেন সে ব্যাপারে যখন আপনার ধারণা তৈরি হবে, তখন আপনি আপনার রেকর্ডকৃত খরচসমূহ কে একটি কার্যকর বাজেটে তৈরি করতে পারেন। আপনার আয়ের কি পরিমান ব্যয় করবেন সেটা বাজেটে নির্ধারণ করুন, এর ফলে খরচ এবং সীমার অতিরিক্ত খরচ বের করতে পারেন। আপনার নিয়মিত মাসিক খরচ ছাড়াও অনিয়মিত মাসিক খরচ সমূহ বিবেচনা করুন।

৩) অর্থ সঞ্চয়ের পরিকল্পনা করুন
বাজেট তৈরি করার পর এর মাঝে সঞ্চয়ের একটি শ্রেণী তৈরি করুন। এ শ্রেণীতে আপনার খরচ কমানোর একটা উপায় হতে পারে। আপনারা এর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সঞ্চয়ের চেষ্টা করুন। যদি আপনার খরচ এত বেশি হয় যে আপনি সঞ্চয় করতে পারছেন না। সেটা করতে চাইলে, আপনার কম প্রয়োজনীয় খরচ সমূহ নির্দিষ্ট করুন যেমন- বিনোদন এবং বাইরে খেতে যাওয়া ইত্যাদি।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

৪) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
আপনার খরচ এবং এরপর আপনার লক্ষ্যসমূহের সবচেয়ে বড় প্রভাব হচ্ছে আপনি কিভাবে সঞ্চয় করছেন। আপনি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের কথা ভাবতে পারেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লক্ষ্য নির্ধারণ আপনাকে সঞ্চয় শুরু করার ব্যাপারে সঠিক ধারণা দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ- আপনি যদি জানেন আপনি নিকট ভবিষ্যতে একটি গাড়ি ক্রয় করতে চাচ্ছেন, তখন আপনি এর জন্য সঞ্চয় শুরু করতে পারেন।

৫) সঠিক উপায়টি নির্ধারণ করুন
আপনার লক্ষ্য পূরণের মেয়াদ অনুযায়ী আপনি সঠিক মাধ্যম নির্ধারণ করতে পারেন। স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্যের জন্য স্বল্প মেয়াদী ব্যাংক হিসাব আর দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যাংক হিসাব খোলা যেতে পারে।

৬) সঞ্চয়কে স্বয়ংক্রিয় করুন
প্রায় সকল ব্যাংক হিসাব সমূহের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অর্থ স্থানান্তরের সুযোগ থাকে। যেমন- সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ডিপিএস হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্থ স্থানান্তর করা যায়। কোন হিসাবে কি পরিমাণ এবং কখন সেই অর্থ স্থানান্তর করতে চান সেটা আপনি নির্ধারন করুন। স্বয়ংক্রিয় অর্থ স্থানান্তর একটি বড় উপায়। কারণ আপনি এই ব্যাপারে ভাবেন না এবং এটা সাধারনত আপনাকে অর্থ খরচ করতে নিরুৎসাহিত করবে।

৭) আপনার সঞ্চয় বাড়াতে থাকুন
প্রতি মাসে আপনার সঞ্চয়ের উন্নতি দেখুন। এটা শুধু আপনার ব্যক্তিগত সঞ্চয় বাড়াতেই সাহায্য করে না বরং আপনাকে সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করতে সাহায্য করে।

এই সহজ উপায়সমূহ আপনাকে আরো সঞ্চয়ে উৎসাহিত করবে এবং দ্রুত আপনার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button