বাংলাদেশ ব্যাংকব্যাংকিং আইন

ইএসএফ (ESF) নীতিমালা-২০১৮

ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু সম্ভাবনাময় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষিভিত্তিক এবং আইসিটি শিল্পখাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, এসব খাতে বিনিয়ােগ বৃদ্ধির জন্য দেশের বেকার ও কর্মক্ষম যুবক শ্রেণিকে উৎসাহ প্রদান, অবকাঠামােগত উন্নয়ন সাধন, কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০০-২০০১ অর্থ বছরে জাতীয় বাজেটে সরকার কর্তৃক ১০০ (একশত) কোটি টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে একুইটি এন্ড অন্ট্র্যাপ্র্যানারশীপ ফান্ড (ইইএফ) গঠন করা হয় এবং সরকারের সাথে একটি এজেন্সি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।

পরবর্তী পর্যায়ে সরকারের অনুমােদনক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইসিবি এর মধ্যে সম্পাদিত একটি সাব-এজেন্সি চুক্তি পত্রের আওতায় গত ০১/০৬/২০০৯ তারিখ হতে ইইএফ এর অপারেশনাল কার্যক্রম আইসিবিতে হস্তান্তরিত হয় এবং এর নীতিমালা প্রণয়ন, তহবিল ব্যবস্থাপনা ও পারফরমেন্স মনিটরিং সংক্রান্ত কাজে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ােজিত থাকে। সুদীর্ঘ প্রায় ১৮ (আঠারাে) বছর সময় অতিক্রান্ত হলেও সরকারের এ মহতী উদ্যোগ হতে সুফল প্রাপ্তির বিষয়টি কাংখিত মাত্রায় না হওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থাপনায় সরকারের এ জনহিতকর প্রকল্পটি পরিচালনের উদ্যোগ গৃহীত হয়।

এ প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইইএফ উইং, আইসিবি বিষয়টি বিস্তারিত পর্যালােচনা করে এবং একাধিকবার ত্রিপক্ষীয় সভায় মিলিত হয়। এছাড়া গত ১৪/০৬/২০১৭ তারিখে গর্ভনর মহােদয়ের সভাপতিত্বে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মহােদয়ের উপস্থিতিতে ইইএফ এর সকল অংশীদের (Stakeholders) অংশগ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি কর্মশালারও আয়ােজন করা হয়। এ কর্মশালায় উপস্থাপিত সুপারিশমালা, ইইএফ এর বিগত দিনের কর্মকান্ড, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ইত্যাদি বিবেচনায় বাস্তবতার নিরীখে সরকারের এ মহতী উদ্যোগ পরিচালনের ক্ষেত্রে একুইটি মডেলের পরিবর্তে সহনীয় মাত্রার সরল সুদহার সম্বলিত ঋণ মডেল প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তার অনুবৃত্তিক্রমে EEF এর নাম পরিবর্তন করে ESF (Entrepreneurship Support Fund) করা হয় এবং এ ফান্ডের আওতায় খাদ্যপ্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি খাত এবং আইসিটি খাতে প্রকল্প স্থাপনের নিমিত্তে একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়নপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অর্থমন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হলে মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহােদয় তাতে সদয় অনুমােদন প্রদান করেন। অনুমােদিত “Entrepreneurship Support Fund (ESF)” সংক্রান্ত খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক এবং আইসিটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নীতিমালা, ২০১৮ নিম্নে তুলে ধরা হলাে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

Entrepreneurship Support Fund (ESF) সংক্রান্ত খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক এবং আইসিটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নীতিমালা, ২০১৮ (সংশােধিত)

সংক্ষিপ্ত শিরােনামঃ অত্র নীতিমালাটি “Entrepreneurship Support Fund (ESF) নীতিমালা, ২০১৮ (সংশােধিত)” নামে অভিহিত হবে।

১. লক্ষ্য (Vision):
ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু সম্ভাবনাময় খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্পখাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, এসব খাতে বিনিয়ােগ বৃদ্ধির জন্য দেশের শিক্ষিত, বেকার ও কর্মক্ষম যুবক শ্রেণিকে উৎসাহ প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি, অবকাঠামােগত উন্নয়ন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নই ESF এর মূল লক্ষ্য। অপরদিকে, বর্তমান বিশ্ব তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির (ICT) যুগ। বর্তমান বিশ্বে টেকসই ও যুগােপযােগী উন্নয়নের অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে আইসিটি খাতের প্রসার, শিক্ষিত জনগােষ্ঠীকে আইসিটি খাতের সাথে সম্পৃক্তকরণ ও বিশ্ব তথ্য প্রবাহে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে সহায়তাও এ নীতিমালার মূল লক্ষ্য।

২. উদ্দেশ্য (Mission):
ক. সম্ভাবনাময় খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে নতুন নতুন প্রকল্পে অর্থায়নের মাধ্যমে বিনিয়ােগযােগ্য মূলধন সৃষ্টি (Capital Formation)।
খ. দেশব্যাপি সৃজনশীল ও দক্ষতাসম্পন্ন নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং দেশের শিক্ষিত বেকার ও কর্মক্ষম যুবক শ্রেণীকে কর্পোরেট ফর্ম অব বিজনেস প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ প্রদান।
গ. দেশের বৃহত্তম জনগােষ্ঠির ভিটামিন, পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে মৎস্য ও ডেইরী ভিত্তিক প্রকল্প, এরূপ পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সহায়ক প্রকল্প স্থাপনে সহায়তা প্রদান।
ঘ. গ্রামীণ ও পশ্চাৎপদ এলাকার অবকাঠামােগত উন্নয়ন এবং পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
ঙ. কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি এবং সুবিধাবঞ্চিত ও অপেক্ষাকৃত কম উন্নত গ্রামীণ জনগােষ্ঠির জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন।
চ. খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির সুযােগ সৃষ্টির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির ভিতকে শক্তিশালীকরণ।
ছ. আইসিটি খাতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম এবং রপ্তানী বাজারে প্রবেশের জন্য পেশাগত দক্ষতা রয়েছে কিন্তু মূলধন স্বল্পতার কারণে প্রকল্প গ্রহণে সক্ষমতা নেই, এ ধরনের প্রতিশ্রুতিশীল উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানও এ নীতিমালার অন্যতম উদ্দেশ্য।

৩. সংজ্ঞা (Definition):
৩.১ ‘সরকার’ অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
৩.১ ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ ( P.0 . No – 127 of 1972 ) এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৩.৩ ‘আইসিবি’ অর্থ ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ যা “Investment Corporation of Bangladesh Ordinance, 1976″ (১৯৭৬ সালের ৪০ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (পরবর্তীতে উক্ত অধ্যাদেশটি “ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ আইন, ২০১৪” দ্বারা প্রতিস্থাপিত) গঠিত একটি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। অত্র নীতিমালায় আইিসিবি দ্বারা EEF উইং, আইসিবিকে বুঝাবে।
৩.৪ “Entrepreneurship Support Fund” বা সংক্ষেপে “ESF” দ্বারা বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু সম্ভাবনাময় খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক এবং আইসিটি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, এসব খাতে বিনিয়ােগ বৃদ্ধির জন্য দেশের শিক্ষিত, বেকার ও কর্মক্ষম যুবক শ্রেণিকে উৎসাহ প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি, অবকাঠামােগত উন্নয়ন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বল্পতম সুদে ঋণ সহায়তা প্রদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত তহবিলকে বুঝাবে।
৩.৫ ‘এজেন্সি এগ্রিমেন্ট’ দ্বারা ইইএফ এবং ইএসএফ সংক্রান্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে যথাক্রমে ২৬ ডিসেম্বর, ২০০০ এবং ২০ মে, ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত চুক্তিকে বুঝাবে।
৩.৬ ‘সাব-এজেন্সি এগ্রিমেন্ট’ দ্বারা ইইএফ এবং ইএসএফ সংক্রান্তে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর মধ্যে যথাক্রমে ০১ জুন, ২০০৯ এবং ২০ মে, ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত চুক্তিকে বুঝাবে।
৩.৭ ‘কোম্পানি অর্থ কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর অধীনে নিবন্ধিত কোন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।
৩.৮ ‘RJSC’ দ্বারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের Registrar of Joint Stock Companies and Firms. নামক প্রতিষ্ঠানটিকে বুঝাবে।
৩.৯ ‘এক্যুইটি’ দ্বারা উদ্যোক্তা কর্তৃক প্রকল্পে বিনিয়ােগকৃত তহবিলকে বুঝাবে।
৩.১০ ‘ঋণ’ দ্বারা ESF হতে প্রকল্পের অনুকূলে বিতরণকৃত মেয়াদি ঋণকে বুঝাবে যা একটি নির্দিষ্ট পরিশােধসূচি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধযােগ্য হবে।
৩.১১ ‘Expression of Interest’ দ্বারা উদ্যোক্তা কর্তৃক অত্র নীতিমালার আওতায় ESF হতে ঋণ গ্রহণ করে দালিলিকভাবে প্রকল্প স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশকরণকে বুঝবে। Expression of Interest এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ‘EOI’।
৩.১২ ‘KYC’ এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Know Your Customer যা দ্বারা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট এর নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত ফরমে গৃহীত উদ্যোক্তার তথ্যাদিকে বুঝাবে।
৩.১৩ ‘IT 10B’ দ্বারা আয়কর রিটার্নের সাথে দাখিলকৃত সম্পদ ও দায় এর বিবরণীকে বুঝাবে।
৩.১৪ ‘NRB’ দ্বারা Non-Resident Bangladeshi কে বুঝাবে।
৩.১৫ ‘বন্ধকী সম্পত্তি’ দ্বারা প্রকল্পের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বা অন্য কোন সম্পত্তি বা তৃতীয় পক্ষের কোন সম্পত্তিকে বুঝাবে যা ‘ESF’ হতে গৃহীত ঋণের বিপরীতে ‘ঋণ দাতা’ প্রতিষ্ঠানের (ইইএফ উইং, আইসিবি) নিকট বন্ধক রাখা হয়েছে।
৩.১৬ ‘বন্ধক দাতা’ দ্বারা ‘ESF’ হতে গৃহীত ঋণ সহায়তা প্রাপ্ত কোম্পানি বা উদ্যোক্তা বা তৃতীয় কোন পক্ষকে বুঝাবে যিনি বা যারা তাঁর বা তাঁদের সম্পত্তি ESF হতে গৃহীত ঋণের বিপরীতে ICB এর নিকট বন্ধক রেখেছেন।
৩.১৭ ‘বন্ধক গ্রহীতা’ দ্বারা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) কে বুঝাবে যার নিকট অত্র নীতিমালায় সংজ্ঞায়িত ‘বন্ধক দাতা’ তার সম্পত্তি বন্ধক রেখেছেন।
৩.১৮ ‘খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক প্রকল্প’ দ্বারা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু সম্ভাবনাময় খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক প্রকল্পকে বুঝাবে।
৩.১৯ ‘তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বা সংক্ষেপে ICT প্রকল্প’ বলতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সে সব প্রকল্পকে বুঝাবে যেখানে ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্যের উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবহার, আদান-প্রদান অথবা সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া ICT প্রকল্প দ্বারা Call Center, Hardware/ Hardware Component Manufacturing এবং ITES (IT Enable Services) প্রদানকারী প্রকল্পকেও বুঝাবে। তবে ব্রডকাস্টিং প্রকল্প (যেমন- টিভি, নাটক, টকশাে, ম্যাগাজিন/ বিচিত্রানুষ্ঠান, প্রেস ইত্যাদি সম্প্রচারমূলক কার্যক্রম) অথবা বাণিজ্যিক ভিডিও প্রোডাকশন তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি প্রকল্প এর অন্তর্ভুক্ত হবে না।
৩.২০ ‘মূলধনি যন্ত্রপাতি নির্ভর প্রকল্প’ বলতে সেসব প্রকল্পকে বুঝাবে যেসব প্রকল্পের কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে পন্য (Finished Product) উৎপাদন পর্যায় পর্যন্ত যন্ত্রের ব্যবহার অত্যাবশ্যক। তবে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি খাতভুক্ত প্রকল্প এর অন্তর্ভুক্ত হবে না।
৩.২১ ‘প্রকল্প’ দ্বারা ESF এর ঋণ সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পকে বুঝাবে।
৩.২২ ‘মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান’ দ্বারা ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত ও বাংলাদেশে কার্যরত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে। এছাড়া আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিঃও মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত হবে।
৩.২৩ ‘ঋণখেলাপি’ বলতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংক এর সিআইবি কর্তৃক প্রদত্ত সর্বশেষ রিপাের্ট অনুযায়ী যেসকল ঋণ গ্রহীতার ঋণ অনিশ্চিত (DF), ক্ষতিজনক (BL) ও ক্ষতিজনক অবলােপন (BLW) হিসেবে শ্রেণীকৃত তাদেরকে বুঝাবে।
৩.২৪ ‘উদ্যোক্তার পরিবার’ বলতে ‘ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ১৪ (ক) ধারায় প্রদত্ত ব্যাখ্যা অনুযায়ী উদ্যোক্তার স্ত্রী/ স্বামী, পুত্র, কন্যা, পিতা-মাতা, ভাই-বােন এবং উদ্যোক্তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গকে বুঝাবে।
৩.২৫ ‘পর্যবেক্ষক (Observer)’ বলতে ঐ ব্যক্তিকে বুঝাবে যিনি মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ‘প্রকল্প’ এর বাস্তবায়ন অবস্থা তদারকির জন্য নিয়ােগপ্রাপ্ত।
৩.২৬ ‘নারী উদ্যোক্তা’ বলতে যে সকল প্রকল্পের ন্যূনতম ৫১% শেয়ারের মালিক নারী এবং প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তথা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নারীর উপর থাকবে ঐ সকল প্রকল্প ‘নারী উদ্যোক্তা’ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে।

৪. মূল্যায়ন কমিটিঃ
৪.১ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্প কমিটিঃ
ক০ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্প মূল্যায়নের জন্য উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবিকে আহবায়ক/ সভাপতি এবং Bangladesh Agricultural Research Council (BARC), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পরিশিষ্ট-৩ এ বর্ণিতভাবে ১০ (দশ) সদস্য বিশিষ্ট একটি মূল্যায়ন কমিটি (PAC) গঠিত হবে।
খ) কমিটির সদস্য ব্যতিত অন্য কেউ সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সদস্যগণ স্বয়ং উপস্থিত থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির সভাপতিসহ মােট ৬ (ছয়) জন সদস্যের দ্বারা কোরাম গঠিত হবে।
গ) অবলুপ্ত করা হলাে।
ঘ) প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সদস্যগণ সভায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত হারে সম্মানী প্রাপ্য হবেন।

৪.২ আইসিটি প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিঃ
ক) আইসিটি প্রকল্প মূল্যায়নের জন্য উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবিকে আহবায়ক সভাপতি করে মহাব্যবস্থাপক, আইসিটি এন্ড ডিপােজিটরি ডিপার্টমেন্ট, আইসিবি, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইএসডিডি, বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসিস, আইএসপি এসােসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বিসিএস, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পরিশিষ্ট-৪ এ বর্ণিতভাবে ১২ (বার) সদস্য বিশিষ্ট একটি মুল্যায়ন কমিটি (PAC) গঠিত হবে।
খ) কমিটির সদস্যদের পরিবর্তে অন্য কেউ সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সদস্যগণ স্বয়ং উপস্থিত থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির সভাপতিসহ মােট ৭ (সাত) জন সদস্যের দ্বারা কোরাম গঠিত হবে।
গ) অবলুপ্ত করা হলাে।
ঘ) প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সদস্যগণ সভায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত হারে সম্মানী প্রাপ্য হবেন।

৫. মঞ্জরি বাের্ডঃ
৫.১ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্প বিষয়ক মঞ্জরি বোর্ডঃ
ক) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবিকে আহবায়ক/ সভাপতি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর, Bangladesh Agricultural Research Council (BARC), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পরিশিষ্ট-৫ এ বর্ণিতভাবে ১০ (দশ) সদস্য বিশিষ্ট খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্প মঞ্জুরি বাের্ড (Sanction Board) গঠিত হবে।
খ) বাের্ডের সদস্যদের পরিবর্তে অন্য কেউ সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেননা। মঞ্জুরি বাের্ড-এর সদস্যগণ স্বয়ং উপস্থিত থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। বাের্ডের সভাপতিসহ মােট ৬ (ছয়) জন সদস্যের দ্বারা কোরাম গঠিত হবে।
গ) মঞ্জুরি বাের্ড-এর সদস্যগণ সভায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত হারে সম্মানী প্রাপ্য হবেন।

৫.২ আইসিটি প্রকল্প বিষয়ক মঞ্জরি বাের্ডঃ
ক) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবিকে আহবায়ক সভাপতি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইএসডিডি, বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসিস, আইএসপি এসােসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বিসিএস, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, এফবিবিসিআইসহ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পরিশিষ্ট-৬ এ বর্ণিতভাবে ১১ (এগার) সদস্য বিশিষ্ট আইসিটি প্রকল্প বিষয়ক মঞ্জুরি বাের্ড (Sanction Board) গঠিত হবে।
খ) বাের্ডের সদস্যদের পরিবর্তে অন্য কেউ সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেননা। মঞ্জুরি বাের্ড- এর সদস্যগণ স্বয়ং উপস্থিত থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। বাের্ডের সভাপতিসহ মােট ৬ (ছয়) জন সদস্যের দ্বারা কোরাম গঠিত হবে।
গ) মঞ্জুরি বাের্ড-এর সদস্যগণ সভায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত হারে সম্মানী প্রাপ্য হবেন।

৬. ESE হতে ঋণ সহায়তা প্রদানযােগ্য প্রকল্পের ধরণঃ
৬.১ ‘খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি’ ভিত্তিক খাতে উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প ঋণ সহায়তার জন্য বিবেচনা করা হবে। এরূপ প্রকল্পের তালিকা ‘পরিশিষ্ট- ১’ এ প্রদর্শিত হয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকল্পের খাত পুনঃনির্ধারণের ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে।
৬.২ ‘তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি’ প্রকল্প ঋণ সহায়তার জন্য বিবেচনা করা হবে। এরূপ প্রকল্পের তালিকা ‘পরিশিষ্ট-২’ এ প্রদর্শিত হয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকল্পের খাত পুনঃনির্ধারণের ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে।

৭. মােট প্রকল্প ব্যয়ের পরিমাণ ও ঋণ সহায়তার পরিমাণঃ
৭.১ (ক) ‘খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক’ খাতের প্রকল্প ব্যয় সর্বনিম্ন ০.৮০ কোটি টাকা হতে সর্বোচ্চ ০৫.০০ কোটি টাকা এবং ‘যন্ত্রপাতি নির্ভর প্রকল্প’ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রকল্প ব্যয় ১২.০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ESF এর ঋণ সহায়তার জন্য বিবেচনাযােগ্য হবে।
(খ) নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে প্রকল্প ব্যয় এর নিম্নসীমা ০.৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত শিথিলযােগ্য হবে। এবং
(গ) কুমিরের খামারের (প্রজনন ও লালন পালন) ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রকল্প ব্যয় ৮.০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ESF এর ঋণ সহায়তার জন্য বিবেচনাযােগ্য হবে।
৭.২ ‘তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি’ প্রকল্পের জন্য সর্বনিম্ন প্রকল্প ব্যয় ০.৫০ কোটি এবং সর্বোচ্চ প্রকল্প ব্যয় ৫.০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ESF এর ঋণ সহায়তার জন্য বিবেচনাযােগ্য হবে।
৭.৩ উদ্যোক্তার একুইটি এবং ঋণ সহায়তার অনুপাত হবে ৫১% : ৪৯% । তবে বাস্তবতার নিরিখে ঋণ সহায়তার পরিমাণ ৪৯% এর চেয়ে কমও হতে পারে। সেক্ষেত্রে উদ্যোক্তার একুইটির পরিমাণ আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে।

৮. ESF প্রকল্পের অর্থায়ণ কাঠামােঃ
৮.১ উদ্যোক্তা কর্তৃক মােট প্রকল্প ব্যয়ের সর্বনিম্ন ৫১% কোম্পানির একুইটি হিসেবে বিনিয়ােগ করতে হবে এবং ESF হতে মােট প্রকল্প ব্যয়ের সর্বোচ্চ ৪৯% মেয়াদি ঋণ হিসেবে প্রদান করা হবে। যন্ত্রপাতি নির্ভর প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামােতে ৫১% বিনিয়োগ সম্পন্ন না হলে আমদানিতব্য যন্ত্রপাতি আমদানিতে এলসি মার্জিনের মাধ্যমে বিনিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।
৮.২ মােট প্রকল্প ব্যয়ের ৫১% উদ্যোক্তা কর্তৃক বিনিয়ােগের পর ESF হতে মঞ্জুরিকৃত ঋণের অর্থ কিস্তিতে বিতরণ করা হবে।
৮.৩ প্রস্তাবিত ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৮ বছর (আট)।
৮.৪ মেয়াদী ঋণের বিপরীতে সুদের হার হবে ২% এবং এ সুদ হার হবে সরল সুদ।
৮.৫ মঞ্জুরিপত্র প্রাপ্তির ১ (এক) বছরের মধ্যে কোম্পানির অনুকূলে জমির দলিলায়নসহ উদ্যোক্তার একুইটি অংশের বিনিয়ােগ আবশ্যকীয়ভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
৮.৬ ১ম কিস্তি বিতরণের সর্বোচ্চ ১ (এক) বছর ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে মেয়াদী ঋণের সম্পূর্ণ অংশ গ্রহণপূর্বক প্রকল্প পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করতে হবে। নতুবা মেয়াদ পুর্তির পূর্বেই উদ্যোক্তাকে গৃহীত ঋণ সুদসহ ফেরত প্রদান করতে হবে।
৮.৭ ১ম কিস্তির অর্থ বিতরনের পর প্রথম ৪ (চার) বছর Moratorium/ Grace Period হিসেবে গণ্য করা হবে এবং পরবর্তী ৪ (চার) বছরে মােট ৮ (আট) টি ষান্মাসিক সমান কিস্তিতে সুদসহ ঋণের সমুদয় অর্থ আদায়যােগ্য হবে। কিস্তি ছাড়ের তারিখ হতেই বিতরণকৃত ঋণের উপর সুদ হিসাবায়ন হবে এবং প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আসল ও সুদ সমন্বয় করে মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কিস্তির পরিমাণ নির্ধারিত হবে। নির্ধারিত সময়ে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিশোধনীয় (Due) অর্থের উপর অতিরিক্ত ২% দন্ড সুদ আরোপ করা হবে।
৮.৮ ব্যাংকঋণসহ প্রকল্প প্রস্তাব ঋণ সহায়তার জন্য বিবেচনা করা হবে না।
৮.৯ আইসিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোম্পানির নামে যদি নিবন্ধিত ভূমিক্ষ্যাট থাকে তাহলে উক্ত সম্পদের মূল্যকে (মােট প্রকল্প ব্যয়ের সর্বোচ্চ ২৫% পর্যন্ত) উদ্যোক্তার বিনিয়ােগ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ভূমি/ ফ্ল্যাটের মূল্য ২৫% এর অধিক হলে তা প্রকল্পে বিনিয়ােগ বহির্ভূত হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে বন্ধকীকরণের ক্ষেত্রে ভূমি/ ফ্ল্যাটের সম্পূর্ণ মূল্য বিবেচনায় নেয়া হবে। যে সকল কোম্পানির নিজস্ব ফ্ল্যাট/ ভূমি থাকবে না তাদের ক্ষেত্রে অবিশ্যিকভাবে উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি ও ৩য় পক্ষের গ্যারান্টি আইসিবিতে দাখিল করতে হবে।

৯. খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক প্রকল্পে ঋণ সহায়তার জন্য জমির প্রকৃতি/ ধরণঃ
ক) ‘খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক’ খাতে খাত ভিত্তিক জমির পরিমাণ ও খন্ডসংখ্যা ‘পরিশিষ্ট-১’ এ দেখানাে হলাে। এছাড়া, প্রস্তাবিত প্রকল্পের জমি অবশ্যই এক ফসলী, পতিত বা অনাবাদী হতে হবে। তবে, উচ্চ ফলনশীল শস্যের বীজ উৎপাদন, ফুল চাষ এবং ঘাস চাষের জমি ফসলী বা আবাদী হতে হবে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে নতুন হতে হবে। পুরাতন কোন প্রকল্পে বা বিদ্যমান কোন প্রকল্পের সংস্কারের (Renovation) জন্য ঋণ প্রদান করা হবে না। প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা থাকলেও প্রকল্পের মূল খন্ডে (যেখানে প্রকল্পের স্থাপনা তৈরী করা হবে) স্থলপথে যাতায়াতের জন্য যানবাহন চলাচলের উপযােগী সরকারী রাস্তা/ নিজস্ব উদ্যোগে তৈরী রাস্তা আবশ্যিকভাবে থাকতে হবে। অন্যান্য খন্ডের সাথে প্রথাগত যােগাযােগ ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি রাস্তার ক্ষেত্রে প্রকল্পের প্রস্তাবিত রাস্তার জন্য নির্ধারিত জমি প্রকল্পের জমির অতিরিক্ত হিসেবে আইসিবি এর অনুকূলে পাওয়ার অব এটর্নীসহ রেজিস্টার্ড মর্টগেজ করতে হবে।
খ) দুগ্ধ ও বায়ােগ্যাস উৎপাদন প্রকল্পের ভূমি একাধিক খন্ডে বিভক্ত হলে গাভী লালন পালনের জন্য শেড নির্মাণ এবং অন্যান্য অবকাঠামাে নির্মাণের জন্য ন্যূনতম ১ (এক) একর উঁচু ভূমি অবশ্যই এক খন্ডে থাকতে হবে। অনিবার্য কারণবশতঃ স্থাপনা নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ১ (এক) একর ভূমি সংগ্রহ করতে না পারলে মােট প্রকল্প ভূমির পরিমাণ ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জমির পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০% পর্যন্ত শিথিলযােগ্য হতে পারবে। ঘাস উৎপাদনের জন্য নির্ধারিত ভূমি বন্যামুক্ত এবং বর্ষাকালে পানি জমে থাকে না এমন প্রকৃতির হতে হবে।
গ) হাঁস-মুরগীর ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন (পােল্টি হ্যাচারী) প্রকল্পের ক্ষেত্রে ভূমি দুই খন্ডে বিভক্ত হলে তা অবশ্যই সর্বোচ্চ ৫০০ মিটার (অর্ধ কিলােমিটার) ব্যাসের মধ্যে হতে হবে। তবে, এক্ষেত্রে শেড নির্মাণ এবং ডিম হতে বাচ্চা উৎপাদন হ্যাচারী ইউনিটের জন্য নূন্যতম ২৫০ শতাংশ বা ২.৫ একর ভূমি অবশ্যই একসাথে থাকতে হবে।
ঘ) একাধিক খন্ডের প্রকল্পভূমির মধ্যে খন্ডসমুহ সর্বোচ্চ ১ কি. মি. দূরত্বের মধ্যে থাকতে হবে। তবে উচ্চ ফলনশীল শস্যের বীজ উৎপাদন প্রকল্পের জন্য নিয়ন্ত্রিত ও কাঙ্খিত পরাগায়নের মাধ্যমে মানসম্মত বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে খন্ডসমূহ সর্বোচ্চ ২ কি. মি. ব্যাসার্ধের মধ্যে হতে হবে। উল্লেখ্য, কাঙ্খিত পরাগায়নের জন্য প্রকল্পের আশে পাশের ফসল থেকে নির্ধারিত দুরত্ব বজায় রাখা বাঞ্ছনীয় এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রয়ােজনীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ প্রকাশিত বীজ বিধিমালা অনুসরণপূর্বক বীজ উৎপাদন করতে হবে। এ ছাড়া টিস্যু কালচারের মাধ্যমে আলু বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সর্বশেষ প্রকাশিত বীজ আলুর টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি স্থাপন, মূল্যায়ন এবং নিবন্ধন নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
ঙ) লীজকৃত কোন জমি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। সাফ কবলা দলিলের মাধ্যমে প্রকল্পের নামে জমি ক্রয় মিউটেশন হালনাগাদ খাজনা পরিশােধ করতে হবে।
চ) আইসিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রকল্পের নামে জমি/ ফ্ল্যাট থাকার বিষয়টি ঐচ্ছিক বলে বিবেচিত হবে।

১০. আবেদনকারীর ব্যক্তি যােগ্যতা ও অযোগ্যতাঃ
১০.১ আবেদনকারী উদ্যোক্তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক হতে হবে।
১০.২ আবেদনকারীকে একজন ব্যাংক হিসাবধারী ও কর প্রদানকারী হতে হবে এবং কর বিবরণীর IT 10B এর সম্পদই শুধুমাত্র তাঁর আর্থিক সামর্থ্যতা হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হবে। প্রকল্পটি শর্টলিস্টভূক্তির পর পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প প্রস্তাবনার সাথে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যায়িত সকল উদ্যোক্তার IT-10B আবশ্যিকভাবে দাখিল করতে হবে। তবে IT 10B তে প্রদর্শিত সম্পত্তি বা স্বর্ণের মূল্য প্রদর্শিত না থাকলে জমির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত মৌজা রেট এবং স্বর্ণের ক্ষেত্রে বর্তমান বাজার মূল্যের ৫০% হারে মূল্য বিবেচনায় নিয়ে সম্মিলিতভাবে উদ্যোক্তাদের আর্থিক সামর্থ্যতা (নীট সম্পদ মূল্য) নির্ধারণ করা যাবে।
১০.৩ শিক্ষাগত যােগ্যতাসম্পন্ন, সৃজনশীল, দক্ষতাসম্পন্ন এবং সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাগণ অগ্রাধিকার পাবেন।
১০.৪ একজন উদ্যোক্তা খাত নির্বিশেষে কেবলমাত্র একটি প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, যে সকল উদ্যোক্তা ইইএফ/ ইএসএফ হতে গৃহীত সমুদয় অর্থ বিধি মােতাবেক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোনরুপ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ ব্যতীত পরিশােধ করেছেন তাঁরা পুনরায় নতুন কোন প্রকল্প স্থাপনের লক্ষ্যে ইএসএফ ঋণ সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতদ্ব্যতীত যে সকল উদ্যোক্তা ইইএফ/ ইএসএফ ঋণের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু শর্টলিস্টভুক্ত হননি বা যে সকল উদ্যোক্তার মঞ্জুরিকৃত প্রকল্পের মঞ্জুরি ইইএফ হতে অর্থ ছাড়ের পূর্বে বাতিল করা হয়েছে তাঁরাও ESF ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১০.৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরাে (সিআইবি) কর্তৃক ঘােষিত ঋণ খেলাপী এবং যে কোন ধরনের বিল খেলাপী ইএসএফ এর ঋণ প্রাপ্তির জন্য অযােগ্য বিবেচিত হবেন।
১০.৬ ব্যাংকঋণসহ প্রকল্প প্রস্তাব ESF এর ঋণ সহায়তার জন্য বিবেচনা করা হবে না।
১০.৭ প্রচলিত নীতিমালা পরিপালন সাপেক্ষে অনিবাসী (NRB) বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। ১০.৮ কোন কোম্পানিতে অনিবাসী বাংলাদেশী উদ্যোক্তা থাকলে তিনি তাঁরা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা Contact Person বা ব্যাংক সিগনেটরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
১০.৯ মুক্তিযোদ্ধা, নারী উদ্যোক্তা (যেসব প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নারী), উপজাতি উদ্যোক্তাগণের প্রকল্প এবং পার্বত্য জেলাসমূহের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সাপেক্ষে সমতল ভূমিতে অবস্থিত প্রকল্পকে ঋণ প্রদানে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। পার্বত্য জেলাসমূহের পাহাড়ের খাদে/ ঢালের জমি প্রকল্পের জন্য বিবেচনা করা হবে না। ১০.১০ কোন সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারি অথবা দেশের প্রচলিত কোন আইনে যে সকল ব্যক্তি কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী গঠিত কোন সমমূলধনি কোম্পানির ডিরেক্টর/ শেয়ার হােল্ডার হতে পারেন না, তাঁরা উদ্যোক্তা সহায়ক তহবিলের ঋণের জন্য প্রকল্পের উদ্যোক্তা/ পরিচালক হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না।
১০.১১ আইসিটি খাতে আবেদনকারীর যােগ্যতা হিসেবে উপরে বর্ণিত যােগ্যতার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে অন্ততঃ ৩০% (Call Center এর ক্ষেত্রে ২০%) কম্পিউটার বিজ্ঞান/ আইসিটি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন/ ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে অথবা কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট খাতে ন্যূনতম ৩ (তিন) বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
১০.১২ ইএসএফ এর আওতায় একই পরিবারে একাধিক প্রকল্পে ঋণ মঞ্জুরি প্রদান করা হবে না। তবে, ভাই-বােন স্বাবলম্বী এবং তাঁরা পৃথক পরিবারভুক্ত হলে যথাযথ প্রামানিক দাখিল সাপেক্ষে ESF হতে ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবে।

১১. প্রকল্পের জন্য প্রতিষ্ঠানের আবশ্যকীয় যােগ্যতাঃ
১১.১ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক খাতভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে। তবে Expression of Interest (EOI) দাখিলের সময় RJSC হতে Name Clearance গ্রহণ করেও আবেদন করা যাবে।
১১.২ আইসিটি খাতভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে আইসিটি শিল্পে ন্যূনতম ১ (এক) বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে [RJSC তে নিবন্ধনের তারিখ হতে পূর্ন ১ (এক) বছর হতে হবে)]।
১১.৩ কোম্পানির সদস্য সংখ্যা নির্বিশেষে ০১ (এক) জন সদস্য ইস্যুকৃত মােট শেয়ারের ৮০% এর অধিক শেয়ার ধারণ করতে পারবেন না। ইএসএফ ঋণের সাথে সম্পৃক্ত থাকাকালীন সময়ে দেশের প্রচলিত বিধি বিধান পরিপালন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট মঞ্জুরি বাের্ডের পূর্বানুমােদনক্রমে সর্বোচ্চ ৩৩% শেয়ার হস্তান্তর এবং সে মােতাবেক পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন করা যাবে। তবে এ সময়ে কোন সদস্যের মৃত্যুজনিত কারণে মৃত ব্যক্তির সমুদয় শেয়ার দেশের প্রচলিত বিধি বিধান পরিপালন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট মঞ্জুরি বাের্ডের পূর্বানুমোদনক্রমে হস্তান্তর এবং সে মােতাবেক পরিচালক পর্ষদ পুনর্গঠন করা যাবে।

১২. EOI দাখিল প্রক্রিয়া ও ফিঃ
১২.১ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক খাতে প্রকল্প স্থাপনে আগ্রহী উদ্যোক্তাগণকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অনলাইনে EOI দাখিল করতে হবে। EOI এর সাথে ফি হিসেবে “ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক” এর অনুকূলে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকার পে-অর্ডার/ ব্যাংক ড্রাফট দাখিল করতে হবে।
১২.২ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অনলাইনে EOI দাখিল করতে হবে। অনলাইনে দাখিলকৃত EOI এর মুদ্রিত কপিও দাখিল করতে হবে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে EQI এর মুদিত কপি দাখিলের বাধ্যবাধকতা শিথিল করতে পারবে।
১২.৩ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত User Guide যথাযথভাবে অনুসরন করতে হবে।
১২.৪ আইসিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে আগ্রহী উদ্যোক্তাগণ ইইএফ উইং, আইসিবি হতে অফেরতযােগ্য ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা মূল্যে বিস্তারিত গাইডলাইনসহ EOI এর নির্ধারিত ফরম ক্রয়পূর্বক তা যথাযথভাবে পূরণ করে সরাসরি আইসিবিতে দাখিল করবে।
১২.৫ অসম্পূর্ণ আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।

১৩. EOI এর সাথে দাখিযােগ্য দলিলাদিঃ
খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক প্রকল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে অন-লাইনে EOI দাখিলের পাশাপাশি জেনারেল ম্যানেজার, EEF উইং, আইসিবি বরাবর নিম্নোক্ত কাগজপত্র/ দলিলাদির মূল/ সত্যায়িত কপি দাখিল করতে হবেঃ
১৩.১ EOI এর সাথে দাখিলকৃত ব্যাংক ড্রাফট/ পে-অর্ডার এর তথ্যাদি।
১৩.২ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে RJSC হতে প্রাপ্ত Name Clearance Letter এর তথ্যাদি।
১৩.৩ আইসিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে RJsc হতে প্রাপ্ত Certificate of Incorporation এর তথ্যাদি।
১৩.৪ আবেদনের সাথে উদ্যোক্তাগণের পাসপাের্ট সাইজের সত্যায়িত রঙ্গীন ছবি ও স্বাক্ষরের স্ক্যান কপি, e-TIN সার্টিফিকেট, e-Mail Address, মােবাইল ফোন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপাের্ট এর তথ্যাদি।
১৩.৫ আয়কর বিভাগ কর্তৃক প্রত্যায়িত উদ্যোক্তাগণের সম্পদ ও দায় এর বিবরণী- IT 10B, হাল নাগাদ পরিশােধিত বিদ্যুৎ ও টেলিফোন (যদি থাকে) বিলের কপি।
১৩.৬ আইিসিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে (আয়কর বিভাগ কর্তৃক প্রত্যায়িত উদ্যোক্তাগণের সম্পদ ও দায় এর বিবরণী IT 10B এর সাথে RJSC হতে নিবন্ধন পরবর্তী বছর ভিত্তিক নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীও দাখিল করতে হবে।
১৩.৭ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে আবেদনকারী কোম্পানির নামে হস্তান্তরযােগ্য/ হস্তান্তরকৃত এবং বন্ধকের জন্য প্রস্তাবিত জমির পরিমাণ, তফসিল, মৌজা ম্যাপের সাথে মিল করে খন্ড নির্ণয় ও বিন্যাস ইত্যাদি তথাদি আবেদন দাখিলের সময় সরবরাহ করতে হবে। পরবর্তীতে প্রকল্পের জমি অনিবার্য কারণবশতঃ পরিবর্তনের প্রয়ােজন হলে শুধুমাত্র এক বার পরিবর্তন করা যাবে। তবে পরিবর্তিত জমি অবশ্যই EOI এ প্রস্তাবিত জমির ১ কি.মি. এর মধ্যে হতে হবে। একাধিক খন্ড হলে সর্বোচ্চ দুরবর্তী দু’টি খন্ডের দুরত্ব এবং জমির প্রকৃতি অত্র নীতিমালার শর্ত মােতাবেক হতে হবে।
১৩.৮ অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিযুক্ত EOI কোন অবস্থাতেই গ্রহণযােগ্য হবে না। এছাড়া ভুল/ মিথ্যা তথ্য প্রদান প্রতারণা বা জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।

১৪. EOI বাছাই প্রক্রিয়া ও সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুতকরণঃ
১৪.১ EOI দাখিলকৃত কোম্পানির ব্যাংক ড্রাফট/ পে-অর্ডার নগদায়ন সাপেক্ষে EOI এর সাথে সংযুক্ত RJSC হতে প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট কোম্পানির Name Clearance/ certificate of incorporation এবং সরবরাহকৃত তথ্যাদি যাচাইপূর্বক আইসিবি, EOI সমূহের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুতির লক্ষ্যে সুপারিশসহ স্মারক আকারে সংশ্লিষ্ট PAC এর সভায় উপস্থাপন করবে।
১৪.২ উদ্যোক্তাগণের KYC, যােগ্যতা- অভিজ্ঞতা, আর্থিক সক্ষমতা, পণ্য বিপণনের বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা, মূল্যায়ন প্রতিবেদন ইত্যাদি যাচাইয়ের লক্ষ্যে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (PAC)-এর সভায় উদ্যোক্তাগণের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে।
১৪.৩ যে সকল উদ্যোক্তার স্বাক্ষাৎকার এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াবলী PAC এর নিকট সন্তোষজনক বিবেচিত হবে সে সকল প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত তালিকা PAC কর্তৃক চূড়ান্ত করা হবে। EOI আবেদন এর সংক্ষিপ্ত তালিকা চূড়ান্তকরণের বিষয়টি PAC-এর সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হওয়ার ৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা দাখিলের নিমিত্তে প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে রেজিষ্টার্ড এ/ডি পত্র এবং ই- মেইলযােগে অবহিত করতে হবে।
১৪.৪ কোন উদ্যোক্তার EOI সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্তির জন্য বিবেচিত না হলে PAC-এর সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হওয়ার ৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাকে রেজিষ্টার্ড এ/ডি পত্র এবং ই-মেইলযোগে অবহিত করতে হবে।
১৪.৫ PAC কর্তৃক EOI পরীক্ষণকালে উদ্যোক্তার নিকট কোন জিজ্ঞাসা/ অতিরিক্ত কোন ডকুমেন্ট এর চাহিদা থাকলে তা কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হওয়ার ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে রেজিস্টার্ড এ/ডি পত্র এবং ই-মেইলযােগে EOI দাখিলকারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করতে হবে।
১৪.৬ আইসিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে দাখিলকৃত EOI বিদ্যমান মূল্যায়ন নির্দেশিকা অনুযায়ী আইসিবি কর্তৃক প্রাথমিকভাবে নাম্বারিং করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নম্বর প্রাপ্ত EOI সমূহের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুতের লক্ষ্যে সুপারিশসহ স্মারক আকারে সংশ্লিষ্ট PAC -এর সভায় উপস্থাপন করতে হবে। এতদসংক্রান্তে অন্যান্য কার্যাবলী ১৪.১ হতে ১৪.৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নির্দেশনার আলােকে সম্পাদিত হবে।

১৫. EOI এর সংক্ষিপ্ত তালিকা চূড়ান্তকরণের পর উদ্যোক্তা কোম্পানি কর্তৃক পরিপালনীয় বিষয়ঃ
১৫.১ EOI এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পর ICB কর্তৃক সরবরাহকৃত নমুনা অনুযায়ী উদ্যোক্তাকে নিজ উদ্যোগে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক প্রকল্প প্রস্তাবনা (Project Profile) প্রস্তুতপূর্বক তা মূল্যায়নের নিমিত্তে মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানে দাখিল করতে হবে। প্রকল্প প্রস্তাবনার সাথে নিম্নবর্ণিত কাজগপত্র/ দলিলাদি সংযুক্ত করতে হবেঃ
ক) উদ্যোক্তার স্বাক্ষরিত জীবন-বৃত্তান্ত, টেলিফোন, ই-মেইল অ্যাড্রেস ও মােবাইল নম্বর।
খ) খসড়া সংঘবিধি ও সংঘ স্মারক।
গ) ১ম শ্রেণী বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার সরকারী/ আধা সরকারী/ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত সকল উদ্যোক্তার পাসপাের্ট সাইজের প্রয়ােজনীয় সংখ্যক রঙিন ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপাের্ট এর ফটোকপি, টিআইএন সার্টিফিকেট, ব্যাংক হিসাব বিবরণী, ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যায়িত সম্পদ ও দায় এর বিবরণী সম্বলিত IT 10B ফরম, প্রকল্প ভূমি ও প্রস্তাবিত বন্ধকী সম্পত্তির সংশ্লিষ্ট সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে সংগৃহীত মৌজা রেট এর ফটোকপি, হালনাগাদ পরিশােধিত টেলিফোন (যদি থাকে) বিল, বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
ঘ) প্রকল্পের SWOT বিশ্লেষণ।
ঙ) প্রকল্প ভূমি ও প্রস্তাবিত বন্ধকী সম্পত্তির তফসিলের বিবরণী, মৌজা ম্যাপের দাগ নম্বর অনুযায়ী খন্ড সংখ্যার তথ্যসহ অন্যান্য সমর্থিত সকল কাগজপত্র।

১৬. ঋণ মঞ্জরি প্রক্রিয়াঃ
১৬.১ মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কোম্পানী কর্তৃক দাখিলকৃত প্রকল্প প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই এবং প্রকল্পস্থল সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক মূল্যায়ন করে সংশ্লিষ্ট দলিলাদিসহ ২ (দুই) কপি মূল্যায়ন প্রতিবেদন আইসিবিতে প্রেরণ করবে।
১৬.২ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রকল্প মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত প্রকল্প মূল্যায়ন প্রতিবেদন আইসিবি পরীক্ষা নিরীক্ষান্তে সুর্নিদিষ্ট সুপারিশ/ মতামতসহ স্মারক আকারে সংশ্লিষ্ট PAC এর সভায় উপস্থাপন করবে।
১৬.৩ আইসিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ান্তে আইসিবি প্রকল্পস্থল সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক সুনির্দিষ্ট সুপারিশ/ মতামতসহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করবে যা স্মারক আকারে সংশ্লিষ্ট PAC এর সভায় উপস্থাপন করবে।
১৬.৪ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি EOI এর সাথে দাখিলকৃত তথ্যাদি, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন, উদ্যোক্তার কারিগরী যোগ্যতাসহ আর্থিক ও বাণিজ্যিক অভিজ্ঞতা, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ইত্যাদি যাবতীয় প্রাসংগিক বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক প্রার্থিত ঋণ মঞ্জুরির সুপারিশ করবে।
১৬.৫ PAC এর সুপারিশ অনুযায়ী প্রস্তাবিত ঋণ মঞ্জুরির জন্য PAC এর সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হওয়ার ৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মঞ্জুরি বাের্ডের সভায় স্মারক আকারে উপস্থাপন করতে হবে।
১৬.৬ মঞ্জুরি বাের্ড সার্বিক বিষয় বিচার বিশ্লেষণপূর্বক ঋণ মঞ্জুরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
১৬.৭ মঞ্জুরি বাের্ড (Sanction Board) কর্তৃক গৃহীত যে কোন সিদ্ধান্ত কার্যবিবরণী নিশ্চিত হওয়ার ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে আবেদনকারীকে রেজিস্টার্ড এডি পত্র/ ই-মেইল যােগে অবহিত করতে হবে।

১৭. প্রকল্প অনুমােদনের মানদন্ডঃ
১৭.১ প্রকল্পটি কারিগরি দিক থেকে উপযুক্ত, মানসম্পন্ন, বাংলাদেশের লাগসই প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পরিবেশ বান্ধব হতে হবে। সে সাথে দেশে প্রচলিত বিধি-বিধান পরিপালন করতে হবে। আইসিবি এর মূল্যায়নে যে সকল আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান কারিগরি, আর্থিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে উপযুক্ত ও লাভজনক মর্মে প্রতিপন্ন হবে, সে সকল প্রতিষ্ঠান ঋণ সহায়তা প্রাপ্তির যােগ্য বিবেচিত হবে।
১৭.২ আর্থিক বিশ্লেষণে প্রকল্পটির ন্যূনতম Internal Rate of Return (IRR) 15%, Return on Equity (ROE) 15%, Debt Service Coverage Ratio 2:1, Current Ratio 1.5:1 ও Pay-Back Period সর্বোচ্চ ৪ বছর হতে হবে।
১৭.৩ SWOT (Strength, Weakness, Opportunity and Threat) বিশ্লেষণ গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
১৭.৪ অনির্ভরশীল যে কোন চলকের (যেমন- কাঁচামালের ব্যয়) ৫% বৃদ্ধি ও অপর চলকের (বিক্রয় মূল্য) ৫% হ্রাস ধরে সেনসিটিভিটি বিশ্লেষণে প্রকল্প লাভজনক হতে হবে।
১৭.৫ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্পের প্রস্তাবিত ভূমির মালিকানা কোম্পানির নামে সাফকবলা দলিলের-হস্তান্তরিত হতে হবে এবং প্রকল্পভূমির ন্যূ মাধ্যমেনতম পরিমাণ এবং খন্ড নীতিমালায় বর্ণিত (পরিশিষ্ট-১ ) তালিকা অনুযায়ী হতে হবে। উল্লেখ্য, একাধিক খন্ডের প্রকল্পভূমির ক্ষেত্রে খন্ডসমূহের মধ্যে সবাের্চ্য দূরত্ব ও যােগাযােগ ব্যবস্থা নীতিমালার ৯ নং অনুচ্ছেদ মােতাবেক হতে হবে।

১৮. জামানতঃ
১৮.১ ঋণ গ্রহীতা কোম্পানির সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আইসিবি এর অনুকূলে নিবন্ধিত বন্ধক রাখতে হবে।
১৮.২ ঋণ গ্রহীতা কোম্পানির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধকীকরনের পাশাপাশি সকল উদ্যোক্তা/ পরিচালক গৃহীত ঋণের জন্য ব্যক্তিগত দায় গ্রহণ করে জামিননামা ও মুচলেকা প্রদান করবেন।
১৮.৩ আইসিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোম্পানির নামে নিবন্ধিত ভূমিফ্ল্যাট (যদি থাকে) আইসিবির অনুকুলে আবশ্যিকভাবে রেজিষ্টার্ড মর্টগেজ করতে হবে। যেসকল কোম্পানির নিজস্ব ফ্ল্যাট বা ভূমি থাকবে না তাদের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে আইসিবি এর অনুকূলে উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি ও ৩য় পক্ষের গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে।

১৯. ডকুমেন্টেশনঃ
১৯.১ ১ম কিস্তির অর্থ ছাড়করণের পূর্বে প্রকল্পের উদ্যোক্তাগণকে মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী প্রয়ােজনীয় সকল কাগজপত্র/ দলিলাদি দাখিল করতে হবে যা ICB কর্তৃক যাচাই বাছাইপূর্বক আইসিবির তালিকাভুক্ত।বিশেষভাবে নিযুক্ত আইনজীবীর মতামত গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য আইনজীবী কর্তৃক দাখিলকৃত ফি উদ্যোক্তা/ প্রকল্পের নিকট হতে আদায় করা হবে। এছাড়া আইন পরামর্শকের চাহিদা/ পরামর্শ অনুযায়ী এ নীতিমালায় বর্ণিত কাগজপত্র/ দলিলাদি ব্যতীত অন্য কোন কাগজপত্র বা দলিলাদির প্রয়ােজন হলে তাও দাখিল/ সম্পাদন/ নিবন্ধন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়মে EEF উইং, আইসিবি এবং উদ্যোক্তাকে প্রয়ােজনীয় সকল ডকুমেন্টেশনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
১৯.২ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্পের জন্য ESF হতে ঋণ মঞ্জুরির পর উদ্যোক্তা কর্তৃক রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস (RJSC)- এ প্রস্তাবিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
১৯.৩ ঋণ মঞ্জুরির পর অর্থ ছাড়ের পূর্বে উদ্যোক্তাকে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস (RJSC)- কর্তৃক অনুমােদিত সার্টিফিকেট অব ইনকরপােরেশন, পরিচালকদের বিবরণী, Memorandum of Association এবং Articles of Association ও অন্যান্য প্রয়ােজনীয় তথ্যাদি সম্বলিত দলিল/ কাগজাদির সার্টিফাইড কপি EEF উইং, আইসিবি এর নিকট দাখিল করতে হবে।
১৯.৪ অর্থ ছাড়করণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি/ উদ্যোক্তা কর্তৃক নিজস্ব দায় সৃষ্টি করে EEF উইং, আইসিবি এর অনুকূলে নিম্নবর্ণিত দলিলাদি সম্পাদন ও প্রযােজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এবং RJSC তে নিবন্ধন করতে হবে যা EEF উইং, আইসিবিতে সংরক্ষিত থাকবেঃ

ক) লােন এগ্রিমেন্ট;
খ) মেমােরেন্ডাম অব ডিপােজিট অব টাইটেল ডিডস;
গ) বন্ধকী সম্পত্তির মূল দলিলাদি/ কাগজাদি;
ঘ) ডীড অব মর্গেজ;
ঙ) পাওয়ার অব অ্যাটর্নী;
চ) ডিরেক্টরস্ গ্যারান্টি;
ছ) ডিরেক্টরস্ আন্ডারটেকিং;
জ) ডিপি নােট বাই ডিরেক্টরস;
ঝ) মেমােরেন্ডাম অব ডিপােজিট অব চেক;
ঞ) ডীড অব ফ্লোটিং চার্জ;
ট) ডীড অব হাইপােথিকেশন;
ঠ) প্লেজিং অব ডিরেক্টরস শেয়ার;
ড) আইসিটি প্রকল্পের জন্য উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি ও তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টি;
ঢ) প্রযােজ্য অন্যান্য কাগজপত্র/ দলিলাদি।

১৯.৫ মঞ্জুরিপত্রের শর্ত মােতাবেক গৃহীত ঋণ প্রকল্পে যথাযথভাবে বিনিয়ােগ করা না হলে/ ব্যবসা বন্ধ করলে/ প্রকল্পের অস্তিত্ব না পাওয়া গেলে অর্থ আদায়ের জন্য দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়ে লােন এগ্রিমেন্টে সুস্পষ্টভাবে শর্ত আরােপ করতে হবে।

২০. মঞ্জরিত প্রকল্পের অনুকুলে ESF এর অর্থ ছাড়করণঃ
২০.১ উদ্যোক্তা কর্তৃক মােট প্রকল্প ব্যয়ের ৫১% মঞ্জুরিপত্র ইস্যুর তারিখ হতে ১ বছরের মধ্যে প্রকল্পের একুইটি হিসেবে বিনিয়ােগ সম্পন্ন করতে হবে। মঞ্জুরিপত্র ইস্যুর তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে কোম্পানির অনুকূলে প্রকল্প ভূমির দলিলায়ন (ভূমি/ ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন, নামজারীকরণ ও খাজনা প্রদান) সংক্রান্ত সমুদয় কাজ সম্পন্ন করে মূল কাগজপত্রাদি/ দলিলাদি ইইএফ উইং, আইসিবিতে জমা প্রদান করতে হবে এবং ঋণ মঞ্জুরির বিপরীতে উক্ত স্থাবর/ অস্থাবর সম্পত্তি ইইএফ উইং, আইসিবির অনুকূলে বন্ধক রাখতে হবে।
২০.২ ক) সংশ্লিষ্ট মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পে উদ্যোক্তার অংশ বিনিয়ােগের বিষয় নিশ্চিত হয়ে আইসিবিতে কিস্তির অর্থ ছাড়করনের সুপারিশ প্রেরণ করবে। মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে), সংশ্লিষ্ট মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান ও আইসিবি’র প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শন দল কর্তৃক সরেজমিনে প্রকল্পটি পরিদর্শন করে উদ্যোক্তার অংশের বিনিয়ােগের (মােট প্রকল্প ব্যয়ের ন্যূনতম ৫১%) বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নথি নিরীক্ষণ সাপেক্ষে প্রকল্পের অনুকূলে ১ম কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে। এ পরিদর্শনে প্রকল্প ভূমি/ প্রস্তাবিত বন্ধকী সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলাদি, পূর্ববর্তী ১২ (বার) বছরের বায়া দলিলসমূহ, উদ্যোক্তাদের ওয়ারিশান সম্পত্তি হলে সংশ্লিষ্ট পর্চা/ খতিয়ানসমূহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এবং কোম্পানির নিবন্ধন সংক্রান্ত দলিলাদি RJSC এর কার্যালয়ে যাচাই করতে হবে। পরবর্তী প্রতিটি কিস্তির অর্থ, পূর্ববর্তী কিস্তিতে ছাড়কৃত অর্থের সদ্ব্যবহার সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক নিশ্চিত হয়ে ছাড় করা হবে। প্রকল্পের ধরণ ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিবিচেনায় নিয়ে মােট মঞ্জুরিকৃত ঋণের অর্থ ন্যূনতম ৩ (তিন) কিস্তিতে এবং সর্বোচ্চ ০৫ (পাঁচ) কিস্তিতে ছাড় করা হবে; তবে একক কিস্তির পরিমাণ কোনক্রমেই মােট ঋণের ৪০% এর অধিক হবে না।
খ) যন্ত্রপাতি নির্ভর প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি ও প্রয়ােজনীয় অবকাঠামাে খাতে ৫১% বিনিয়ােগ সম্পন্ন না হলে আমদানীতব্য যন্ত্রপাতি আমদানীতে L/C মার্জিন হিসেবে ৫১% এর অবশিষ্ট অংশ বিনিয়ােগ করতে হবে। আমদানীতব্য মেশিনারীজ এর বিপরীতে মার্জিন বাদে এলসি এর অর্থ আইসিবি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট এলসি ওপেনিং ব্যাংককে প্রদান করবে এবং সেক্ষেত্রে প্রয়ােজনে একক কিস্তির পরিমাণ ৪০% এর অধিক হতে পারে।
গ) কিস্তির অর্থ আইসিবি মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করবে। মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়ােজনীয় নিয়মাচার পরিপালন পূর্বক কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে একাউন্ট-পেয়ী চেকের মাধ্যমে প্রেরণ করবে। আইসিবি কোন উদ্যোক্তা বা কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে সরাসরি কোন চেক প্রদান করবে না।

২১. ESF এর ঋণ প্রাপ্ত প্রকল্প কর্তৃক চলতি মূলধন ঋণ গ্রহণঃ
ESF এর ঋণ প্রাপ্ত খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক খাতের মূলধনী যন্ত্রপাতি নির্ভর প্রকল্প ব্যতীত অন্য কোন প্রকল্প চলতি মূলধন ঋণের জন্য বিবেচিত হবে না। চলতি মূলধন ঋণের জন্য নিম্নেবর্ণিত শর্তাবলী পরিপালন করতে হবেঃ
২১.১ আগ্রহী প্রকল্পকে চলতি মূলধন ঋণ গ্রহণের অনাপত্তি চেয়ে EEF উইং, আইসিবির নিকট আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে কোম্পানির সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী লােভ-ক্ষতি হিসাব ও স্থিতিপত্র) দাখিল করতে হবে। ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট প্রকল্প/ কোম্পানির পরিচালক পর্ষদ কর্তৃক অনুমােদিত হতে হবে।
২১.২ ঋণের বিপরীতে আইসিবি এর নিকট বন্ধকীকৃত সম্পত্তি বহির্ভূত অন্য কোন সম্পত্তি জামানত রেখে চলতি মূলধন ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। উদ্যোক্তাগণ যে সম্পত্তি বন্ধক রেখে চলতি মূলধন ঋণ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক তা আবেদন পত্রে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
২১.৩ আইসিবি কর্তৃক আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সার্বিক বিষয়াদি আইসিবি ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক যৌথভাবে সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক অনাপত্তি প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
২১.৪ কোন প্রকল্পের অনুকূলে মঞ্জুরিকৃত সমুদয় অর্থ ছাড়করণ এবং প্রকল্পের বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম শুরুর পূর্বে চলতি মূলধন ঋণের জন্য দাখিলকৃত আবেদনপত্র বিবেচনাযােগ্য হবে না। এক্ষেত্রে প্রকল্পের অনুকূলে ইস্যুকৃত মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলীর পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
২১.৫ আইসিটি খাতভুক্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রে চলতি মূলধন ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব গ্রহণযােগ্য হবে না।

২২. ESF সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ ও তাদের দায়দায়িত্বঃ
২২.১ বাংলাদেশ ব্যাংকঃ
ক) ESF এর নীতিমালা প্রণয়ন।
খ) তহবিল ব্যবস্থাপনা।
গ) প্রকল্পের পারফমেন্স মনিটরিং।
ঘ) আইসিবি এর কার্যক্রম তদারকি।

২২.২ আইসিবিঃ
ক) EOI গ্রহণ এবং সেগুলাের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুতকরণ।
খ) মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত প্রকল্প প্রস্তাব পুনঃমূল্যায়নপূর্বক নীতিমালায় বর্ণিত প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক ঋণ মঞ্জুরি প্রদান।
গ) প্রকল্প সংক্রান্তে প্রয়ােজনীয় দলিলাদি সম্পাদন (প্রয়ােজনে আইনজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী)।
ঘ) প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ভূমি/ ফ্ল্যাটের যাবতীয় কাগজপত্র/ দলিলাদি সংশ্লিষ্ট মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংক (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) এর সাথে যৌথভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে সরেজমিনে যাচাই ও উক্ত কাগজপত্র/ দলিলাদি সংরক্ষণ।
ঙ) মঞ্জুরিকৃত প্রকল্পসমূহের অনুকুলে অর্থ ছাড়করণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম তদারকি ও অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়ােজনীয় সহযােগিতা প্রদান।
চ) বিতরণকৃত ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে প্রকল্প বা উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে প্রয়ােজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
ছ) মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান হতে প্রকল্পের অবস্থা সম্পর্কিত পর্যাবৃত্ত তথ্য (Periodical Status) সংগ্রহ এবং চাহিদা মােতাবেক মন্ত্রণালয়/ বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিতকরণ।
জ) ESF সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইসিবি বা বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিপক্ষ করে দায়েরকৃত মামলায় আইনজ্ঞের পরমর্শ অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দিতা/ পদক্ষেপ গ্রহণ।
ঝ) প্রকল্পের পর্ষদ সভায় উপস্থিতির জন্য টিএ/ ডিএ বাবদ পর্যবেক্ষকের (Observer) দাখিলকৃত বিল বিধি মােতাবেক প্রয়ােজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষান্তে পুনর্ভরণ করা।
ঞ) আইসিবি এতদ্‌সংক্রান্ত কাজের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ থাকবে।

২২.৩ মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানঃ
ক) সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত উদ্যোক্তার প্রকল্প প্রস্তাব গ্রহণকরতঃ প্রস্তাবিত প্রকল্পস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে মূল্যায়নপূর্বক ঋণ মঞ্জুরির জন্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি/ দলিলাদিসহ ০২ (দুই) কপি প্রকল্প প্রস্তাবনা/ মূল্যায়ন প্রতিবেদন ইইএফ উইং, আইসিবিতে প্রেরণ এবং ১ (এক) কপি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে। উল্লেখ্য, সরকার কর্তৃক ঘােষিত মৌজা রেট (পার্বত্য অঞ্চলে মৌজা রেট না থাকায় প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী) অনুসরণে প্রকল্পের ভূমি/ জমির মূল্যায়ন করতে হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি খাতের যন্ত্রপাতি নির্ভর প্রকল্পের ভূমি/ জমি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক ঘােষিত মৌজা রেট (পার্বত্য অঞ্চলে মৌজা রেট না থাকায় প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী ভূমির মূল্য) বা আইসিবিতে বিদ্যমান কৃষি বিষয়ক প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি ও মঞ্জুরি বোর্ড কর্তৃক নির্ণেয় মােট প্রকল্প ব্যয়ের ১৫% এবং যন্ত্রপাতি নির্ভর প্রকল্প ব্যতিরেকে অন্যান্য প্রকল্পের জন্য ৩০% এর মধ্যে যেটি কম সেটি বিবেচিত হবে।
খ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইনজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়ােজনীয় দলিলাদি সম্পাদন।
গ) প্রকল্পে উদ্যোক্তার অংশের সন্তোষজনক বিনিয়ােগ নিশ্চিত হয়ে ঋণের অর্থ ছাড়ের সুপারিশকরণ (প্রতি কিস্তির অর্থ ছাড়ের সুপারিশের সাথে পর্যবেক্ষকের মতামত/ প্রতিবেদন সংযুক্ত করতে হবে)।
ঘ) মঞ্জুরিকৃত প্রকল্পসমূহে অর্থ বিতরণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন মনিটরিং, অর্থ আদায়ের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী সম্পাদন।
ঙ) বিতরণকৃত ঋণ আদায়ের জন্য প্রচলিত বিধি মােতাবেক সুদ ও আসল সমন্বয় করে ঋণের কিস্তি নির্ধারণ।
চ) প্রকল্পের পর্ষদ সভা ও অন্যান্য সভায় আইসিবি এর পক্ষে দায়িত্বপালনের জন্য ০১ (এক) জন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষক (Observer) হিসেবে নিয়ােগ দান।
ছ) মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে পর্যবেক্ষকের নিকট হতে মতামত ও প্রতিবেদন সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
জ) প্রকল্প/ প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে আইসিবিতে প্রেরণ করতে হবে।
ঝ) আদায়কৃত অর্থ অনতিবিলম্বে আইসিবিতে প্রেরণ।
ঞ) প্রকল্পের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে আইসিবিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান।
ট) প্রকল্পের অনুকূলে ঋণ সহায়তার ১ম কিস্তির অর্থ ছাড়করণের পর সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও উদ্যোক্তাদের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরােতে (CIB) রিপাের্টকরণ।
ঠ) বিতরণকৃত ঋণ হিসাব সংরক্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুসৃত নিয়ামাচার অনুযায়ী এ ঋণকে শ্রেণীবিন্যাসকরণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে রিপাের্টকরণ। তবে বিরূপভাবে শ্রেণীকৃত ঋণের জন্য কোন প্রভিশন রাখতে হবে না।
ড) মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান এতদ্‌সংক্রান্ত কাজের জন্য আইসিবি এর নিকট দায়বদ্ধ থাকবে।

২৩. পর্যবেক্ষক (Observer) এর দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
২৩.১ ESF এর ঋণ সহায়তা প্রাপ্ত কোম্পানির পর্ষদ সভা ও অন্যান্য সভায় উপস্থিত থেকে তহবিলের স্বার্থ সংরক্ষণ;
২৩.২ কোম্পানী কর্তৃক আয়ােজিত বাের্ড সভা এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত থেকে কার্যকরী ভূমিকা পালন; ২৩.৩ প্রতি কিস্তির ঋণ ছাড়ের পূর্বে প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা ও বিনিয়ােগের বিষয়ে (প্রয়ােজনে প্রকল্প পরিদর্শন করে) প্রতিবেদন/ মতামত প্রদান;
২৩.৪ প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রতিবেদন তাঁর প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল;
২৩.৫ বাংলাদেশ ব্যাংক বা আইসিবি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পরিপালন;
২৩.৬ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রতিটি বাের্ড সভা ও অন্যান্য সভায় উপস্থিতির জন্য পর্যবেক্ষক (Observer) তাঁর পদমর্যাদা অনুযায়ী সরকারী বিধি মােতাবেক টিএ/ ডিএ প্রাপ্য হবেন। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয়/ শাখা প্রদানের সুপারিশ সম্বলিত বিল ইইএফ উইং আইসিবিতে দাখিল করবেন। ইইএফ উইং, আইসিবি কর্তৃক প্রয়ােজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষান্তে পর্যবেক্ষকের প্রাপ্য অর্থ পুনর্ভরণ করা হবে।

২৪. উদ্যোক্তা কোম্পানীর পরিপালনীয় বিষয়ঃ
২৪.১ ঋণ গ্রহণে আগ্রহী উদ্যোক্তাগণকে তাদের পছন্দমত মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্প প্রস্তাবনা আইসিবিতে দাখিল করতে হবে।
২৪.২ ঋণ সহায়তার ১ম কিস্তি প্রাপ্তির ৪ (চার) মাসের মধ্যে এবং অন্যান্য কিস্তির অর্থ নির্ধারিত সময়ে বিনিয়ােগ সম্পন্ন করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
২৪.৩ ঋণ মঞ্জুরির পর সংশ্লিষ্ট কোম্পানির যাবতীয় স্থায়ী/ অস্থায়ী সম্পদের মূল দলিলাদি আইসিবিতে দাখিলপূর্বক নিবন্ধিত বন্ধকী দায় সৃষ্টি করতঃ সকল শেয়ার সার্টিফিকেট (ফরম-১১৭ সহ) কিস্তি ছাড়ের পূর্বেই আইসিবিতে জমা করতে হবে। এছাড়া ঋণ সহায়তা ভােগকালে প্রকল্পের কোন সম্পদ বিক্রয়/ হস্তান্তরদায়বদ্ধ/ লীজ/ ভাড়া প্রদান করা যাবে না এবং ICB এর পূর্বানুমােদন ব্যতিরেকে কোম্পানির সদস্যদের ধারণকৃত শেয়ার(সমূহ) হস্তান্তর করা যাবে না।
২৪.৪ ESF সহায়তা/ সুবিধাভােগী কোম্পানি ব্যাংক/ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন ঋণ চুক্তি, বিনিয়ােগ চুক্তি বা সার্কুলার পরিপন্থী বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারবে না। এছাড়া আইসিবি এর পূর্ব অনুমােদন ব্যতিরেকে ঋণ সুবিধাভােগী কোম্পানি কর্তৃক–
ক) কোম্পানির ব্যবস্থাপনার জন্য কোন এজেন্ট নিয়ােগ করা যাবে না;
খ) কোম্পানির মেমােরান্ডাম এন্ড আটিকেলস অব এসােসিয়েশনের কোনরুপ পরিবর্তন করা যাবে না;
গ) কোন ব্যক্তি/ কোম্পানিকে ঋণ দেয়া যাবে না।
২৪.৫ ইইএফ উইং, আইসিবি’কে অবহিত না করে ব্যবসায়িক ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না।
২৪.৬ অনুমােদিত প্রকল্প ব্যয়ের অতিরিক্ত ব্যয় কোম্পানির উদ্যোক্তাগণকে নিজ উৎস হতে বহন করতে হবে। ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক/ আইসিবি কর্তৃক পরিদর্শনের লক্ষ্যে কোম্পানির হিসাবসমূহ যথাযথভাব সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রকল্প সংক্রান্ত সকল তথ্য পরিদর্শন দলকে সরবরাহ করতে কোম্পানি বাধ্য থাকবে। নির্ধারিত ছকে প্রকল্পের ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং বৎসরান্তে পরবর্তী ৪ মাসের মধ্যে কোম্পানির নিরীক্ষিত স্থিতিপত্র ও লাভ-ক্ষতি হিসাব মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আইসিবিতে দাখিল করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত হলে উক্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত স্থিতিপত্র ও লাভ-ক্ষতি হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংকের ইইএফ ইউনিটে দাখিল করতে হবে। ২৪.৭ প্রচলিত নিয়মানুসারে প্রকল্পের সমুদয় সম্পদ অগ্নিকান্ড, বন্যা, ভূমিকম্প, দাঙ্গা, সাইক্লোন ইত্যাদির বিপরীতে বীমাকৃত থাকতে হবে।
২৪.৮ প্ৰতি ত্রৈমাসিকে ন্যূনতম ০১ টি বাের্ড সভা এবং প্রতি বছর কমপক্ষে ০৪ টি বাের্ড সভা (তন্মধ্যে প্রকল্পস্থলে ন্যূনতম ২ টি) এবং বার্ষিক সাধারণ সভার আয়ােজন করতে হবে।

২৫. বিতরনকৃত মেয়াদী ঋণ আদায়ঃ
২৫.১ অনুমােদিত প্রকল্পের অনুকূলে মঞ্জুরিকৃত ঋণের ১ম কিস্তির অর্থ ছাড়করনের তারিখ হতে ০৪ (চার) বছর সময়কালকে Moratorium/ Grace Period হিসেবে বিবেচনাপূর্বক ০৪ বছর ০৬ মাস (সাড়ে চার বছর) পূর্তির তারিখ হতে ষান্মাসিক ভিত্তিতে মােট ০৮ (আট) বছরের মধ্যে সুদসহ আসল মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত কিস্তিতে আদায় করা হবে। নির্ধারিত সময়ে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিশোধনীয় (Due) অর্থের উপর অতিরিক্ত ২% দন্ড সুদ আরোপ করা হবে। তবে কোন প্রকল্প ইচ্ছা করলে Moratorium/ Grace Period এর মধ্যেও গৃহীত ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারবে।
২৫.২ অনুমােদিত প্রকল্পসমূহ হতে আদায়কৃত সুদের অর্থের ৫০% ফান্ড ব্যবস্থাপনা ব্যয় হিসেবে ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক, ২০% আইসিবি ও ৩০% সংশ্লিষ্ট মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রাপ্য হবে। উল্লেখ্য ESF পরিচালনার যাবতীয় ব্যয় ফান্ড ব্যবস্থাপনা ব্যয় হিসেবে ইইএফ ইউনিট বাংলাদেশ ব্যাংক আইসিবিকে পুনর্ভরণ করবে। কিন্তু মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে এ বাবদ কোন অর্থ পূনর্ভরণ করা হবে না। তবে প্রকল্প প্রস্তাবনা মূল্যায়নের ফি বাবদ সংশ্লিষ্ট মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তার নিকট হতে ১.০০ (এক) লক্ষ টাকা প্রাপ্য হবে এবং এ ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধি মােতাবেক প্রযােজ্য ভ্যাট প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বহন করবে যা উদ্যোক্তার একুইটির অংশে বিনিয়ােগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
২৫.৩ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত নির্দেশনাবলীর আওতায় ESF হতে অর্থায়িত প্রকল্পের অনুকূলে ছাড়কৃত ঋণ মূলায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শ্রেণী বিন্যাসিত হবে এবং ঋণ বিরূপভাবে শ্রেণীকৃত হলে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তগণ ৩.২৩ নং অনুচ্ছেদের সংজ্ঞা অনুযায়ী ঋণ খেলাপী হিসেবে চিহ্নিত হবে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে কোন প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবেনা।
২৫.৪ উদ্যোক্তার ব্যর্থতার কারণে যে কোন পর্যায়ে ঋণের সমূদয় পাওনা ফেরত (Re-Call) প্রদানের জন্য ইইএফ উইং, আইসিবি নােটিশ প্রদান করতে পারবে।
২৫.৫ প্রচলিত নিয়মে ঋণ গ্রহীতার তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে প্রেরিত হবে।
২৫.৬ বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রয়ের মাধ্যেমে ঋণ আদায়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।
২৫.৭ ঋণ খেলাপীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে যুগপৎ যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

২৬. বিবিধঃ
২৬.১ সুষ্ঠুভাবে ESF পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়ােজনীয় রূপরেখা/ ম্যানুয়াল/ ফরম্যছক প্রণয়নের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংক সংরক্ষণ করবে।
২৬.২ বাংলাদেশ ব্যাংক অত্র নীতিমালা সংশােধন, সংযােজন, বিয়ােজন ও পরিমার্জনের অধিকার সংরক্ষণ করবে। ২৬.৩ সংশােধিত ইএসএফ নীতিমালা সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার আকারে প্রকাশ করবে।

২৭. বিদ্যমান নীতিমালার কার্যকারিতাঃ
বিদ্যমান অর্থাৎ অত্র নীতিমালা জারীর পূর্বে মঞ্জুরিকৃত প্রকল্পসমূহের জন্য ইতােমধ্যে জারিকৃত ইইএফ সার্কুলার, নীতিমালা ও নির্দেশনা ইত্যাদি কার্যকর থাকবে।

পরিশিষ্ট -১: “Entrepreneurship Support Fund” এর আওতায় প্রকল্প স্থাপনের জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক উপ-খাতের তালিকা।

ক্রমিক নংপ্রকল্পের ধরণপ্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমির পরিমাণপ্রকল্প ভূমির গ্রহণযোগ্য খন্ড সংখ্যা
.উচ্চ ফলনশীল শস্যের বীজ উৎপাদন ১০ একর১০
.টিস্যু কালচার এর মাধ্যমে আলুবীজ এবং ফল ও ফুলের চারা উৎপাদন১০ একর
.ফুল চাষ৫ একর
.অটোমেটিক রাইস মিল১ একর
.মাশরুম চাষ১ একর
.IQF প্ল্যান্ট স্থাপন (Individual Quick Freezing/ Fish processing) একর
.নিরাপদ শুটকি উৎপাদন (Safe dehydrated fish processing)১ একর
.মৎস্য চাষ (সাদা মাছ/ হাই ভ্যালু মাছ) একর
.চিংড়ি চাষ (গলদা/ বাগদা) একর
১০.কুমিরের খামার (প্রজনন ও লালন পালন) একর
১১.মৎস্য/ প্রাণী সম্পদ হাঁস মুরগীর খাবার উৎপাদন প্রকল্প (ফিড মিল) একর
১২.দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট (Milk processing/ further processing plant) একর
১৩.ডিম প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্ট (Egg processing/ further processing plant)১ একর
১৪.আধুনিক কসাইখানা সহ মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্ট একর
১৫.হাঁসমুরগীর ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন (Poultry hatchery) একর
১৬.ফল ও শাকসবজী প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ (ফলের জুস, জ্যাম, জেলি, আচার, সস ইত্যাদি উৎপাদন)১ একর
১৭.মৌমাছি চাষ ও মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ১ একর
১৮.দুগ্ধ খামার এবংবায়ােগ্যাস উৎপাদন একর
১৯.কর্ন ফ্লেক্স উৎপাদন ১ একর
২০.কাঁকড়ার হ্যাচারী ও কাঁকড়ার চাষ একর
২১.অবলুপ্ত করা হলাে।*
২২.মূল্য সংযােজিত মৎস্যজাত খাদ্য উৎপাদন (Value Added Fish Product Development & Marketing). একর
২৩.তৈলবীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ১ একর
২৪.টার্কি (Genus-Meleagris) পালন (মাংস ও ডিম উৎপাদন)১ একর
২৫.টার্কির ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন ( Turkey Hatchery )১ একর
২৬.Semi-Intensive অ্যাকুয়াকালচার১ একর

*‘নারী উদ্যোক্তা বিশিষ্ট প্রকল্পের ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত জমির পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০% শিথিলযােগ্য। তবে, কোন ক্ষেত্রেই তা ০১ (এক) একরের কম হবে না। ২১ নং ক্রমিকে বর্ণিত প্রকল্প [উন্নত জাতের ষাঁড় হতে কৃত্রিম উপায়ে শুক্রানু (সিমেন) সংগ্রহপূর্বক অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিতে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ] আবলুপ্ত করা হলাে।

পরিশিষ্ট-২: “Entrepreneurship Support Fund” এর আওতায় প্রকল্প স্থাপনের জন্য আইসিটি উপ-খাতের তালিকা।

তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি (ICT) সংক্রান্ত প্রকল্পের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাতসমূহঃ
• ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্যের উৎপাদন,
• ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ,
• ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্যের ব্যবহার,
• আদান-প্রদান অথবা সেবা প্রদান,
• Call Center,
• Hardware/ Hardware Component Manufacturing এবং
• ITES (IT Enable Services)
[ব্রডকাস্টিং প্রকল্প (যেমন- টিভি, নাটক, টকশাে, ম্যাগাজিন/ বিচিত্রানুষ্ঠান, প্রেস ইত্যাদি সম্প্রচারমূলক কার্যক্রম) অথবা বাণিজ্যিক ভিডিও প্রােডাকশন সংক্রান্ত খাত সমূহ উক্ত অগ্রাধিকার খাতের আওতাভুক্ত নয়]

পরিশিষ্ট -৩: “Entrepreneurship Support Fund” এর আওতায় খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্প বিষয়ক “প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি” (PAC) এর গঠন।

খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (PAC) এর গঠন হবে নিম্নরূপঃ

০১উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবি। তাঁর অনুপস্থিতিতে মহাব্যবস্থাপক, ইইএফ উইং, আইসিবিআহবায়ক/ সভাপতি
০২মহাব্যবস্থাপক, ইইএফ উইং, আইসিবিসদস্য
০৩প্রতিনিধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়সদস্য
০৪BARC কর্তৃক মনােনীত কৃষি বিষয়ক পেশাধারী ও শিক্ষাগত যােগ্যতাসম্পন্ন একজন প্রতিনিধিসদস্য
০৫প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক মনােনীত প্রাণি সম্পদ বিষয়ক পেশাধারী ও শিক্ষগত যােগ্যতাসম্পন্ন একজন প্রতিনিধিসদস্য
০৬বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনােনীত মৎস্য বিষয়ক পেশাধারী শিক্ষাগত যােগ্যতাসম্পন্ন একজন প্রতিনিধিসদস্য
০৭প্রতিনিধি, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক (ন্যূনতম উপমহাব্যস্থাপক পদমর্যাদার) সদস্য
০৮ফিন্যান্সিয়াল এনালিষ্ট (বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মনােনীত প্রতিনিধি)সদস্য
০৯উপমহাব্যবস্থাপক, ইইএফ অ্যাপ্রাইজাল ডিভিশন, আইসিবিসদস্য
১০সহকারী মহাব্যবস্থাপক, ইইএফ এগ্রো ডিপার্টমেন্ট, আইসিবিসদস্য সচিব

পরিশিষ্ট-৪: “Entrepreneurship Support Fund” এর আওতায় আইসিটি প্রকল্প বিষয়ক প্রকল্প মূল্যায়ন কমিট (PAC)” এর গঠন।

আইসিটি প্রকল্প বিষয়ক প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (PAC) এর গঠন হবে নিম্নরূপঃ

উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবি, ঢাকা। তাঁর অনুপস্থিতিতে মহাব্যবস্থাপক, ইইএফ উইং, আইসিবি, ঢাকা।আহবায়ক/ সভাপতি
মহাব্যবস্থাপক, ইইএফ উইং, আইসিবি, ঢাকা।সদস্য
মহাব্যবস্থাপক, আইসিটি এন্ড ডিপােজিটরি বিভাগ, আইসিবি, ঢাকা।সদস্য
প্রতিনিধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়সদস্য
প্রতিনিধি, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক (ন্যূনতম উপমহাব্যস্থাপক পদমর্যাদার)সদস্য
সিনিয়র সিস্টেমস্ এনালিস্ট, বাংলাদেশ ব্যাংকসদস্য
Internet Service Providers Association of Bangladesh (ISPAB) এর প্রতিনিধিসদস্য
বিসিএস এর প্রতিনিধিসদস্য
বেসিস এর প্রতিনিধিসদস্য
১০বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর প্রতিনিধিসদস্য
১১সিষ্টেম ম্যানেজার, ইইএফ আইসিটি ডিভিশন, আইসিবিসদস্য
১২সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, ইইএফ আইসিটি অ্যাপ্রাআইজাল ডিপার্টমেন্ট, আইসিবিসদস্য সচিব

পরিশিষ্ট-৫: “Entrepreneurship Support Fund” এর আওতায় খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্প বিষয়ক মঞ্জুরী বাের্ড এর গঠন।

খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি ভিত্তিক প্রকল্প বিষয়ক মঞ্জুরী বাের্ড এর গঠন হবে নিম্নরূপঃ

০১ব্যবস্থাপনা পরিচালক/ তাঁর অনুপস্থিতিতে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবিআহবায়ক/ সভাপতি
০২উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবিসদস্য
০৩প্রতিনিধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়সদস্য
০৪নির্বাহী পরিচালক, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংকসদস্য
০৫মহাব্যবস্থাপক, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংকসদস্য
০৬BARC কর্তৃক মনােনীত কৃষি বিষয়ক পেশাধারী ও সদস্য শিক্ষাগত যােগ্যতাসম্পন্ন একজন প্রতিনিধিসদস্য
০৭প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক মনােনীত প্রাণি সম্পদ বিষয়ক সদস্য পেশাধারী ও শিক্ষাগত যােগ্যতাসম্পন্ন একজন প্রতিনিধিসদস্য
০৮বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনােনীত মৎস্য বিষয়ক সদস্য পেশাধারী ও শিক্ষাগত যােগ্যতাসম্পন্ন একজন প্রতিনিধিসদস্য
০৯এফবিসিসিআই এর কৃষি বিষয়ক ফোরামের মনােনীত সদস্য একজন প্রতিনিধিসদস্য
১০মহাব্যবস্থাপক, ইইএফ উইং, আইসিবিসদস্য সচিব

পরিশিষ্ট-৬: “Entrepreneurship Support Fund” এর আওতায় আইসিটি প্রকল্প বিষয়ক মঞ্জুরী বাের্ডের গঠন।

আইসিটি প্রকল্প বিষয়ক প্রকল্প “মঞ্জুরী বাের্ড” এর গঠন হবে নিম্নরূপঃ

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবি, ঢাকা। তাঁর অনুপস্থিতিতে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবি, ঢাকা।আহবায়ক/ সভাপতি
নির্বাহী পরিচালক, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক।সদস্য
মহাব্যবস্থাপক, ইইএফ ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংকসদস্য
প্রতিনিধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রনালয়।সদস্য
উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইসিবি, ঢাকা।সদস্য
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ঢাকা।সদস্য
সভাপতি, বেসিসসদস্য
সভাপতি, বিসিএসসদস্য
প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইসদস্য
১০সিষ্টেমস ম্যানেজার, ব্যাংলাদেশ ব্যাংক।সদস্য
১১মহাব্যবস্থাপক, ইইএফ উইং, আইসিবিসদস্য সচিব

*** ইইএফ সার্কুলার লেটার নং-০১/২০১৮, তারিখঃ ০৯ অক্টোবর, ২০১৮, ইইএফ সার্কুলার লেটার নং-০১/২০১৯, তারিখঃ ২৮ মার্চ, ২০১৯, ইইএফ সার্কুলার লেটার নং-০৩/২০১৯, তারিখঃ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ইইএফ সার্কুলার লেটার নং-০১/২০২০, তারিখঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ এবং ইইএফ সার্কুলার লেটার নং-০১/২০২১, তারিখঃ ০২ জুন, ২০২১ মোতাবেক সংশোধিত।

সোর্সঃ ইইএফ সার্কুলার নং-৩৫/২০১৮, তারিখঃ ০৫ আগস্ট, ২০১৮
ইক্যুইটি এন্ড অন্ট্র্যাপ্র্যানারশীপ ফান্ড ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক।
*** ডাউনলোড করুন- EOI Form | Guideline of EOI Form

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button