ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসিব্যাংক হিসাব

ডাচ-বাংলা ব্যাংক টার্ম ডিপোজিট হিসাব

বর্তমান সময়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একটি আলোচিত ও জনপ্রিয় ব্যাংক। বিশেষ করে এদের এটিএম কার্ড সাভিস, ফাস্ট ট্রাক, রকেট ও এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য। মেয়াদি জমা হিসাব/মেয়াদী আমানত হিসাবে (Term Deposit Account) আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে (সাধারণত ১, ৩, ৬, ১২, ২৪, ৩৬ মাসের জন্য এ হিসাব খোলা হয়) নির্দিষ্ট সুদ হারে বিনিয়োগ করা যায়। যেকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ডাচ-বাংলা ব্যাংক টার্ম ডিপোজিট হিসাব খুলে থাকে। আসুন জেনে নেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টার্ম ডিপোজিট হিসাব কি সুবিধা পাওয়া যায় এবং কি কি কাগজপত্র লাগে?

মেয়াদি হিসাবের সুবিধা সমূহ
১. যেকোনো পরিমাণ টাকা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্দিষ্ট সুদ হারে (ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত) বিনিয়োগ করা যায়।
২. সাধারণত ১, ৩, ৬, ১২, ২৪, ৩৬ মাস মেয়াদে এ হিসাব খোলা হয়ে থাকে।
৩. মেয়াদ পূর্ণ হলে পূনরায় নবায়ন করা যায়।
৪. প্রয়োজনে মেয়াদি জমা হিসাব/মেয়াদী আমানত হিসাবে (Term Deposit Account) না ভাঙ্গিয়েও আসল টাকার ৮০% পর্যন্ত লোন/ঋণ নিতে পারবেন।
৫. মেয়াদ পূর্তির পূর্বেই প্রয়োজনে হিসাব বন্ধ করা যায়। সেক্ষেত্রে সঞ্চয়ী/সেভিংস হিসাবের সুদ হারে অথবা ব্যাংকের বিদ্যমান পলিসি অনুসারে সুদ পাওয়া যায়।
৬. কেবলমাত্র নিবাসী (Resident) বাংলাদেশীরা এই ধরনের মেয়াদি জমা হিসাব/মেয়াদী আমানত হিসাবে (Term Deposit Account) খুলতে পারবে।
৭. যতগুলো ইচ্ছা ততগুলো মেয়াদি জমা হিসাব/মেয়াদী আমানত হিসাবে (Term Deposit Account) খোলা যায়।
৮. মেয়াদি জমা হিসাব/মেয়াদী আমানত হিসাবে (Term Deposit Account) একক নামে বা যৌথ নামে খোলা যায়।
৯. মেয়াদি জমা হিসাব/মেয়াদী আমানত হিসাবে (Term Deposit Account) মাসের যেকোনো সময় যেকোন দিন খোলা যায়।
১০. এই হিসাব খোলার ঝামেলা অনেক কম।
১১. এই হিসাবে সুদ হার বেশি।
১২. ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সের সুস্থ মস্তিষ্কের বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
১৩. নাবালকের পিতা-মাতা বা কোর্ট কর্তৃক অভিভাবকত্ব গ্রহন করে নাবালকের পক্ষে নাবালক হিসাব খুলতে পারেন। এক্ষেত্রে নাবালকের জন্ম সনদের ফটোকপি এবং আইনগত অভিভাবকের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সত্যায়িত ফটোকপি দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (Required Document)
একক ব্যক্তি বা যৌথ নামে হলে (For Individual or Joint)
১. হিসাব খোলার আবেদন পত্র যা আবেদনকারী/আবেদনকারীগণকে পূরণ ও স্বাক্ষর করতে হবে (যা ব্যাংক সরবরাহ করবে)।
২. কেওয়াইসি (KYC) ফরম পূরণ করতে হবে (যা ব্যাংক সরবরাহ করবে)।
৩. পরিচয় প্রদানকারী কর্তৃক সত্যায়িত আবেদনকারী/আবেদনকারীগণের সম্প্রতি তোলা ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৪. জাতীয় পরিচয় পত্র/ বৈধ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/নাগরিকত্ব সনদ অথবা অন্যান্য ছবি সম্বলিত পরিচয় পত্রের অনুলিপি।
৫. ব্যাংকের যে কোন চলতি/সঞ্চয়ী হিসাবধারী কর্তৃক পরিচিতি প্রদান [পরিচয়দানকারীর হিসাবটি নিয়মিত হবে এবং কমপক্ষে ৬ মাস ধরে হিসাব পরিচালনা করতে হবে]।
৬. নমিনী বা নমিনীগণের বিস্তারিত বিবরণ ও আবেদনকারী কর্তৃক সত্যায়িত প্রত্যেকের ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৭. হিসাব ঠিকানার স্বপক্ষে সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, টেলিফোন) এর অনুলিপি (যদি থাকে)।
৮. নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে।
৯. হালনাগাদ টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেটের অনুলিপি (যদি থাকে)।

লিমিটেড কোম্পানী হলে (For Limited Company)
১. মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন এর সত্যায়িত অনুলিপি।
২. সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন এর অনুলিপি।
৩. সার্টিফিকেট অব কমেন্সমেন্ট অব বিজনেস এর অনুলিপি (পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
৪. অনুমোদিত ব্যক্তি/ব্যক্তিগণ কর্তৃক হিসাবটি খোলা ও পরিচালিত হবে এই মর্মে কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুলিপি।
৫. এজেন্ট কর্তৃক হিসাব খোলা এবং পরিচালনার জন্য এজেন্টের সাথে চুক্তির অনুলিপি।
৬. সকল ডিরেক্টরদের ছবি।
৭. সকল ডিরেক্টরদের পাসপোর্টের/আইডি কার্ডের (প্রতিরক্ষা কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে)/ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রদত্ত সনদের কপি।
৮. ফরম-১২ এবং কোম্পানীর প্যাডে ডিরেক্টরদের নামের তালিকা।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

সরকারী/আধা সরকারী/স্বায়ত্বশাসিত, ক্লাব ও সোসাইটি হলে (For Govt./Semi Govt./Autonomous/Club & Society)
১. রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট, যা চেয়ারম্যান/সেক্রেটারি কর্তৃক সত্যায়িত।
২. সংঘ স্বারক/বাই লজ, যা চেয়ারম্যান/সেক্রেটারি কর্তৃক সত্যায়িত।
৩. একাউন্ট খোলা ও পরিচালনার সপক্ষ্যে বোর্ড রেজুলেশন, যা ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদিত।
৪. ম্যানেজিং কমিটি বা এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যের তালিকা, যা চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি কর্তৃক সত্যায়িত।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
আপনি যদি আয়কর প্রদানকারী হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি E-TIN নাম্বার থেকে থাকে এবং ব্যাংক হিসাব খোলার সময় যদি TIN সার্টিফিকেট এর ফটোকপি জমা দেন তাহলে ব্যাংক আপনাকে যে সুদ প্রদান করবে তার উপর (আপনার জমাকৃত টাকার উপর নয়) ১০% হারে আয়কর কেটে নিবে। অন্যথায় ব্যাংক আপনার প্রাপ্য সুদের উপর ১৫% হারে আয়কর কেটে নিবে।

  • বিস্তারিত জানতে
    ব্যাংকের যেকোন শাখায় যোগাযোগ করুন অথবা ✆ কল সেন্টারঃ ১৬২১৬ এ কল করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button