এক্সিম ব্যাংক লিমিটড

এক্সিম ব্যাংক মুদারাবা কোটিপতি আমানত স্কিম

এক্সিম ব্যাংক মুদারাবা মিলিওনিয়ার আমানত স্কিম মুদারাবা নীতি অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এটা ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে একটি অংশীদারিত্বের চুক্তি। এখানে গ্রাহক তহবিল প্রদান করে এবং ব্যাংক শরীয়াহ্ নীতিমালা মেনে ব্যবসা করে। অর্জিত মুনাফা গ্রাহক ও ব্যাংকের মধ্যে পূর্ব-সম্মত অনুপাত অনুযায়ী বণ্টন করা হয়। এই স্কিমের মাধ্যমে পরিবারের আর্থিক সংকটে তহবিল সরবরাহ করে পরিবারকে ইতিবাচক অবদান রাখতে সহায়তা করা।

মুদারাবা কোটিপতি আমানত স্কিম হিসাবের বৈশিষ্ট্য
● এই হিসাব ৩ বছর, ৫ বছর, ৮ বছর, ১০ বছর, ১২ বছর, ১৫ বছর, ১৮ বছর ও ২০ বছর মেয়াদে যে কোন সময়ে খোলা যায়।
● প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে মাসিক কিস্তির নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয় অথবা অগ্রিমও প্রদান করা যায়।
● আমানতকারী যদি সময়মতো মাসিক কিস্তি প্রদান করতে ব্যর্থ হয় তবে খেলাপি কিস্তির উপর ২% চার্জ প্রযোজ্য হবে।
● উক্ত হিসাবটি লিয়েন রেখে জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৯০% পর্যন্ত বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করা যায়।

মুদারাবা কোটিপতি আমানত স্কিম হিসাবের সুবিধাসমূহ
● আকর্ষনীয় প্রভিশনাল মুনাফার হার এবং সম্পূর্ণ সার্ভিস চার্জবিহীন হিসাবে পরিচালনা।
● ভিন্ন ভিন্ন আয় সীমার মানুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন মাসিক কিস্তি এবং আমানতের ইসালামী শরীয়াহ্ মোতাবেক বিনিয়োগ ব্যবস্থা।
● এই হিসাবের বিপরীতে কোন চেক ইস্যু করা হয় না।
● এই হিসাবধারী মুদারাবা ভিত্তিতে বিনিয়োগের লাভের অংশ শেয়ার করবেন। যদি আমানতকারী বছর শেষে চূড়ান্ত মুনাফার হার ঘোষনার আগে আমানত উত্তোলন করতে চান তাহলে তিনি প্রভিশনাল মুনাফার হার অনুযায়ী মুনাফা পাবেন। যদি বছর শেষে চূড়ান্ত মুনাফার হার প্রভিশনাল মুনাফার হারের চেয়ে বেশী থাকে তাহলে আমানতকারী অতিরিক্ত মুনাফা পান।
● হিসাবধারীর মৃত্যু হলে মুনাফাসহ সমুদয় টাকা নমিনীকে প্রদান করা হবে, হিসাবধারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে আইনগত অভিভাবককে সমুদয় টাকা প্রদান করা হয়।
● আমানতকারী যে কোন পর্যায়ে তিনটি কিস্তি প্রদান করতে ব্যর্থ হলে হিসাবটি ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ হয়ে যাবে এবং মেয়াদ পূর্তির আগেই ১ বছরের মধ্যে আমানত উত্তোলন করতে চাইলে কোন মুনাফা পান না।
● আমানতকারী মেয়াদপূর্তির আগেই ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে আমানত উত্তোলন করতে চাইলে মুদারাবা সেভিংস ডিপোজিট হিসাবে প্রদত্ত প্রভিশনাল মুনাফার হার অনুযায়ী মুনাফা পেয়ে থাকে।

হিসাব খোলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
● একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক স্বাক্ষর সহ একাউন্ট খোলার ফরম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
● আবেদনপ্রার্থীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (পরিচয়দানকারী কর্তৃক সত্যায়িত)।
● জাতীয় পরিচয় পত্র/ বৈধ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/নাগরিকত্ব সনদ অথবা অন্যান্য ছবি সম্বলিত পরিচয় পত্রের অনুলিপি।
● নমিনীর ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (আবেদনপ্রার্থী কর্তৃক সত্যায়িত)।
● নমিনীর আইডি কার্ডের কপি।
● ঠিকানা প্রমাণের জন্য সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিলের (গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, টেলিফোন) ফটোকপি।
● টিআইএন সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।
● একাউন্ট খোলার ফরমে পরিচয়দানকারীর স্বাক্ষর।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বিস্তারিত জানতে
● ব্যাংকের যেকোন শাখায় যোগাযোগ করুন।
● অথবা ✆ কল সেন্টারঃ ১৬২৪৬ এ কল করুন।
● অথবা ইমেইল করুনঃ [email protected]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button