সাম্প্রতিক ব্যাংক নিউজ

ইন্টারনেট ছাড়া ব্যাংকিং সেবা চালুর দাবি

স্মার্ট বাংলাদেশ ও ক্যাশলেস অর্থনীতি বিনির্মাণে ডিজিটাল হচ্ছে আর্থিক সেবা। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল সিস্টেম চালু করেছে ব্যাংকগুলো। এতে বিপত্তিতে পড়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ, দেশে বড় কোনো আন্দোলন হলেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে ইন্টারনেট নির্ভর ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন গ্রাহক। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ খাত।

যার কারনে দুর্যোগসহ যেকোনো অস্বাভাবিক সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলমান রাখতে দেশের সামগ্রিক ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ব্যাংক খাতের জন্য বিকল্প ইন্টারনেট অবকাঠামো চালুর দাবি জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। সামগ্রিক ইন্টারনেট বন্ধ থাকা কালে বিকল্প খুঁজে বের করার আগে ইন্টারনেট বন্ধ হলে ম্যানুয়ালি ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও দেখুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার

বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট, ২০২৪) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব দাবি উপস্থাপন করা হয়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বৈঠক শেষে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে আমাদের বিকল্প নিয়েও চিন্তা করতে হবে। আমরা উন্নত দেশ হওয়ার আগেই ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস লাইন থাকা প্রয়োজন। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর ব্যাংক একই লাইনে চলবে, এটা তো হওয়ার কথা নয়। আমাদের এমন লাইন করা দরকার যেন ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেলেও ব্যাংকের কার্যক্রম চলে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকের জন্য আলাদা ব্রডব্র্যান্ড লাইনের মতো লাইন গড়ে তোলার দরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানায়, গত ১৮-২৩ জুলাই ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংকের প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরামর্শে বিকল্প নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি বিভাগ। ইতিমধ্যে তারা এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনার প্রস্তুত করেছে। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে গভর্নরের কাছে দেওয়া হবে।

সরকারের নিউইয়র্কভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অ্যাকসেস নাউ পরিচালিত ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ নিয়ে প্রকাশিত ডেটাবেজের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বিরোধী দলের আন্দোলন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে আন্দোলন ও ২০১৮ সালের আগস্টে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন দমনেও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button