পেমেন্ট অর্ডার ও ড্রাফটের মধ্যে পার্থক্য
ডিমান্ড ড্রাফট বা ব্যাংক ড্রাফটের বেলায় ব্যাংকের এক শাখা বা ইস্যুকারী শাখা তার অন্য শাখার উপর বা পরিশোধকারী শাখার উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের আদেশ দেয়। অথচ পেমেন্ট অর্ডার এর বেলায় ব্যাংক তার নিজের উপরই নিজে আদেশ দেয়। অর্থাৎ পেমেন্ট অর্ডার যে শাখা ইস্যু করে, তার অর্থও সে শাখাই প্রদান করে। পেমেন্ট অর্ডারের টাকা প্রাপক ছাড়া অন্য কাউকে দেয়া যায় না অর্থাৎ পেমেন্ট অর্ডার হস্তান্তর বা এনডোর্স করা যায় না। কেননা পেমেন্ট অর্ডার হস্তান্তরযোগ্য দলিল নয়। নিম্নে পেমেন্ট অর্ডার ও ব্যাংক ড্রাফট এর মধ্যকার পার্থক্য গুলো তুলে ধরা হলো-
১) ড্রাফটের বেলায় এক শাখা অন্য শাখার ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের আদেশ দেয়।
অপরদিকে পেমেন্ট অর্ডারের বেলায় ব্যাংক তার নিজের ওপরই নিজে আদেশ দেয়।
২) ড্রাফট ইস্যুকারী শাখা ও প্রদানকারী শাখা ভিন্ন।
অন্যদিকে পেমেন্ট অর্ডার ইস্যু ও প্রদান একই শাখা করে।
৩) ড্রাফট একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল।
অপরদিকে পেমেন্ট অর্ডার হস্তান্তরযোগ্য দলিল নয়।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
৪) ড্রাফট ইস্যুর সাথে এডভাইস ইস্যু করা হয়।
অন্যদিকে পেমেন্ট অর্ডারের বেলায় এডভাইস ইস্যু হয় না।
৫) ড্রাফট ক্রয়ে খরচ বেশি।
অপরদিকে পেমেন্ট অর্ডার ক্রয়ে খরচ কম।
৬) ড্রাফট ইস্যু করার পর টেস্ট নাম্বার টেস্ট দিতে হয়। এই টেস্ট মিলিয়ে অন্য শাখা ড্রাফটের মূল্য প্রদান।
অন্যদিকে পেমেন্ট অর্ডারের বেলায় টেস্ট লাগে না।