ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসিমোবাইল ব্যাংকিং

ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং-রকেট

ডাচ-বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করার ক্ষেত্রে পাইওয়ার হিসেবে কাজ করেছে। এটি মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানে প্রথম ব্যাংক ছিল। রকেট ব্যাংক শাখা ব্যতীত একটি ব্যাংকিং প্রক্রিয়া যা ব্যাংক বহির্ভুত সম্প্রদায়কে কার্যকরীভাবে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে আর্থিক সেবা প্রদান করে। ব্যাংকিং সেবা প্রদান যেমন- ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, ইউটিলিটি পেমেন্ট, বেতন বিতরণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্স, সরকারি ভাতা বিতরণ, এটিএম থেকে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন ইত্যাদিকে রকেট বলা হয়।

মোবাইল ব্যাংকিং কী?
মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে শাখাবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে দক্ষতার সঙ্গে আর্থিক সেবা পৌঁছে যাবে ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির কাছে। মোবাইল প্রযুক্তি সরঞ্জাম অর্থাৎ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং ও আর্থিকসেবা (টাকা জমাদান, উত্তোলন, পণ্য বা সেবা ক্রয়ের মূল্যপরিশোধ, বিভিন্ন ধরণের বিল পরিশোধ, বেতন/ভাতা বিতরণ, বৈদেশিক আয়, সরকারি বেতন ও ভাতাদি বিতরণ, ATM থেকে টাকা উত্তোলন) প্রদান করাই হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রস্তাবিত সেবাসমূহ পাওয়া যাবে।

মোবাইল ব্যাংকিং-এর সুবিধাসমূহ
☆ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থকে ইলেকট্রনিক অর্থে রূপান্তর এবং সর্বোপরি দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব
☆ প্রকৃত অনলাইন ব্যাংকিং সেবা,
☆ দেশব্যাপী যে কোন সময় যে কোন স্থানে সেবার নিশ্চয়তা,
☆ এটি সুবিধাজনক, সহজলভ্য এবং নিরাপদ,
☆ টাকা সঞ্চয়ের অভ্যাস বাড়ানোর জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অধিক কার্যকর,
☆ এর মাধ্যমে দ্রুত ও কম খরচে টাকা লেনদেন এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবায় প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে,
☆ মোবাইল ব্যাংকিং অধিকতর নিরাপদ এবং প্রতারণারোধক

ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কী কী সেবা পাওয়া যাবে?
☆ গ্রাহক নিবন্ধন;
☆ নগদ টাকা জমাদান;
☆ নগদ টাকা উত্তোলন;
☆ কেনাকাটার বিল পরিশোধ;
☆ ইউটিলিটি বিল পরিশোধ;
☆ বেতন/ভাতা বিতরণ;
☆ বিদেশ হতে প্রেরিত অর্থ বিতরণ;
☆ মোবাইলে তাৎক্ষণিক ব্যালেন্স রিচার্জ;
☆ তহবিল স্থানান্তর।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

কোথায় মোবাইল একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন?
ডিবিবিএল ব্রাঞ্চ, ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং অফিস, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যেকোন শাখা এবং ডিবিবিএল মনোনীত যে কোন এজেন্ট পয়েন্টে মোবাইল একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে। বর্তমানে গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, সিটিসেল এবং বাংলালিংকের মনোনীত এজেন্ট যারা ডিবিবিএল এর ‘‘এজেন্ট সনদ’’ এবং ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং ব্যানার প্রদর্শন করতে পারবেন তারাই ডিবিবিএল এর গ্রাহক রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

কিভাবে মোবাইল একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন?
গ্রাহক KYC ফরম পূরণ করে ছবিযুক্ত যেকোন বৈধ পরিচয়পত্র/জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি ও ১ কপি সাম্প্রতিক তোলা রঙিন ছবিসহ এজেন্টের কাছে জমা দিবেন। এজেন্ট গ্রাহকের আবেদনপত্র, বৈধ পরিচয়পত্র/ জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপিও ১ কপি সাম্প্রতিক তোলা রঙিন ছবি নিরীক্ষণ শেষে তার মোবাইলের নিবন্ধন মেন্যুতে যাবেন এবং গ্রাহকের মোবাইল নম্বর টাইপ করবেন। গ্রাহক IVR হতে একটি কল বা USSD Prompt Menu পাবেন এবং প্রত্যুত্তরে তার পছন্দমত ৪ সংখ্যার একটি PIN নম্বর দিবেন (অনুগ্রহপূর্বক PIN নম্বরটি মনে রাখবেন)। অতঃপর গ্রাহকের মোবাইল একাউন্টটি চালু হবে, একাউন্ট নম্বরটি হবে গ্রাহকের মোবাইল নম্বর যার সঙ্গে একটি Check Digit যুক্ত হবে। গ্রাহক তার মোবাইল একাউন্ট নম্বর এর নিশ্চিতকরণ SMS পাবেন (অনুগ্রহপূর্বক আপনার Check digit টি মনে রাখুন)।

PIN কেন দরকার?
PIN মোবাইল ব্যাংকিং এর লেনদেনের মূল চাবি। শুধু সঠিক PIN এবং মোবাইল নম্বরের সমন্বয়ের মাধ্যমেই মোবাইল একাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব। সিস্টেম কর্তৃক একাউন্টের মালিকের পরিচিতি নিশ্চিত করার জন্য PIN প্রয়োজন। এছাড়া এজেন্ট অথবা ডিবিবিএল ATM থেকে টাকা উত্তোলনের সময় PIN দরকার। PIN আপনার আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রতারণামূলক লেনদেন প্রতিরোধ করবে। যেহেতু PIN নম্বরটি অন্য কেউ জানলে সংশ্লিষ্ট একাউন্টটি ঝুকিপূর্ণ, সুতরাং PIN অতীব সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে।

Check Digit কেন দরকার?
মোবাইল নম্বর অনেকেরই জানা থাকে। তাই Check ডিজিট জানা না থাকলে অন্য কেউ আপনার মোবাইল একাউন্টে টাকা জমা দিতে পারবে না, এভাবেই Check Digit আপনার মোবাইল একাউন্টের গোপনীয়তা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে। অন্যদিকে, Check Digit ভুল একাউন্ট নম্বর প্রদানের সম্ভাবনা দূর করে আপনাকে ভুল একাউন্টে টাকা পাঠানো বা জমাদান থেকে রক্ষা করবে।

কোন মোবাইল অপারেটরের SIM ব্যবহার করে ডিবিবিএল এর একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে?
যে কোন মোবাইল অপারেটরের SIM ব্যবহারকারীগণ ডিবিবিএল ব্রাঞ্চ, ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং অফিস, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যেকোন শাখা, প্রতিটি ইউনিয়নে অবস্থিত ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার (UISC) এবং ডিবিবিএল মনোনীত যে কোন এজেন্ট পয়েন্টে মোবাইল একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সকল মোবাইল একাউন্ট গ্রাহকরা এজেন্টের কাছে টাকা জমা দেয়া এবং উত্তোলনের সুবিধা পাবেন। তবে টেলিটক ব্যবহারকারীগণ কিছু স্ব-পরিচালিত সেবা যেমন: হিসাব অনুসন্ধান, টাকা স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, মোবাইল টপ-আপ, PIN পরিবর্তন ইত্যাদি গ্রহণের সুযোগ পাবেন না। টেলিটক ব্যবহারকারীগণ বাদে অন্য গ্রাহকগণ এজেন্ট পরিচালিত এবং স্ব-পরিচালিত উভয় সেবাই গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

কি ধরনের মোবাইল সেট প্রয়োজন?
যে কোন ধরনের মোবাইল সেট ব্যবহার করেই ডিবিবিএল মোবাইল একাউন্টের সেবা পাওয়া যাবে।

একাউন্ট খুলতে কত টাকা প্রয়োজন?
মাত্র ১০০ (একশত) টাকা জমা দিয়ে একজন গ্রাহক ডিবিবিএল মোবাইল একাউন্ট খুলতে পারবেন।

একাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই কি টাকা জমা ও উত্তোলন করা যাবে?
একাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই টাকা জমা দেয়া যাবে। তবে একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে নিবন্ধিত হওয়ার পর টাকা তোলা যাবে। ব্যাংক কর্মকর্তা রেজিষ্ট্রেশন ফরমে (KYC) প্রদত্ত তথ্যাবলী যাচাই করে একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে নিবন্ধনের জন্য অনুমোদন করবেন। সাধারনত একাউন্ট সম্পূর্ণ নিবন্ধনের জন্য ১-২ কর্ম দিবস লাগবে। সম্পূর্ণভাবে রেজিষ্ট্রেশনের পর আপনার মোবাইলে একটি SMS পাবেন।

ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং কতটুকু নিরাপদ?
ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ, কারণ এতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে USSD অথবা SMS+IVR প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। USSD এর ক্ষেত্রে নির্দেশনা এবং PIN, USSD এর মাধ্যমে এবং SMS+IVR এর ক্ষেত্রে নির্দেশনা, SMS এর মাধ্যমে এবং PIN, IVR কল এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। PIN লেনদেনের ক্ষেত্রে USSD এবং IVR উভয়ই নিরাপদ। যেহেতু মোবাইল সেট, PIN এবং Check ডিজিট আয়ত্তে নেয়া ছাড়া একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে না তাই গ্রাহকের টাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাছাড়া Check ডিজিট থাকায় যে কেউ কারো মোবাইল একাউন্টে অনাকাঙ্ক্ষিত টাকা জমা করতে পারবে না। (যদিও মোবাইল নম্বর অনেকেরই জানা)।

টাকা উত্তোলন করবেন কোথায়?
ডিবিবিএল মনোনীত যে কোন এজেন্ট, প্রতিটি ইউনিয়নে অবস্থিত ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার (UISC), ডিবিবিএল ATM ও শাখা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যেকোন শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে।

কিভাবে টাকা উত্তোলন করবেন?
গ্রাহক টাকা উত্তোলনের জন্য এজেন্টকে তার মোবাইল একাউন্ট নং ও টাকার পরিমাণ বলবেন এজেন্ট তার মোবাইল থেকে উত্তোলন পদ্ধতি শুরু করবেন। এজেন্ট সিস্টেম হতে একটি বার্তা পাবেন এবং ফিরতি বার্তায় গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ও টাকার পরিমাণ দিবেন। গ্রাহক ডিবিবিএল সিস্টেম হতে নিম্নলিখিত বার্তা বা IVR কল পাবেন:
‘‘আপনি আপনার মোবাইল একাউন্ট থেকে xxx টাকা উত্তোলন করতে যাচ্ছেন। আপনি যদি লেনদেনটি সম্পন্ন করতে চান তাহলে আপনার ৪ সংখ্যার PIN নম্বরটি প্রদান করুন।’’ গ্রাহক PIN নম্বরটি টাইপ করবেন, সিস্টেম গ্রাহকের একাউন্ট হতে সমপরিমাণ টাকা ডেবিট করবে এবং এজেন্ট গ্রাহককে টাকা প্রদান করবেন।

কোথায় টাকা জমা দিবেন?
ডিবিবিএল মনোনীত যে কোন এজেন্ট, প্রতিটি ইউনিয়নে অবস্থিত ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার (UISC), ডিবিবিএল Fast Track ও শাখা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যেকোন শাখায় টাকা জমা দেয়া যাবে।

কিভাবে টাকা জমা দিবেন?
গ্রাহক এজেন্টের নিকট টাকা জমা দিবেন। এজেন্ট তার মোবাইল থেকে জমাদান পদ্ধতি শুরু করবেন। এজেন্ট সিস্টেম হতে একটি বার্তা পাবেন এবং ফিরতি বার্তায় গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ও টাকার পরিমাণ দিবেন। এজেন্ট তার PIN নম্বর দিবেন। সিস্টেম গ্রাহকের একাউন্টে সমপরিমাণ টাকা ক্রেডিট করবে, এজেন্ট গ্রাহককে টাকা জমাদানের রশিদ দিবেন। সিস্টেম গ্রাহকের মোবাইলে একটি নিশ্চিতকরণ SMS পাঠাবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সঠিক লেনদেন করার জন্য গ্রাহক SMS প্রেরকের নম্বর এবং টাকার পরিমাণ নিরীক্ষা করবেন। গ্রাহকরা ১৬২১৬ নম্বর হতে SMS পাবেন।

এজেন্টের কাছে লেনদেনের সীমা কত?
এজেন্টের কাছে সবসময় পর্যাপ্ত অর্থ নাও থাকতে পারে। আমরা প্রত্যেক এজেন্ট পয়েন্ট থেকে যত বেশি সম্ভব গ্রাহককে সেবা দিতে চাই। অন্যদিকে, আমাদের যে কোন ধরণের প্রতারণামূলক ক্ষতিপ্রতিরোধ করতে হবে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে লেনদেনের পরিমাণ এবং সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে নিন্মোক্ত পরিমাণ এবং সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাহকগণ এজেন্টের কাছে লেনদেন করতে পারবেন:
☆ দৈনিক জমা = সর্বোচ্চ ৫ বার
☆ দৈনিক উত্তোলন = সর্বোচ্চ ৩ বার
☆ প্রতি মাসে জমা = সর্বোচ্চ ২০ বার
☆ প্রতি মাসে উত্তোলন = সর্বোচ্চ ১০ বার
☆ প্রত্যেক লেনদেনের (জমা/উত্তোলন) পরিমাণ = টাকা ১০,০০০/-
☆ দৈনিক লেনদেনের (জমা/উত্তোলন) পরিমাণ = টাকা ১০,০০০/-
☆ প্রতি মাসে লেনদেনের (জমা/উত্তোলন) পরিমাণ = টাকা ২৫,০০০/-।

বেতন/ভাতা বিতরণ কী?
এ পদ্ধতিতে বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প সময়ে ঝামেলাবিহীনভাবে তাদের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন এবং সরকার বিভিন্ন ধরনের ভাতা যেমন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি বিতরণ করতে পারবেন।

কিভাবে এটি কাজ করে?
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/সরকারি অফিস মাসিক বেতন/ভাতা ও মোবাইল একাউন্ট নম্বর সম্বলিত একটি তালিকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে পাঠাবেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/সরকারি অফিসের একাউন্ট হতে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ডেবিট করে সমপরিমাণ টাকা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত একাউন্টে ক্রেডিট করবে। কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সুবিধাভোগী ব্যক্তি তার নিজ মোবাইলে এ লেনদেন সম্পর্কিত একটি বার্তা পাবেন কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সুবিধাভোগী ব্যক্তি যেকোন এজেন্ট, প্রতিটি ইউনিয়নে অবস্থিত ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার (UISC), ডিবিবিএল ATM, ডিবিবিএল শাখা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যেকোন শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/সরকারের সুবিধাসমূহ কী কী?
☆ সময় সাশ্রয়;
☆ অর্থ সাশ্রয়;
☆ অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন নেই;
☆ ভুল হবার সম্ভাবনা খুবই কম, নিশ্চিত তাৎক্ষণিক সেবা।

কর্মকর্তা/কর্মচারী ও ভাতা প্রাপ্তদের সুবিধাসমূহ কী কী?
☆ একাউন্টে তাৎক্ষণিক টাকা জমা;
☆ ঝামেলাবিহীন বেতন/ভাতা সংগ্রহ;
☆ ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই;
☆ যেকোন এজেন্ট, প্রতিটি ইউনিয়নে অবস্থিত ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার (UISC), ডিবিবিএল ATM, ডিবিবিএল শাখা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যেকোন শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

কিভাবে মোবাইল একাউন্টে বৈদেশিক রেমিটেন্স পাঠানো যাবে?
বিদেশে অবস্থিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং অন্যান্য বাংলাদেশী ব্যাংকের মনোনীত যেকোন Exchange হাউস থেকে রেমিটেন্স পাঠানো যাবে। পাঠানো টাকা ২৪-৭২ ঘণ্টার (ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মনোনীত Exchange House এর ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা) মধ্যে বেনেফিসিয়ারি/ রেমিটেন্স গ্রহীতার মোবাইল একাউন্টে জমা হয়ে যাবে এবং বেনেফিসিয়ারি/ রেমিটেন্স গ্রহীতা তৎক্ষণাৎ স্বয়ংক্রিয় একটি SMS এর মাধ্যমে তার মোবাইল একাউন্টে টাকা জমা হওয়ার খবর জানতে পারবেন। এই সহজ সুবিধা পেতে Exchange House এ গিয়ে নিচের তথ্য গুলো দিতে হবেঃ
১) টাকার পরিমান;
২) যার কাছে টাকা পাঠাবেন তার নাম;
৩) ব্যাংকের নাম (Dutch-Bangla Bank); ও
৪) যার কাছে টাকা পাঠাবেন তার মোবাইল একাউন্ট নম্বর।
বিদেশে অবস্থিত এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো সুবিধাভোগীর মোবাইল একাউন্টের বিপরীতে রেমিটেন্স গ্রহণ করবে। এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো মোবাইল একাউন্ট নম্বর ও টাকার পরিমাণ সম্বলিত একটি তালিকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে পাঠাবে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক কেন্দ্রীয়ভাবে প্রত্যেক একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে দেবে। সুবিধাভোগী ব্যক্তি তার নিজ মোবাইলে এই লেনদেন সম্পর্কিত একটি বার্তা পাবেন। সুবিধাভোগী ব্যক্তি যেকোন এজেন্ট, প্রতিটি ইউনিয়নে অবস্থিত ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার (UISC), ডিবিবিএল ATM, ডিবিবিএল শাখা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যেকোন শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

ফি এবং সার্ভিস চার্জসমূহ
☆ রেজিস্ট্রেশন ফি: ফ্রি
☆ ডিবিবিএল Fast Track, ডিবিবিএল, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যেকোন শাখায় টাকা জমা/উত্তোলন: ১০ টাকা
☆ এজেন্ট পয়েন্টে টাকা জমা/উত্তোলন: জমা/উত্তোলনকৃত টাকার ০.৯% অথবা ৫ টাকা, যেটি অধিকতর
☆ ATM থেকে টাকা উত্তোলন: ফ্রি
☆ মার্চেন্ট বিল পরিশোধ: ফ্রি
☆ মোবাইল টপ-আপ: ফ্রি
☆ Send Money/P2P টাকা স্থানান্তর: ৫ টাকা
☆ ব্যালান্স অনুসন্ধান: ফ্রি
☆ স্টেটমেন্ট অনুসন্ধান: ৩ টাকা
☆ বেতন/ভাতা বিতরণ: ফ্রি
☆ রেমিটেন্স প্রদান: ফ্রি
☆ কোর ব্যাংক একাউন্ট হতে মোবাইল ব্যাংক একাউন্টে টাকা স্থানান্তর: ফ্রি
☆ মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট হতে কোর ব্যাংক একাউন্টে টাকা স্থানান্তর: ১%।

  • বিস্তারিত জানতে
    ব্যাংকের যেকোন শাখায় যোগাযোগ করুন অথবা ✆ কল সেন্টারঃ ১৬২১৬ এ কল করুন।

একটি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button