তালিকাভুক্ত ব্যাংক এবং অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকের মধ্যে পার্থক্য সমূহ
ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশঃ ব্যাংক তালিকাভুক্ত হতে পারে আবার নাও হতে পারে। ব্যাংক তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বেশ কিছু নিয়ম ও শর্ত থাকে। সেগুলোর কারণে তালিকাভুক্ত ব্যাংক এবং অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়ে থাকে। নিম্নে তালিকাভুক্ত ব্যাংক এবং অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকের মধ্যে পার্থক্য সমূহ তুলে ধরা হলো-
➡ Meaning (অর্থগত)
☞ যে কোন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত ও সংরক্ষিত তালিকার অন্তর্ভুক্ত ব্যাংকসমূহকে ঐ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত বা তফসিলি ব্যাংক (Scheduled Banks) বলে।
☞ যে সকল ব্যাংক সেন্ট্রাল ব্যাংকের তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সরকার কর্তৃক অবহিত করা হয়নি, তাদেরকে অ-তালিকাভুক্ত বা অ-তফসিলি ব্যাংক (Non-scheduled Banks) বলা হয়।
➡ Follow the Rules (নিয়ম অনুসরণ)
☞ তালিকাভুক্ত ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মগুলি অনুসরণ করে।
☞ অপরদিকে অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলি বাংলাদেশ ব্যাংকের সব নিয়মগুলি অনুসরণ করে না।
➡ Members of clearing house (ক্লিয়ারিং হাউসের সদস্য)
☞ তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলি ক্লিয়ারিং হাউসের সদস্য হতে পারে।
☞ অপরদিকে অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলি ক্লিয়ারিং হাউসের সদস্য হতে পারে না।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
➡ Cash Reserve Ratio (নগদ রিজার্ভ অনুপাত)
☞ তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলিকে নগদ রিজার্ভ অনুপাত নির্ধারিত হারে জমা রাখতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।
☞ অন্যদিকে নগদ রিজার্ভ অনুপাত বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নির্ধারিত হারে জমা রাখতে হয় না।
➡ Borrowing Money (অর্থ ধার)
☞ নিয়মিত ব্যাংকিং কাজের জন্য তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলিকে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ ধার দিয়ে থাকে।
☞ অপরদিকে অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলিকে নিয়মিত ব্যাংকিং করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ ধার দেয় না।
➡ Returns (রিটার্নস)
☞ তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলিকে রিটার্ন সময়মত জমা দিতে হয়।
☞ অপরদিকে অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলির পর্যায়ক্রমিক আয় জমা দেওয়ার বিধান নেই।
➡ Own Entity (নিজস্ব সত্তা)
☞ তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলি নিজস্ব সত্তা বিশিষ্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান।
☞ অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলি বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত।
➡ Member of Central Bank (কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্য)
☞ তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত সদস্য।
☞ অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত সদস্য নয়।
সুতরাং উপরের বিবরণ থেকে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলি এবং অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলি কেবল তাদের কার্যক্রমেই ভিন্ন নয় বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মেও ভিন্ন। তালিকাভুক্ত ব্যাংক আমানতকারীর স্বার্থের যত্ন নেয় এবং অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলি তা করে না। কারণ তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করতে বাধ্য নয়।