অর্থনীতি

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও সার্বভৌম অধিকার সুরক্ষা

মোহাম্মদ জমিরঃ মহামারী প্যারাডাইমের মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহে আমাদের অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও উন্নয়ন খাত সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিবেদন গণমাধ্যমে এসেছে। সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনগুলোর কয়েকটিতে কিছু খাতের সফলতা তুলে ধরা হয়েছে। আবার কিছু প্রতিবেদনে কিছু খাতের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি উভয় দিক থেকে ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য পরিণামের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।

প্রায় আট বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মত হওয়া ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা) থেকে আদৌ কোনো সুফল এসেছে কিনা, তা নিয়েও কিছু অর্থনীতিবিদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তিগুলোর ম্যাট্রিক্স একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের সার্বভৌম অধিকারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করার ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন শর্তের অধীনে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের ওপর তাদের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা আরোপ করছে কিনা, সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

এটি অস্বীকারের উপায় নেই যে আমরা কেবল আর্থসামাজিক দিক দিয়ে অগ্রগতি করেছি তা নয়, গত ৫০ বছরে গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণকে শিক্ষা, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতেও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিপুল প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। এছাড়া উপর্যুপরি সরকার এবং নাগরিক সমাজের কর্তাব্যক্তিদের পক্ষ থেকে বরাবরই বৃহত্তর একীভূতকরণ ও অন্তর্ভুক্তিতারও প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।

স্মরণ করা যেতে পারে যে ইউএনডিপি প্রণীত মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে বিশ্বের ১৮টি দেশের একটি গ্রুপে রাখা হয়েছিল, যে দেশগুলোয় মানব উন্নয়নে জোরালো অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করা গেছে। এ গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে চীন, ভারত, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

২০১৩ সালের পর থেকে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, সেবা, অভিনব দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি এবং বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে কৌশলগত সম্পৃক্তিসহ মানব উন্নয়নে চমত্কার অগ্রগতি হয়েছে, যা বহুপক্ষীয় সংস্থা কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়ে আসছে। এটিও বিভিন্ন সময়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশ সরকারি বিনিয়োগ হার বাড়ানো ও বস্ত্র খাতে বড় সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

তার পরও এটি স্বীকার করতে হবে যে প্রকৃত অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং মানবাধিকার ও সুশাসনসংক্রান্ত মৌলিক নীতিগুলো প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। আমরা এখনো দুর্নীতি থেকে পুরোপুরিভাবে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এর কারণ জবাবদিহিতা ঘাটতি। এটা আমাদের দেশে ব্যবসা করার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে এবং সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না আজকে আমরা একটা সীমান্তহীন বিশ্বে বাস করি। তার মানে হলো, নিজস্ব গতিতে বিশ্বায়ন আমাদের আর্থসামাজিক সুযোগ-সুবিধা এবং আমাদের রাজনৈতিক অংশীদারদের মধ্যকার সম্পর্কগুলো ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। যেহেতু এই আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আমরা বাস করি সেহেতু সরকারি ও বেসরকারি খাতের দিক থেকে আমাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আরো সজাগ থাকতে হবে, যাতে বহিরাগতদের দ্বারা জাতীয় নিরাপত্তা কোনোভাবে বিঘ্নিত-বিপন্ন না হয়। আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের সদস্যের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, আমাদের কিছু উদ্যোক্তা সর্বজনীন নীতি-মূল্যবোধগুলো অনুসরণ করছেন না। এক্ষেত্রে তারা নানাভাবে এখনো বেশ অনীহ।

স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পাঁচ দশক পরে আমরা আজকে শুধু রাজনীতি নয়, বিশেষভাবে অর্থনৈতিক দিগন্তেও গভীরতর কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। এ অবস্থা বেশি গভীরতর হয়েছে গত বছর, বিশেষ করে আমাদের বাইরের শ্রমবাজার ও পোশাক খাতে। এ দুটি খাত লাখ লাখ বাংলাদেশী কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে।

উল্লেখ করা প্রয়োজন, এই ডিজিটালাইজেশন ও ই-কমার্সের যুগে বহুস্তরের ডিজিটাল খাতে মেধাসম্পদের অধিকার সম্পর্কেও উদ্বেগ বেড়ে চলছে। এটা বিশেষ করে ওষুধ শিল্পে বেশি অনুভূত হচ্ছে। এছাড়া শিল্প কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনার জায়গা থেকে কৃষি খাতে জেনেটিক্যালি মডিফাইড প্রক্রিয়ায়ও মেধাস্বত্ব-সংক্রান্ত উদ্বেগ বাড়ছে।

বিবাদের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে যা সামনে এসেছে তা মূলত শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কিত। সুনির্দিষ্টভাবে বললে, শ্রম অধিকারের নানামাত্রিক অর্থ ও সংজ্ঞা ঘিরে। কিছু পশ্চিমা দেশ মহামারীর অভিঘাত সত্ত্বেও আমাদের শিল্প খাতে কর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় দ্রুত উন্নয়নের তাগিদ দিয়ে আসছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ অবশ্য ‘ধীরে ধীরে ধারাবাহিক উন্নয়ন’ শব্দবন্ধের ওপর বেশি জোর দিয়ে আসছে। সেটিই আমাদের জন্য অধিকতর বাস্তবসম্মত অ্যাপ্রোচ হিসেবে চিহ্নিত ও গৃহীত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এটিকে অন্যভাবে দেখেছে। এর সঙ্গে এএফএল-সিআইওর অধিকারকর্মীরা যুক্ত। তার পরও এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে কর্মীদের অধিকারের সঙ্গে যুক্ত মূলনীতিগুলো বা শর্তগুলো কিন্তু পাকিস্তান, মালয়েশিয়া বা শ্রীলংকার চুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের মতো দৃশ্যমান নয়। তাদের ক্ষেত্রে শর্তগুলো কিছুটা শিথিল।

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে উদ্বেগ কমানোর চেষ্টা করেছে এ ব্যাখ্যা দেয়ার মাধ্যমে যে বাণিজ্য সম্পর্কসংক্রান্ত যেকোনো ইস্যু নিরসনে তারা একটি প্লাটফর্ম সৃষ্টি করবে। যেমনটা বলা হচ্ছে এর মাধ্যমে বিবাদ-বিসংবাদগুলো তুলে ধরা হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। এ ধরনের একটি প্লাটফর্ম অন্তত বছরে একবার দুই দেশকে বিষয়গুলো নিয়ে বসার সুযোগ দেবে। এতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিতর্কিত সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি হবে। এটা তখন অধিকতর গঠনমূলক সম্পৃক্তির ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করবে।

বিদ্যমান ইউএস-ইন্ডিয়া ট্রেড পলিসি ফোরামে (বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর সহযোগিতার ফ্রেমওয়ার্ক) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কিছু প্রবিধানের বিষয় তুলে ধরাও জরুরি। শিগগিরই আমাদের উচিত একটা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা, যেটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত বাধাগুলো মোকাবেলায় ফোকাস গ্রুপদের কাজে লাগাবে। একটি কৃষি ফোকাস গ্রুপ, একটি উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা ফোকাস গ্রুপ, একটি বিনিয়োগ ফোকাস গ্রুপ, একটি সেবা ফোকাস গ্রুপ (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে জোর দেয়াসহ) এবং একটি শুল্ক ও অশুল্ক বাধা সম্পর্কিত ফোকাস গ্রুপ গঠনের বিষয় বিশেষ বিবেচনার মধ্যে রাখা জরুরি। এসব ফোরাম-গ্রুপ গঠন সার্বভৌম দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের ওপর যে কিছু চাপ চলে আসে, সে সম্পর্কিত উদ্বেগগুলো অনেকটা নিরসন করতে সমর্থ হবে বৈকি।

অবশ্য এটা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ হবে, সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক, সব চ্যালেঞ্জ ও অসংগতি দূর করা প্রয়োজন, যেগুলো বিরাজমান দ্বিপক্ষীয় ও বিনিয়োগের স্পেকট্রামের মধ্যে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে নিবিড়ভাবে নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ১৯৯৮ সালের আইএলও ঘোষণার সঙ্গে সংগতি রেখে এটা শ্রম অধিকারের উন্নতি ঘটায় এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো দুর্নীতি কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক হয়। একটি সঠিক মানদণ্ডে বিষয়গুলোকে আনার স্বার্থে এমন প্রবিধান করা দরকার, যাতে উভয় পক্ষ বছরে অন্তত একবার বসতে পারে, শর্তগুলো পূরণ করতে পারে এবং যেকোনো একটি পক্ষ বিরাজমান বাণিজ্য চুক্তি একটি সম্মত তারিখ বা ১৮০ দিনের নোটিস প্রদানের পর অবসান ঘটাতে পারে।

অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের একটি সুবিধাজনক সম্পৃক্তি গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে আমরা (ক) শুল্ক বাধার সম্ভাব্যতা বিলোপ এবং (খ) আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী পণ্যগুলোর একটি বড় ও অধিক বৈচিত্র্যময় রফতানি ভিত্তি তৈরি করে সুফল পেতে পারি। এ ধরনের ব্যবস্থা খুব যত্নের সঙ্গে নেয়া হলে প্রত্যেকেই আশ্বস্ত হবে এবং এটি পরোক্ষভাবে আমাদের উৎপাদন খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াবে। এটা চূড়ান্তভাবে আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, প্রযুক্তি বিনিময় উৎসাহিত করা এবং দুই দেশের ব্যক্তি খাতের মধ্যে একটি বৃহত্তর যোগাযোগ বাড়াবে।

সরকার উপলব্ধি করে যে আমাদের পোশাক শিল্প কেবল আন্তর্জাতিক নয়, পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার অধিকারকর্মীদের মাধ্যমে গভীর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। কিছু মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের পোশাক পণ্যে রক্ত মাখিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল এবং এরপর সেসব আইটেম পশ্চিমা দেশগুলোর রিটেইলিং স্টোরগুলোর সামনে প্রদর্শন করেছিল। এসব তত্পরতার মাধ্যমে জাতিসংঘ, আইএলও এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদদের মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছিল। এটা ব্র্যান্ডিং কিংবা সম্ভাব্য বিনিয়োগের উপযুক্ত গন্তব্য হিসেবে দেশের ভাবমূর্তির জন্য মোটেই সহায়ক হয়নি, বরং অনেক ক্ষেত্রে বুমেরাং হয়েছে।

আমাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। এটিই কেবল আমাদের সম্ভাবনা গুণিতক হারে বাড়াবে। কারখানা ভবনে নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম এবং পোশাক শিল্পে মজুরি বাড়ানোসহ সরকারের জরুরি প্রচেষ্টাগুলো বাংলাদেশে এরই মধ্যে শ্রমিকদের জন্য অধিক সুযোগ, প্রভাব সৃষ্টি করেছে। জাতীয় সংসদে ২০১৩ সালে পাস হওয়া শ্রম আইনের সংশোধনী কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত করেছে এবং ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। এটা গঠনমূলক সম্পৃক্তির একটা বড় উদাহরণ।

নতুন শ্রম আইন কর্মীদের বৃহত্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, তাদের জীবনমান উন্নয়নে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল সৃষ্টি এবং কোম্পানির বার্ষিক মুনাফার ৫ শতাংশ কর্মী কল্যাণ তহবিলে জমা রাখার শর্তের কথা বলে। এটিও নিশ্চিত করে যে কর্মীদের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে আর মালিকদের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। অব্যাহত তদারকির জন্য আরো কারখানা পরিদর্শক নিয়োগসহ জরুরি সক্রিয় ব্যবস্থাগুলো একইভাবে দেশের ভেতরে ও বাইরে আমাদের ব্র্যান্ড ইমেজ পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে।

এসব খুব ইতিবাচক পদক্ষেপ। প্রত্যেকে আশা করে যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এসবের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য প্রশাসন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোও কাঙ্ক্ষিত সাধারণ উদ্দেশ্যগুলো অর্জনের স্বার্থে একটি সহযোগিতামূলক সম্পৃক্তি নিশ্চিত করবে। এ বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক মূল্যবোধগুলো সম্পর্কে কথা বলার পাশাপাশি তাদের উচিত রিটেইলারদের/ক্রেতাদের ও মধ্যস্বত্বভোগীদের লোভের লাগাম টানতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া, তাদের অন্যায্য লোভের কারণে কর্মীদের প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাতে যাতে আমাদের উদ্যোক্তারা কোনোভাবে অসমর্থ না হন।

আরও দেখুন:
অর্থ ব্যবস্থাপনার পাঁচ পরামর্শ
ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ জরুরি
অর্থনৈতিক লেনদেনে ধোঁকা ও প্রতারণা

পরিশেষে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে অর্থনৈতিক আন্তঃনির্ভরতা এবং সম্মত আন্তর্জাতিক বিধিবিধান মেনে চলা মানে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের অধিকারগুলো জলাঞ্জলি দেয়া নয়। আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধগুলো ধারণ করেই অন্যদের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্তি বাড়াতে হবে। এর বিকল্প নেই।

লেখকঃ মোহাম্মদ জমির: সাবেক রাষ্ট্রদূত; পররাষ্ট্র, তথ্য অধিকার ও সুশাসনসংক্রান্ত বিষয়াদির বিশ্লেষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button