মোবাইল ব্যাংকিং

মোবাইল ব্যাংকিংঃ অর্থমন্ত্রী মহোদয়সহ বাংলাদেশ ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

মাননীয় অর্থমন্ত্রী এবং গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক

মহোদয়,
বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে, সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগের মোবাইল ব্যাংকিংঃ ‘নগদ’কে ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় জনসচেতনতার অভাবের কারণে কেউ তা করেনি।

মহোদয়, আমি আপনাকে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি যে, যারা সরকারি চাকরিজীবী এবং সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় ভাতাভোগী, এনজিও কর্মী, গার্মেন্টস শ্রমিক এবং বেসরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষক যাদের রাজস্ব খাতে বেতন হয়, তাদের সকলকে মোবাইল ব্যাংকিং এর আওতায় আসার জন্য আপনারা সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে কাগজী মুদ্রা থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে; এবং দুর্যোগ ও মহামারীর সময় ব্যাংক বন্ধ থাকলেও ফ্যান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে সহজে লেনদেন করতে পারবে এবং বেতন-ভাতা জরুরি প্রয়োজনে ত্রাণের অনুদানসমূহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারবে।

এই বিষয়টি আপনাদের সুনজরে আসলে দেশ ও জাতির জন্য এই পরিস্থিতিতে নতুন একটি মডেল ব্যাংকিং শুরু হতে পারে। যার কারণে কাগজী মুদ্রা হতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত এবং ব্যাংক বন্ধ থাকলেও লেনদেনের কোন অসুবিধা হবেনা। সহজেই সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়রার উদ্যোগ নিতে এখনই সময় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা। প্রতিটা ব্যাংকের অবশ্যই মোবাইল ব্যাংকিং ও স্মার্ট ফোনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ থাকতে হবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

ব্র্যাক ব্যাংকের-বিকাশ, ডাচ বাংলা ব্যাংক- রকেট, ইসলামী ব্যাংকের- এমক্যাশ, শিউর ক্যাশ ছাড়াও আরো কিছু ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও মন্ত্রণালয়ের- নগদ যেমন রয়েছে। ইতোমধ্যে যারা গার্মেন্টসে চাকরি করেন তাদের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল, ২০২০ পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন প্রদানের লক্ষ্যে মোবাইল ব্যাংকিং কেন করা হবে না জাতি আজ এই প্রশ্ন আপনাদের সম্মুখে উপস্থাপন করছে।

মহোদয়, মোবাইল ব্যাংকিং একটি সহজলভ্য সেবা, যা যেকোন মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে ব্যাংকিং যোগাযোগ স্থাপনের গ্রাহক পর্যায়ে অত্যান্ত প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম। যা থেকে একজন গ্রাহক এক লক্ষ টাকার নিচে সহজেই ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারবে, বিদ্যুৎ বিল, ইন্টারনেট বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল পরিশোধ করতে পারবে, সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করতে পারবে। সকল প্রতিষ্ঠানের বেতন মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে জমা হবে। মূল ব্যাংক কন্সাইনমেন্ট হিসাবে কাজ করবে।

এক্ষেত্রে গ্রাহকের মূল ব্যাংকে হিসাব থাকতে পারে আবার নাও পারে। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার, বিল পরিশোধ, ট্যাক্স পরিশোধ, ভ্যাট পরিশোধ, অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবে এবং সরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন টেস্ট ফি, সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক কিংবা বিধবা অথবা প্রতিবন্ধী ভাতা, অনুদান, ত্রাণ তহবিল গঠন, স্কুলের বিভিন্ন প্রকার ফি প্রদান সুবিধা হিসেবে একজন গ্রাহক দেশের সব রকম ডিজিটাল সেবা পাবে বর্তমান সরকারের এটাই অঙ্গীকার ছিল।

এমতাবস্থায়, জাতীয় প্রয়োজনে আপনারা এই বিষয়টিকে বিবেচনা করবেন বলে আমি মনে করি, ধন্যবাদ। ব্যাংকারদের পক্ষে এক ব্যাংকার, মাহাদী আলম সজীব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button