ফিনটেক

ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় নতুন প্রযুক্তি ফিনটেক এর হাতছানি

ব্যাংক ও ফিনান্সিয়াল কোম্পানির মধ্যে যোগসূত্র তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশের উদীয়মান আর্থিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা আসবে। ব্যাংক খাতে সিকিউরিটিতে সামনের দিনগুলোতে ফিনটেক ছাড়া উপায় নেই। তাই এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে উন্নত দেশের পথে পা বাড়াতে পারে বাংলাদেশ।

বিশ্বজুড়ে আজ প্রযুক্তির ঢেউ আছড়ে পড়ছে সবখানে। সেখানে কেউ তাল মিলিয়ে টিকে যাচ্ছে নতুবা হারিয়ে যাচ্ছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফিনটেক একটি নতুন শব্দ। অনেকের কাছে এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে আগে জানা দরকার ফিনটেক কি?

ফিনটেক কি?
ফাইনালসিয়াল টেকনোলজি এর সংক্ষিপ্ত রূপ ফিনটেক। সনাতন ফিনান্সিয়াল সার্ভিসগুলোকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুবিধাজনকভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই হলো ফিনটেক। ফিনটেক নিঃসন্দেহে জীবনকে বদলে দেবে। ফিনটেক এখন বাস্তবতা ও যুগের দাবি।

অর্থ প্রদান, বীমা, ঋণ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য আর্থিক সাবসিডিয়ারি পরিসেবা দিয়ে থাকে ফিনটেক। প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিক পণ্য ও সেবার ডিজাইন ও সরবরাহের কাজও করে ফিনটেক। এর মাধ্যমে ব্যাংকে চেক ছাড়াই টাকা উত্তোলন ও কোনো কাগজপত্র ছাড়াই লেনদেন ও একাউন্ট খোলা যায়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

এছাড়াও ফরেস্ক ও স্টক ট্রেডিং, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড অ্যাপস, এগুলো সবই ফিনটেক এর উদাহরণ। ফিনটেকের মূল ব্যবহারকারি হচ্ছে ব্যাংক, ইনসুরেন্সসহ অন্যান্য ফাইনানসিয়াল প্রতিষ্ঠান করে থাকে। ফিনটেক এর মাধ্যমে সহজেই কম খরচে গ্রাহকদের সেবা দেয়া যায়।

ফিনটেক প্রযুক্তির দিকে যাচ্ছে বিশ্ব
বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফিনটেকের দিকে কেন ঝুঁকছে? যারা সাধারণ ব্যাংকিং করে না, তাদের কাছেও পণ্য ও সেবা পৌঁছানো যায়। প্রতিযোগিতার যুগে ফিনটেক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে রাখে। বিশ্বব্যাপি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে ফিনটেক। বিশ্বের অনেক দেশে ফিনটেক ভিত্তিক কোম্পানি কাজ করছে। বিশ্বব্যাপী, আর্থিক সেবা খাতে বাধা দূর করে এর পথ সুগম করে কাজকে সহজ করে চলেছে।

আমেরিকার ওয়ারবার্গ পিনকাস, ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট ও এম এন এ, চীনের অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল, দুবাইয়ের ফিনটেক ইনোভেশন ইন্টারন্যাশনাল ডিএমসিসি বিশ্বের অন্যতম ফিনটেক কোম্পানি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে অ্যাপের মাধ্যমে উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কোথাও না গিয়ে ফিনটেক চালু করতে পারে।

কাগজপত্র পূরণের কোনো ব্যাপার নেই। গ্রাহকদের মৌলিক তথ্য যেমন ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ও ব্যাংক একাউন্টের তথ্য দিলেই ফিনটেকের সাথে যুক্ত হওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ তথ্যাদী ভেরিফাই করার পর সঠিক থাকলে তারপর একাউন্টটি চালু হয়।

সিকিউরিটি টু সিকিউরিটি মেইনটেইন করা হয় বলে ফিনটেকে আর্থিক লেনদেন নিরাপদ ও ঝুঁকি কম থাকে। পাসওয়ার্ড সচেতনভাবে ব্যবহার করলে ফিনটেকে কোনো সমস্য হবে না।

বিশ্বজুড়ে এগিয়ে যাচ্ছে ফিনটেক
২০১৮ সালে ব্যাপক বিনিয়োগের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০১৯ সালে ফিনটেক কম পরিসরে বিনিয়োগ করতে শুরু করে। একই বছর মার্কিন আর্থিক জয়েন্ট ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট ও এমএনএ বিনিয়োগ কার্যক্রম বছরের প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।

মার্কিন-চীন উভয় দেশের বাণিজ্য উত্তেজনায় চীনের অনেক চু্ক্তি হ্রাস পায়। চীনের অর্থনীতে হোচঁট খাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা ফিনটেক ও ফিনটেক কোম্পানিগুলোর দিকে নজর দিতে থাকে।

সিবি ইনসাইটের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফিনটেকের চু্ক্তি ও অর্থায়নের জন্য একটি রেকর্ড বছর ছিল। প্রত্যেক বছরই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফিনটেকের চুক্তি ও অর্থায়ন বেড়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে ১৯ শতাংশ ছিলে ২০১৮ সালে তা বেড়ে ১৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

সাধারণভাবে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ফাইনটেক স্টার্টআপগুলো বেশি তহবিল ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে। ২০১৮ সালের সবচেয়ে বড় গ্রহীতা ছিল ভিয়েতনাম-ভিত্তিক ফাইনটেক মেজর মোমো। যা ওয়ারবার্গ পিনকাস থেকে সিরিজ সি তহবিল হিসেবে ১০০ মিলিয়ন নেয়।

চীনের টেক জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আগ্রাসীভাবে নিজেদের প্রসারিত করতে চাইছে। অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল বিভিন্ন সহায়ক সংস্থার মাধ্যমে অর্থ প্রদান, বীমা, ঋণ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য আর্থিক সাবসিডিয়ারি পরিসেবা দিয়ে যাচ্ছে।

অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল একাই ১৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে যা ২০১৮ সালের মোট বিনিয়োগের প্রায় ৩৫ শতাংশ বলে জানায় সিবি ইনসাইট। সিবি ইনসাইটস জানায়, মার্কিন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ২০১৮ সালের বিনিয়োগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৮ সালের ঋণের ২৯.৫৭ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাপী ১৭০৭টি চু্ক্তি করেছে। বছরে ১৫ শতাংশ চুক্তি বেড়েছে। অন্যান্য ফিনটেকগুলো বার্ষিক ১৪৬৩ সংস্থার সাথে চুক্তি করেছে।

অন্যান্য বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ছিল ২৭৪৫, যার বেশির ভাগই কর্পোরেট বিনিয়োগকারী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে ১১.৮৯ বিলিয়ন ডলারের ৯৬৫ টি বিনিয়োগ করে শীর্ষ ফিনটেক বাজার হিসাবে তার অবস্থান ধরে রেখেছে।

তবে এশিয়া এটিকে প্রারম্ভিক পর্যায়ে দেখছে। ধীরে ধীরে মেগা বিনিয়োগ করছে। এশিয়ায় বছরে ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এশিয়ার ফিনটেক সংস্থাগুলোর তহবিলের পরিমাণ ২২.৬৫ বিলিয়ন ডলার যা ৫১৬ টি চুক্তির মাধ্যমে করেছে।

ফিনটেকে চীনের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতও। দুবাইয়ের ফিনটেক ইনোভেশন ইন্টারন্যাশনাল ডিএমসিসি বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই ফিনটেক বিনিয়োগের কেন্দ্র হিসাবে এশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সিবি ইনসাইটস এর প্রতিবেদনে বলা হয়।

ফিনটেক ও বাংলাদেশ
বাংলাদেশের অনুন্নত আর্থিক ব্যবস্থা, বিশাল অব্যবহৃত জনসংখ্যা ও স্মার্টফোন ব্যবহারের হার, উদ্ভাবনী ডিজিটাল ফিনান্সগুলোর বিকাশ ঘটিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ একটি জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পুরানো ধ্যান-ধারণাকে বাদ দিয়ে আধুনকি প্রযুক্তিনির্ভর সেবা ফিনটেক যুগের দাবি।

আশির দশকে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের সাথে পরিচয় ঘটে বাংলাদেশের। মোবাইল ফিনান্সিয়ালের সাথে পরিচয় ঘটে ৪-৫ বছর আগে। বিকাশের মতো নন-ব্যাংকিং ফিনটেক সংস্থা বিগত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশের মোবাইল মানি সেবার ক্ষেত্রে বাজারের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম আই পে’র পরে রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলো বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি এক্সিলার, ইনকিউবেটর, স্টার্টআপ ইভেন্ট দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। মোবাইল ফোনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার আলোড়ন তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে দেশের প্রযু্ক্তিতে।

মোবাইল মানি পরিসেবা ছাড়াও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার মতো অ্যাকাউন্ট খোলা, ঋণ, বীমা এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবাগুলো প্রচলিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় করা হয়নি।

ফিনটেক প্রযুক্তি
আধুনিক আর্থিক পরিসেবা খাত ৪০০ বছরেরও বেশি পুরনো। অর্থ পরিশোধের জন্য সতেরো শতকে চেক প্রবর্তন করা হয়েছিল এবং এর কয়েক শতাব্দী আগে বীমার কার্যক্রম শুরু করা হয় তবুও, আজ বাংলাদেশের ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই এবং তাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম দেশের আনুষ্ঠানিক অর্থনীতির অংশ নয়।

সঠিক নিয়ামক কাঠামো এবং প্রযুক্তিগত সহায়তায় গৃহীত হলে ফিনটেক এই দৃশ্য পরিবর্তন করতে পারে। ফিনটেক বাংলাদেশের মতো উদীয়মান দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করার জন্য প্রস্তুত। ফিনটেক বাংলাদেশের অর্থনীতি কার্যক্রমের সংস্কার করতে পারে।

ভারতের মতো অন্যান্য উদীয়মান দেশগুলির আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফিনটেকের অনেক উপাদান ইতিমধ্যে গ্রহণ করে এর সুবিধা ভোগ করছে। বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ প্রদানের সুবিধার্থে আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির একটি বিশাল অংশকে আনতে সহায়তা করবে।

আনুষ্ঠানিক অর্থনীতির মাধ্যমে অর্থ প্রদান বাড়ানো অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে এবং কর আদায়ের কার্যকারিতা উন্নত করবে। ফিনটেক নোট মুদ্রণ ও বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় নগদ পরিমাণ লেনদেন হ্রাস করবে। ফিনটেক দেশে জাল মুদ্রার প্রচারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো স্বয়ংক্রিয়করণে পিছিয়ে রয়েছে। ফিনটেক স্টার্টআপগুলোর মতো নতুন নন-ব্যাংকিং আর্থিক পরিষেবা সরবরাহকারী গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে ও বাজার দখল করতে পারে। ফিনটেক বাংলাদেশের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ও বৃদ্ধির হারকে বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত সমর্থন ও তহবিল প্রয়োজন।

ফিনটেক প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যাশলেশের দিকে যাচ্ছে পৃথিবী
নগদ অর্থের হ্রাস প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যয় হ্রাস ও ঝুঁকি পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। প্রচলিত আর্থিক কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় করার ক্ষমতা আছে ফিনটেকের। ঋণ আবেদন বা বীমা প্রস্তাব অনলাইনে জমা দেওয়া, যাচাইকরণ ও অনুমোদন প্রক্রিয়া কয়েক মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হতে পারে।

প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবেদনকারী অনলাইনে বা ইমেলের মাধ্যমে তার আবেদন সম্পর্কিত প্রতিক্রিয়া পাবেন। ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপগুলোতে ধারাবাহিকতা নিয়ে আসে ও ত্রুটি এবং পক্ষপাতের ঝুঁকি হ্রাস করে। আর্থিক পণ্য বিক্রি করার সময় হ্রাস ও গ্রাহকদের সন্তুষ্টি বাড়ায় ফিনটেক।

বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যাক তরুণ জনসংখ্যা রয়েছে যারা দ্রুত প্রযুক্তি গ্রহণ ও সম্ভাব্যভাবে ফিনটেকের আগ্রহী ব্যবহারকারী হতে পারে। আনুষ্ঠানিক আর্থিক পরিসেবাদি নেটওয়ার্কে আরও গতিশীল করার জন্য বাংলাদেশের আর্থিক সেবা সংস্থাগুলো তাদের রূপান্তর যাত্রায় ফিনটেক গ্রহণ করা উচিত।

এছাড়া বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফিনটেক ও ডিজিটাল ফিনান্স জনগণের কাছে প্রাথমিক ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা আনতে মৌলিক ভূমিকা পালন করার সম্ভাবনা রাখে।

সোর্সঃ ডেইলি সান, উইকিপিডিয়া, ওয়াশিংটন পোস্ট, ডিবিসি, সিবি ইনসাইট, বিজনেস ইনসাইট ও নিউ ইয়র্ক টাইম এবং ইন্টারনেট অবলম্বনে লিখিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button