ক্ষুদ্রঋণ

বাংলাদেশে মাইক্রোফাইন্যান্স এর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব সমূহ

মাইক্রো ফাইন্যান্স এমন একটি কর্মসূচি যা স্বল্প আয়ের মহিলা ও পুরুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গৃহীত হয়। মাইক্রো ফাইন্যান্স (MF) বলতে বুঝায় স্বল্প আয়ের গ্রাহকদেরকে অর্থনৈতিক সেবা প্রদান করা যা আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা করে। অর্থনৈতিক সেবার মাধ্যমে সঞ্চয় গড়ে তোলা এবং ঋণ প্রদান অন্তর্ভুক্ত করা। নিম্নে মাইক্রো ফাইন্যান্স এর অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব সমূহ তুলে ধরা হল-

Economic Impact (অর্থনৈতিক প্রভাব)
নিম্নে মাইক্রো ফাইন্যান্স এর অর্থনৈতিক প্রভাব সমূহ তুলে ধরা হলো-
১. আয় বৃদ্ধি;
২. খাদ্যের নিরাপত্তা;
৩. বেতন-ভাতা বৃদ্ধি;
৪. ভূমিহীনদের মজুরি বৃদ্ধি;
৫. অধিকতর কর্মসংস্থান;
৬. স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বৃদ্ধি;
৭. সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি; ও
৮. অর্থনৈতিকভাবে নির্ভর করে তোলে।

Social Impact (সামাজিক প্রভাব)
নিম্নে মাইক্রো ফাইন্যান্স এর সামাজিক প্রভাব সমূহ তুলে ধরা হলো-
১. স্বাস্থ্য ও পুষ্টি;
২. স্যানিটেশন ও নিরাপদ পানি;
৩. সাক্ষরতা ও স্কুলগামী শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি;
৪. সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি, সামাজিকীকরণ, সামাজিক গতিশীলতা;
৫. নারীর ক্ষমতায়ন এবং গৃহস্থলীর উন্নয়ন, মহিলাদের মর্যাদা বৃদ্ধি;
৬. সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান তৈরি; ও
৭. ইতিবাচক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি।

Cultural Impact (সাংস্কৃতিক প্রভাব)
নিম্নে মাইক্রো ফাইন্যান্স এর সাংস্কৃতিক প্রভাব সমূহ তুলে ধরা হল-
১. গ্রুপ সদস্যদের মধ্যে শৃংখলাবোধ সৃষ্টি;
২. পালনীয় সিদ্ধান্তের দ্বারা সামাজিক-সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধি;
৩. পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি; ও
৪. দরিদ্র মহিলাদের মধ্যে নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক গুণাবলীর উন্নয়ন।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

Religious Impact (ধর্মীয় প্রভাব)
নিম্নে মাইক্রো ফাইন্যান্স এর ধর্মীয় প্রভাব সমূহ তুলে ধরা হলো-
১. ইসলামাইজেশন এর জন্য মোটিভেশন;
২. ধর্মীয় ধার্মিক হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ;
৩. কর্মঠ, নিষ্ঠাবান ও উদ্যোগী হিসেবে গরীবদের তৈরি করা;
৪. সুদ এর বিকল্প পন্থাদি বাস্তবায়ন করা;
৫. পরিবার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ;
৬. ঈমানের ভিত্তিসমূহ শক্তিশালীকরণ; ও
৭. সভ্যতার মূল্যমানের দিকে দরিদ্রদের নিয়ে যাওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button